ঢাকা ০৬:৪৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৪ লাখেরও বেশি এতিম ও পথশিশু বাবা-মায়ের যত্ন ছাড়াই জীবনযাপন করছে

রিপোর্টার মেহেদী হাসান অলি 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪ ১০০ বার পড়া হয়েছে

দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৪ লাখেরও বেশি এতিম ও পথশিশু বাবা-মায়ের যত্ন ছাড়াই জীবনযাপন করছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে এক করুন দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলো ছুটি হতে থাকে।বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না।এদের কারো বাবা-মা নেই, কারো বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই,বাবা বাচ্চার খোজ রাখে না।খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারো কারো মামা খালা চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়।বাকীরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না।কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়।মৃত মা বাবার উপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেচে থাকতে পারত না? মা বাবা বেচে নাই তো কী হইছে?মামা চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেচে থাকতে মামারা কত আদর করত!বাবা বেচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।একটা অনুরোধ – এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান।কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায় নি খোজ নিন।তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান।অন্তত বছরে একটি ঈদে তাদের সাথে উদযাপন করার চেষ্টা করুন।খুশির দিনে এতিমের মাথায় হাত বুলালে আল্লাহ তাআলা খুশি হন।গরমে তাদের আইসক্রিম,চকলেট খাওয়াতে পারেন।মনে রাখবেন,আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৪ লাখেরও বেশি এতিম ও পথশিশু বাবা-মায়ের যত্ন ছাড়াই জীবনযাপন করছে

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:১৬:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪

দেশের বিভিন্ন পর্যায়ে ৩৪ লাখেরও বেশি এতিম ও পথশিশু বাবা-মায়ের যত্ন ছাড়াই জীবনযাপন করছে বলে এক গবেষণায় উঠে এসেছে।রোজার শেষ দিকে বাংলাদেশের কওমী মাদ্রাসাগুলোতে এক করুন দৃশ্য দেখা যায়। সাধারণত ২৫ রোজা থেকে মাদ্রাসা ও এতিমখানা গুলো ছুটি হতে থাকে।বেশিরভাগ ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবক এসে বাচ্চাদেরকে বাসায় নিয়ে যায়। কিন্তু একদল বাচ্চাকে নিতে কেউ আসে না।এদের কারো বাবা-মা নেই, কারো বাবা নেই মায়ের অন্যত্র বিয়ে হয়ে গেছে। অনেকের মা নেই,বাবা বাচ্চার খোজ রাখে না।খুব বেশি ভাগ্যবান হলে কারো কারো মামা খালা চাচা এসে কাউকে কাউকে নিয়ে যায়।বাকীরা সারাদিন কান্না করে। তারা জানে তাদেরকে কেউ নিতে আসবে না। তারা সারা বছর কাঁদে না।কিন্তু যখন সহপাঠীদেরকে সবাই বাসায় নিয়ে যায় অথচ তাদেরকে কেউ নিতে আসে না তখন তাদের দুঃখ শুরু হয়ে যায়।মৃত মা বাবার উপর তাদের অভিমান সৃষ্টি হয়- কেন তারা তাদেরকে দুনিয়ায় রেখে এই বয়সে মারা গেল? তারা কি আর কিছুটা দিন বেচে থাকতে পারত না? মা বাবা বেচে নাই তো কী হইছে?মামা চাচারা কেউ তাদেরকে নিতে আসল না কেন? মা বেচে থাকতে মামারা কত আদর করত!বাবা বেচে থাকতে চাচারা কত আদর করত! এই বয়সেই তারা দুনিয়ার একটা নিষ্ঠুর চেহারা দেখেছে।একটা অনুরোধ – এই ঈদে আপনার কাছাকাছি এতিমখানায় যান।কয়জন বাচ্চা ঈদে বাড়ি যায় নি খোজ নিন।তাদের জন্য আপনার সামর্থ্য অনুযায়ী যা পারেন তা নিয়ে যান।অন্তত বছরে একটি ঈদে তাদের সাথে উদযাপন করার চেষ্টা করুন।খুশির দিনে এতিমের মাথায় হাত বুলালে আল্লাহ তাআলা খুশি হন।গরমে তাদের আইসক্রিম,চকলেট খাওয়াতে পারেন।মনে রাখবেন,আজ আপনি বেঁচে না থাকলে আপনার ছোট সন্তান এতিম হয়ে যাবে।