ঢাকা ১০:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

সাংবাদিক অপহরণ মামলায় কাউছার মুন্সি সহ দুজনকে জেল গেইটে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদে নির্দেশ 

মোঃ মাহাবুব আলম চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪ ১৩ বার পড়া হয়েছে

দি বাংলাদেশ টুডে’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক এস এম আবুল বরকত আকাশ,প্রকাশ; এস এম আকাশ’র দায়ের করা চাঞ্চল্যকর অপহরণ মামলায় (মামলা নং বায়েজিদ ২৪(০৬)২৪) সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দলের মূল হোতা মোস্তফা কাউছার মুন্সি (৪২) পিতা; ফতেহুল কদির ও সংঘবদ্ধ দলের আরেক সহযোগী আলী রাজ (২৮) পিতা; মাহবুবুল আলম কে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।২৩ জুন রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নুসরাত জাহান জিনিয়া এর ৫ম আদালত এ আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বায়েজিদ থানার সাব ইন্সপেক্টর রাজিব পাল’র নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ১৪ জুন শুক্রবার ভোররাতে আসামীদের গ্রেফতার করে। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে জোর করে নেয়া কিছু স্বাক্ষর করা খালি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প,বেআইনী ভাবে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা মোবাইল ফোন ও অপহরণ কালিন সময় ব্যবহার করা ফিল্ডার মডেলের কালো কাচের কালো রঙের প্রাইভেট গাড়ি (চট্রমেট্রো গ ১২- ৯৭৭০) জব্দ করা হয়েছে। আদালতের রিমান্ড প্রসঙ্গে বায়েজিদ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন,সাংবাদিক এস এম আকাশ অপহরণের মামলার এজাহার মোতাবেক আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং দুজন গ্রেফতারও হয়েছে এখন আদালত জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বায়েজিদ থানার সাব ইন্সপেক্টর রাজিব পাল আদালতে উপস্থিত হয়ে গোটা অপহরণের বিষয়ে আদালতকে অবিহিত করেন এবং বলেন,আমি অভিযানে গিয়ে অপহরণের সত্যতা খুঁজে পাই ও অপহরণ কালিন সময়ে জোর পূর্বক নেয়া কিছু স্ট্যাম্প,গাড়ি ও অন্যায় ভাবে নেয়া ভিডিও ফুটেজ ও ছবি ধারণ করা মোবাইল ফোন জব্দ করি।সংবাদদাতার আইনজীবী এডভোকেট ইয়াছিন আরাফাত সাজ্জাদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,সুষ্ঠু বিচারের জন্য অপরাধীদের আদালত জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সাংবাদিক এস এম আকাশ নিরপরাধ,তাকে অন্যায় ভাবে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে এ অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা পেশাদার না হলে এমন অন্যায় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতো না।একই প্রসঙ্গে মামলার সংবাদদাতা সাংবাদিক এস এম আকাশ গণমাধ্যমকে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র,পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়,বায়েজিদ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি, তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিচার বিভাগের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার ও আমার পরিবারের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমি এখনও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকির আভাস পাচ্ছি।