ঢাকা ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাগেরহাটে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আ.লীগ নেতা নিহত

মো:জামাত আলী বিশেষ প্রতিনিধি
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১১:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪ ৩৩ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মোজাফফর হোসেন খান (৬৬) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাননচক বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত মোজাফফর হোসেন খান কাননচক গ্রামের বাসিন্দা ও চিতলমারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় তানভীর আহম্মেদ মাটি বলেন, হিজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাননচক গ্রামের সজিব খান নামে এক যুবককে তুলে নিতে যান হিজলা এলাকার কাজী শাহেদসহ কয়েকজন। এ সময় কাননচক গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজী শাহেদসহ তুলে নিতে আশা লোকজনকে বেধড়ক পেটান। পরে হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীন ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজীর নেতৃত্বে দেড় থেকে দুইশ’ লোক কাননচক গ্রামে যান। তখন কলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখের নেতৃত্বে কাননচক এলাকার লোকজন এক হয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর খানকে টুংগীপাড়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়।এদিকে, খবর শুনে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।নিহতের জামাতা স্বাধীন শেখ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হবে।কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখ বলেন, হিজলার লোকজন সংঘর্ষ করার জন্য ঢাল-শর্কি নিয়ে এসেছিল। পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। আমি উত্তেজনা থেমে যাওয়ার পরে আসছি।এদিকে, ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজী ও হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীনের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।চিতলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, নারী ঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে দু’পক্ষের সংঘর্ষে আ.লীগ নেতা নিহত

নিউজ প্রকাশের সময় : ১১:১১:৪৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১২ এপ্রিল ২০২৪

বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলায় দুইপক্ষের সংঘর্ষে মোজাফফর হোসেন খান (৬৬) নামে এক আওয়ামী লীগ নেতা নিহত হয়েছেন। বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল) দুপুরে উপজেলার কাননচক বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।নিহত মোজাফফর হোসেন খান কাননচক গ্রামের বাসিন্দা ও চিতলমারি উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য।প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয় তানভীর আহম্মেদ মাটি বলেন, হিজলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের এক নেতার মেয়ের সঙ্গে পরকীয়া রয়েছে এমন অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার দিকে কাননচক গ্রামের সজিব খান নামে এক যুবককে তুলে নিতে যান হিজলা এলাকার কাজী শাহেদসহ কয়েকজন। এ সময় কাননচক গ্রামের লোকজন ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজী শাহেদসহ তুলে নিতে আশা লোকজনকে বেধড়ক পেটান। পরে হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীন ও আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজীর নেতৃত্বে দেড় থেকে দুইশ’ লোক কাননচক গ্রামে যান। তখন কলাতলা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখের নেতৃত্বে কাননচক এলাকার লোকজন এক হয়। এ সময় দুইপক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি হয়। এতে কয়েকজন আহত হয়। গুরুতর আহত আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর খানকে টুংগীপাড়া হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।আওয়ামী লীগ নেতা মোজাফফর হোসেন খানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দফায় দফায় বিক্ষোভ মিছিল ও পথসভা হয়।এদিকে, খবর শুনে বাগেরহাটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রাসেলুর রহমানসহ পুলিশ কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।নিহতের জামাতা স্বাধীন শেখ বলেন, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে পুলিশ। পারিবারিকভাবে আলোচনা করে দোষীদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হবে।কলাতলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. বাদশা মিয়া শেখ বলেন, হিজলার লোকজন সংঘর্ষ করার জন্য ঢাল-শর্কি নিয়ে এসেছিল। পুলিশের সামনেই ঘটনা ঘটেছে। আমি উত্তেজনা থেমে যাওয়ার পরে আসছি।এদিকে, ঘটনার পর থেকেই আওয়ামী লীগ নেতা লিটন কাজী ও হিজলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কাজী আবু শাহীনের মুঠোফোন বন্ধ রয়েছে।চিতলমারী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইকরাম হোসেন বলেন, নারী ঘটিত ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় একজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।