ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

পুলিশের কোন সদস্য মাদক, অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

মো: মহিবুল ইসলাম খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:১১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪ ১৭ বার পড়া হয়েছে

কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। আমাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ডিসিপ্লিন মেইন্টেন করা। সেজন্য কেএমপির সকল পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে অবশ্যই ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। যে কোন প্রকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স এবং পুলিশের কোন সদস্য প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ও পারিপার্শ্বিক কোনোভাবে মাদক, অনলাইন জুয়া বা প্রকাশ্য জুয়ার সাথে জড়িয়ে না যায় সে ব্যাপারে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। তিরিন আরও বলেন কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিউনিটি ব্যাংক হতে পুলিশ সদস্যদের রেগুলার ও জিপিএফ লোন নিতে নিরুৎসাহি করতে হবে। কমিশনার পুলিশ লাইন্স, থানা ফাঁড়ি, ক্যাম্পের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে আহবান জানান। তিনি মহানগরীতে Hello KMP অ্যাপস্ ব্যবহারের জন্য প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে আহŸান জানান। পুলিশ কমিশনার গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গ্রান্ড কল্যাণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা থেকে পাঠ করা হয়। সভায় হিট স্ট্রোক (Heat Stroke)-এর কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার এবং কাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেন খুলনা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: সৈয়দ একেএমএন করিম। এরপর বিগত কল্যাণ সভায় প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কেএমপি’র প্রসিকিউশন বিভাগে কর্মরত এসআই (নিঃ) মোঃ কামরুজ্জামান স্বেচ্ছায় এবং কনস্টেবল ৪৪৩৭ মোঃ হাবিবুর রহমান দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে বার্ধক্যজনিত অবসরে যাওয়ায় তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার। একইসাথে তাদের অবসরকালীন সময়ে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনাসহ সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।কেএমপি কমিশনার কল্যাণ সভার প্রারম্ভে বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সদের সমস্যার কথা শ্রবণ করেন। তিনি বিভিন্ন দাবি এবং প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর পুলিশ কমিশনার সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ট্রলি ব্যাগ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।সভায় কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্বে-ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) মোল­া জাহাঙ্গীর হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি), বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম পিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (ডিবি) বিএম নুরুজ্জামান বিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (লজিস্টিকস এ্যান্ড সাপ্লাই) এম এম শাকিলুজ্জামান (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (প্রসিকিউশন) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম, ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, ডেপুটি কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা এবং ডেপুটি কমিশনার (পিওএম) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজীসহ অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারবৃন্দ, সহকারী কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্স, সিভিল স্টাফ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পুলিশের কোন সদস্য মাদক, অনলাইন জুয়ায় জড়িত থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:১১:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ মে ২০২৪