ভুয়া ফেইসবুক পেইজে বানোয়াট বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আলোকিত রাঙ্গুনিয়া নামের ভুয়া পেইজ থেকে বিভিন্ন অপতথ্য দেয়া হচ্ছে। অপহরণ কালিন সময়ে জোর করে নেয়া চেক স্ট্যাম্প দিয়ে মামলার হুমকি, পেন্ডিং ও চলমান মামলায় গায়েবি আসামি করে ফাঁসানোর হুমকি এমনকি চোরা গুপ্তা হামলা করে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অপদস্ত করে প্রাণহানি করবে বলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খবর পাঠাচ্ছে। মাননীয় আদালত জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন,তাই বিনীত অনুরোধ অনতিবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও আমার চেক স্ট্যাম্প গুলো উদ্ধার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। ল্লেখ্য; গত ১১ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন বালুচরা এলাকার তুফানি রোডের শেষ অংশের রাস্তার মাথার বিশ্বাস বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টের পাশ এলাকা থেকে দি বাংলাদেশ টুডে এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান এস এম আকাশকে সশস্ত্র অবস্থায় মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে এবং অনাদায়ে খুন ও গুম করার মানসিকতা নিয়ে অপহরণ করে। ৩০ ঘন্টা ব্যাপী গোটা লোমহর্ষক অপহরণ কালিন সময়ে তাকে সংঘবদ্ধ দলের প্রায় ১২/১৪ জন অপহরণকারীরা পাহাড়ি এলাকায় নির্জন ভবনে নিয়ে গিয়ে রড,চাইনিজ কুড়াল,দেশীয় অস্ত্র,দেহ ব্যবসায়ী নারী,দেশীয় পিস্তল ইত্যাদি দিয়ে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।পরে তার পরিবারকে ডেকে এনে অপদস্ত করে নগদ ৭ লাখ ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ টাকা এবং বিভিন্ন অংকের ৫টি চেক ও ১৮টি স্বাক্ষর নেয়া খালি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প আদায় করে প্রায় ৩০ ঘন্টা পর মুক্তিপণ আদায়ের শর্ত সম্পন্ন করে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নির্জন রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে নিয়ে এসে আহত অবস্থায় নামিয়ে দেয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাংবাদিক অপহরণ মামলায় কাউছার মুন্সি সহ দুজনকে জেল গেইটে দুই দিনের জিজ্ঞাসাবাদে নির্দেশ 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:১৭:১২ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ জুন ২০২৪

দি বাংলাদেশ টুডে’র চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান সাংবাদিক এস এম আবুল বরকত আকাশ,প্রকাশ; এস এম আকাশ’র দায়ের করা চাঞ্চল্যকর অপহরণ মামলায় (মামলা নং বায়েজিদ ২৪(০৬)২৪) সংঘবদ্ধ সন্ত্রাসী দলের মূল হোতা মোস্তফা কাউছার মুন্সি (৪২) পিতা; ফতেহুল কদির ও সংঘবদ্ধ দলের আরেক সহযোগী আলী রাজ (২৮) পিতা; মাহবুবুল আলম কে জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।২৩ জুন রবিবার চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম নুসরাত জাহান জিনিয়া এর ৫ম আদালত এ আদেশ দেন। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের বায়েজিদ থানার সাব ইন্সপেক্টর রাজিব পাল’র নেতৃত্বে শ্বাসরুদ্ধকর অভিযানে ১৪ জুন শুক্রবার ভোররাতে আসামীদের গ্রেফতার করে। অভিযানকালে তাদের কাছ থেকে জোর করে নেয়া কিছু স্বাক্ষর করা খালি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প,বেআইনী ভাবে ছবি ও ভিডিও ফুটেজ ধারণ করা মোবাইল ফোন ও অপহরণ কালিন সময় ব্যবহার করা ফিল্ডার মডেলের কালো কাচের কালো রঙের প্রাইভেট গাড়ি (চট্রমেট্রো গ ১২- ৯৭৭০) জব্দ করা হয়েছে। আদালতের রিমান্ড প্রসঙ্গে বায়েজিদ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি সঞ্জয় কুমার সিনহা বলেন,সাংবাদিক এস এম আকাশ অপহরণের মামলার এজাহার মোতাবেক আমরা দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করি