ঢাকা ১২:৫৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে নদীর বাধ ভেঙ্গে ২০/৩০ টা গ্রাম প্লাবিত 

তৌহিদুর রহমান শেরপুর প্রতিনিধি-
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৪০ বার পড়া হয়েছে

ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে নদীর বাধ ভেঙ্গে ২০/৩০ টা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েক দিনে অবিরাম ভারী বর্ষণে এবং সীমান্তবর্তী ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরে রামেরকুড়া, খৈকুড়া, ঝিনাইগাতী, চতল, বনগাও সহ কয়েকস্থানে বাধ ভেঙ্গে কমপক্ষে ২০/৩০ গ্রাম পানিবন্ধি হয়ে পরেছে। পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করেছে উপজেলা শহরের প্রধান বাজার সহ বিভিন্ন অফিস ও বাড়ী ঘরে। এতে বিপাকে পরেছে সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইগাতী শহর সহ ভাটি এলাকার কমপক্ষে ২০/৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। সেই সাথে পানিতে ডুবে গেছে অনেক মৎস্য খামার,পুকুর,বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও বীজতলা।স্থানীয়রা জানান, মহারশি নদীর ঝিনাইগাতী ব্রীজপাড় থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে বসতি স্থাপন করায় নদীর নাব্যতা কমে গেছে। এছাড়া নদীটি খনন না করায়, নাব্যতা ফিরিয়ে না আনায় প্রতিবছর সদর বাজার সহ পুরো এলাকা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবী নদীর বুকে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দেয়া সহ স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জুরুরি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীর রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন,ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল কবীর রাসেল জানান, মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্ব-স্ব- ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানি বন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও ঢেউটিন প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শেরপুরে ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে নদীর বাধ ভেঙ্গে ২০/৩০ টা গ্রাম প্লাবিত 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৫২:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

ঝিনাইগাতী উপজেলায় পাহাড়ি ঢলে নদীর বাধ ভেঙ্গে ২০/৩০ টা গ্রাম প্লাবিত হয়েছে। গত কয়েক দিনে অবিরাম ভারী বর্ষণে এবং সীমান্তবর্তী ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার মহারশী নদীর পানি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। মঙ্গলবার (২ জুলাই) ভোরে রামেরকুড়া, খৈকুড়া, ঝিনাইগাতী, চতল, বনগাও সহ কয়েকস্থানে বাধ ভেঙ্গে কমপক্ষে ২০/৩০ গ্রাম পানিবন্ধি হয়ে পরেছে। পাহাড়ি ঢলের পানি প্রবেশ করেছে উপজেলা শহরের প্রধান বাজার সহ বিভিন্ন অফিস ও বাড়ী ঘরে। এতে বিপাকে পরেছে সাধারণ মানুষ। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে ঝিনাইগাতী শহর সহ ভাটি এলাকার কমপক্ষে ২০/৩০টি গ্রামের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পরেছে। সেই সাথে পানিতে ডুবে গেছে অনেক মৎস্য খামার,পুকুর,বিভিন্ন সবজি ক্ষেত ও বীজতলা।স্থানীয়রা জানান, মহারশি নদীর ঝিনাইগাতী ব্রীজপাড় থেকে প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকা অবৈধভাবে দখল করে বসতি স্থাপন করায় নদীর নাব্যতা কমে গেছে। এছাড়া নদীটি খনন না করায়, নাব্যতা ফিরিয়ে না আনায় প্রতিবছর সদর বাজার সহ পুরো এলাকা ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবী নদীর বুকে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে দেয়া সহ স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা জুরুরি।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. আশরাফুল কবীর রাসেল, সহকারি কমিশনার (ভূমি) অনিন্দিতা রানী ভৌমিক, উপজেলা প্রকৌশলী শুভ বসাক, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, সদর ইউপি চেয়ারম্যান মো. শাহাদৎ হোসেন,ধানশাইল ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম সহ অন্যান্যরা ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছেন।উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশরাফুল কবীর রাসেল জানান, মহারশি নদীতে বেড়িবাঁধ নির্মাণের প্রস্তাবনা পাঠানো হয়েছে। এছাড়া প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসনের কাছে সবধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। স্ব-স্ব- ইউনিয়নে চেয়ারম্যানের মাধ্যমে পানি বন্দি মানুষের মাঝে শুকনো খাবার দেয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তীতে বাড়ীঘর ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে আর্থিক অনুদান ও ঢেউটিন প্রদান করা হবে বলেও জানান তিনি।