কেএমপি কমিশনার মোঃ মোজাম্মেল হক বলেছেন, বাংলাদেশ পুলিশ একটি সুশৃঙ্খল বাহিনী। আমাদের মূল দায়িত্ব হচ্ছে ডিসিপ্লিন মেইন্টেন করা। সেজন্য কেএমপির সকল পদমর্যাদার পুলিশ অফিসার ও ফোর্সকে অবশ্যই ডিসিপ্লিন মেনে চলতে হবে। যে কোন প্রকার মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স এবং পুলিশের কোন সদস্য প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ও পারিপার্শ্বিক কোনোভাবে মাদক, অনলাইন জুয়া বা প্রকাশ্য জুয়ার সাথে জড়িয়ে না যায় সে ব্যাপারে সকলকে সর্তক থাকতে হবে। তিরিন আরও বলেন কেউ জড়িত থাকলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কমিউনিটি ব্যাংক হতে পুলিশ সদস্যদের রেগুলার ও জিপিএফ লোন নিতে নিরুৎসাহি করতে হবে। কমিশনার পুলিশ লাইন্স, থানা ফাঁড়ি, ক্যাম্পের পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারে সবাইকে উদ্বুদ্ধ করতে আহবান জানান। তিনি মহানগরীতে Hello KMP অ্যাপস্ ব্যবহারের জন্য প্রচার-প্রচারণা বাড়াতে আহŸান জানান। পুলিশ কমিশনার গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টায় বয়রাস্থ পুলিশ লাইন্স মাল্টিপারপাস হলে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গ্রান্ড কল্যাণ সভায় সভাপতির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। সভার শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াত ও শ্রীমদ্ভগবদগীতা থেকে পাঠ করা হয়। সভায় হিট স্ট্রোক (Heat Stroke)-এর কারণ, লক্ষণ, প্রতিকার এবং কাদের অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ সে সম্পর্কে স্বাস্থ্য বিষয়ক পরামর্শ প্রদান করেন খুলনা বিভাগীয় পুলিশ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত তত্ত্বাবধায়ক ডা: সৈয়দ একেএমএন করিম। এরপর বিগত কল্যাণ সভায় প্রস্তাবিত সিদ্ধান্ত ও বাস্তবায়নের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। কেএমপি’র প্রসিকিউশন বিভাগে কর্মরত এসআই (নিঃ) মোঃ কামরুজ্জামান স্বেচ্ছায় এবং কনস্টেবল ৪৪৩৭ মোঃ হাবিবুর রহমান দীর্ঘ চাকুরী জীবন শেষে বার্ধক্যজনিত অবসরে যাওয়ায় তাদেরকে ফুলেল শুভেচ্ছা, ক্রেস্ট ও উপহার সামগ্রী প্রদান করেন পুলিশ কমিশনার। একইসাথে তাদের অবসরকালীন সময়ে সর্বাঙ্গীণ মঙ্গল কামনাসহ সুস্থ ও সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করতে পারে সেই প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।কেএমপি কমিশনার কল্যাণ সভার প্রারম্ভে বিভিন্ন ইউনিটে কর্মরত সকল পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সদের সমস্যার কথা শ্রবণ করেন। তিনি বিভিন্ন দাবি এবং প্রত্যাশা পূরণে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। এরপর পুলিশ কমিশনার সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত ট্রলি ব্যাগ বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধন করেন।সভায় কেএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (এ্যাডমিন এন্ড ফিন্যান্স) সরদার রকিবুল ইসলাম বিপিএম-সেবা, অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক এন্ড প্রটোকল, অতিঃ দায়িত্বে-ক্রাইম এন্ড অপারেশন্স) মোছাঃ তাসলিমা খাতুন, ডেপুটি কমিশনার (উত্তর) মোল­া জাহাঙ্গীর হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (সদর) অতিরিক্ত মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন (অতিরিক্ত ডিআইজি), বিশেষ পুলিশ সুপার (সিটিএসবি) রাশিদা বেগম পিপিএম-সেবা (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (ডিবি) বিএম নুরুজ্জামান বিপিএম (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (লজিস্টিকস এ্যান্ড সাপ্লাই) এম এম শাকিলুজ্জামান (অতিরিক্ত ডিআইজি), ডেপুটি কমিশনার (প্রসিকিউশন) রিয়াজ উদ্দিন আহম্মেদ, পিপিএম, ডেপুটি কমিশনার (দক্ষিণ) মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার (এফএন্ডবি) শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু, ডেপুটি কমিশনার (ইএন্ডডি) মোঃ কামরুল ইসলাম, ডেপুটি কমিশনার (ট্রাফিক) মনিরা সুলতানা এবং ডেপুটি কমিশনার (পিওএম) শাহরিয়ার মোহাম্মদ মিয়াজীসহ অতিরিক্ত ডেপুটি কমিশনারবৃন্দ, সহকারী কমিশনারবৃন্দ, অফিসার ইনচার্জবৃন্দ ও বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার-ফোর্স, সিভিল স্টাফ উপস্থিত ছিলেন।