এবং দুজন গ্রেফতারও হয়েছে এখন আদালত জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন, আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। উক্ত মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও বায়েজিদ থানার সাব ইন্সপেক্টর রাজিব পাল আদালতে উপস্থিত হয়ে গোটা অপহরণের বিষয়ে আদালতকে অবিহিত করেন এবং বলেন,আমি অভিযানে গিয়ে অপহরণের সত্যতা খুঁজে পাই ও অপহরণ কালিন সময়ে জোর পূর্বক নেয়া কিছু স্ট্যাম্প,গাড়ি ও অন্যায় ভাবে নেয়া ভিডিও ফুটেজ ও ছবি ধারণ করা মোবাইল ফোন জব্দ করি।সংবাদদাতার আইনজীবী এডভোকেট ইয়াছিন আরাফাত সাজ্জাদ উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন,সুষ্ঠু বিচারের জন্য অপরাধীদের আদালত জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন। সাংবাদিক এস এম আকাশ নিরপরাধ,তাকে অন্যায় ভাবে মুক্তিপণের উদ্দেশ্যে এ অপহরণ করা হয়েছে। অপহরণকারীরা পেশাদার না হলে এমন অন্যায় ও অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে যুক্ত হতো না।একই প্রসঙ্গে মামলার সংবাদদাতা সাংবাদিক এস এম আকাশ গণমাধ্যমকে বলেন,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় স্বরাষ্ট্র,পররাষ্ট্র মন্ত্রী মহোদয়,বায়েজিদ থানার অফিসার্স ইনচার্জ ওসি, তদন্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বিচার বিভাগের কাছে আমার আকুল আবেদন, আমার ও আমার পরিবারের জান মালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন। আমি এখনও বিভিন্ন ভাবে হুমকি দমকির আভাস পাচ্ছি।ভুয়া ফেইসবুক পেইজে বানোয়াট বক্তব্য ও ভিডিও ফুটেজ দিয়ে আমাকে হেয়প্রতিপন্ন করার অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। আলোকিত রাঙ্গুনিয়া নামের ভুয়া পেইজ থেকে বিভিন্ন অপতথ্য দেয়া হচ্ছে। অপহরণ কালিন সময়ে জোর করে নেয়া চেক স্ট্যাম্প দিয়ে মামলার হুমকি, পেন্ডিং ও চলমান মামলায় গায়েবি আসামি করে ফাঁসানোর হুমকি এমনকি চোরা গুপ্তা হামলা করে আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের অপদস্ত করে প্রাণহানি করবে বলে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে খবর পাঠাচ্ছে। মাননীয় আদালত জেল গেইটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন,তাই বিনীত অনুরোধ অনতিবিলম্বে বাকি আসামিদের গ্রেফতার ও আমার চেক স্ট্যাম্প গুলো উদ্ধার করার জন্য পুলিশ প্রশাসনকে অনুরোধ জানাচ্ছি। ল্লেখ্য; গত ১১ জুন মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম নগরীর বায়েজিদ থানাধীন বালুচরা এলাকার তুফানি রোডের শেষ অংশের রাস্তার মাথার বিশ্বাস বাড়ি সংলগ্ন কালভার্টের পাশ এলাকা থেকে দি বাংলাদেশ টুডে এর চট্টগ্রাম বিভাগীয় ব্যুরো প্রধান এস এম আকাশকে সশস্ত্র অবস্থায় মুক্তিপণ আদায়ের উদ্দেশ্যে এবং অনাদায়ে খুন ও গুম করার মানসিকতা নিয়ে অপহরণ করে। ৩০ ঘন্টা ব্যাপী গোটা লোমহর্ষক অপহরণ কালিন সময়ে তাকে সংঘবদ্ধ দলের প্রায় ১২/১৪ জন অপহরণকারীরা পাহাড়ি এলাকায় নির্জন ভবনে নিয়ে গিয়ে রড,চাইনিজ কুড়াল,দেশীয় অস্ত্র,দেহ ব্যবসায়ী নারী,দেশীয় পিস্তল ইত্যাদি দিয়ে মারধর ও ভয়ভীতি প্রদর্শন করতে থাকে।পরে তার পরিবারকে ডেকে এনে অপদস্ত করে নগদ ৭ লাখ ও মোবাইল ব্যাংকিং এর মাধ্যমে সাড়ে তিন লাখ টাকা এবং বিভিন্ন অংকের ৫টি চেক ও ১৮টি স্বাক্ষর নেয়া খালি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প আদায় করে প্রায় ৩০ ঘন্টা পর মুক্তিপণ আদায়ের শর্ত সম্পন্ন করে ১৩ জুন বৃহস্পতিবার গভীর রাতে নির্জন রাস্তায় মোটরসাইকেলে করে নিয়ে এসে আহত অবস্থায় নামিয়ে দেয়।