ঢাকা ০২:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পশ্চিম পদুয়ায় ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা ছুটছেন কবর জিয়ারতে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কলাতলী মানব সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী। ভোলার মনপুরায় নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক। ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড। ঈদে নতুন জামা নয়, এক খণ্ড রুটি চায় গাজার শিশুর সাউথ কোরিয়ায় গঙ্গা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স শেষ করার গল্পঃএ কে আজাদ বিশিষ্ট সমাজসেবক আলমগীর হোসেনের ঈদ শুভেচ্ছা পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে, ১০ কেজি করে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

বিক্রমপুরের প্রধান অর্থকরী ফসল আলুর বর্তমান বাজারদর নিয়ে আমার কিছু ক্ষুদ্র মতামত।

রিপোর্টার:-মেহেদী হাসান অলি
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২২৬ বার পড়া হয়েছে

বিক্রমপুরের প্রধান অর্থকরী ফসল আলুর বর্তমান বাজারদর নিয়ে আমার কিছু ক্ষুদ্র মতামত।

বিক্রমপুরের আলুর বাজারদর নিয়ে

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্প্রতি সময়ের আলোচিত অভিযানটা দেখে খুশি হয়েছিলাম।
তবে,প্রতিবেদনটিতে একটা বিষয় খেয়াল করে দেখলাম।এই অভিযানকে কেন্দ্র করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের ন্যায্য মুনাফা পাওয়ার বিষয়ে নিয়ে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলা হলো না।

যাদের কষ্টে অর্জিত শোনার ফসল মধ্যভুগি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
রক্ত ঘাম পানি করা
প্রান্তিক কৃষকদের বিষয়ে নিয়ে কতটুকু বা চিন্তা করা হয়েছে?
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ প্রান্তিক কৃষকরা কত টাকা মুনাফা পেলে কৃষক ও কৃষি বাজবে।সেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে সঠিক দিকনির্দেশনা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন।কারণ কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।

প্রান্তিক পর্যায়ের একজন আলু চাষী
যে আলুটা মাঠ পর্যায়ে কঠিন পরিশ্রম করে উৎপাদন করে,তারা প্রতি কেজি আলুর দাম ১২ টাকা করে বিক্রি হয়।তাতে করে প্রতি ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম আসে মাত্র ৬০০ টাকা।সেখানে মধ্যভুগি অসাধু ব্যবসায়ীরা অর্ধেকেরও কম পরিশ্রম করে প্রতি কেজি আলু ২৭ টাকা বিক্রি করে।যার প্রতি ৫০ কেজি বস্তার দাম আসে ১৩৫০ টাকা।মধ্যভুগি পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি ৫০ কেজি আলুর বস্তা থেকে,স্থান ও কাল ভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা মুনাফার করে,এর মধ্যে কোল্ড স্টোরেজ পায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।সাধারণ ভোক্তা ও বিক্রমপুরের একজন কৃষকের সন্তান হিসেবে প্রায় এক মাস যাবত ৪০/৪৫ টাকা ধরে আলু কিনে খেতে হচ্ছে।আমার মনে হয় প্রশাসন এখানেও শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে।আর না হয় সাধারণ জনগণ ও প্রান্তিক চাষীদের আরেকটা ধোকা দেওয়া হচ্ছে।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহীর কাছে আমার প্রশ্ন?
কত টাকা মুনাফা করতে পারলে একজন প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষক ধুকে ধুকে মরতে বসা কৃষি বাঁচাতে পারবে?

মাঠ পর্যায়ের ১২ টাকার আলু ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫ টাকা বিক্রয় হলেই বা কৃষক কত টাকা মুনাফা অর্জন করবে এবং কত টাকা মুনাফা করলে সেটা স্বাভাবিক বলে বলা যাবে।একজন প্রান্তিক কৃষকের সন্তান হিসেবে সঠিক এবং ন্যায্য বিষয়টা জানার অধিকার আছে বলে মনে করি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিক্রমপুরের প্রধান অর্থকরী ফসল আলুর বর্তমান বাজারদর নিয়ে আমার কিছু ক্ষুদ্র মতামত।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:১৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিক্রমপুরের প্রধান অর্থকরী ফসল আলুর বর্তমান বাজারদর নিয়ে আমার কিছু ক্ষুদ্র মতামত।

বিক্রমপুরের আলুর বাজারদর নিয়ে

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সম্প্রতি সময়ের আলোচিত অভিযানটা দেখে খুশি হয়েছিলাম।
তবে,প্রতিবেদনটিতে একটা বিষয় খেয়াল করে দেখলাম।এই অভিযানকে কেন্দ্র করে প্রান্তিক পর্যায়ের কৃষকের ন্যায্য মুনাফা পাওয়ার বিষয়ে নিয়ে তেমন গুরুত্বপূর্ণ কিছু বলা হলো না।

যাদের কষ্টে অর্জিত শোনার ফসল মধ্যভুগি ও অসাধু ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি।
রক্ত ঘাম পানি করা
প্রান্তিক কৃষকদের বিষয়ে নিয়ে কতটুকু বা চিন্তা করা হয়েছে?
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের কর্তৃপক্ষের কাছে আমার অনুরোধ প্রান্তিক কৃষকরা কত টাকা মুনাফা পেলে কৃষক ও কৃষি বাজবে।সেই বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করে সঠিক দিকনির্দেশনা জনসম্মুখে প্রকাশ করুন।কারণ কৃষক বাঁচলে দেশ বাঁচবে।

প্রান্তিক পর্যায়ের একজন আলু চাষী
যে আলুটা মাঠ পর্যায়ে কঠিন পরিশ্রম করে উৎপাদন করে,তারা প্রতি কেজি আলুর দাম ১২ টাকা করে বিক্রি হয়।তাতে করে প্রতি ৫০ কেজি আলুর বস্তার দাম আসে মাত্র ৬০০ টাকা।সেখানে মধ্যভুগি অসাধু ব্যবসায়ীরা অর্ধেকেরও কম পরিশ্রম করে প্রতি কেজি আলু ২৭ টাকা বিক্রি করে।যার প্রতি ৫০ কেজি বস্তার দাম আসে ১৩৫০ টাকা।মধ্যভুগি পাইকারি ব্যবসায়ীরা প্রতি ৫০ কেজি আলুর বস্তা থেকে,স্থান ও কাল ভেদে ৬৫০ থেকে ৭৫০ টাকা মুনাফার করে,এর মধ্যে কোল্ড স্টোরেজ পায় ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।সাধারণ ভোক্তা ও বিক্রমপুরের একজন কৃষকের সন্তান হিসেবে প্রায় এক মাস যাবত ৪০/৪৫ টাকা ধরে আলু কিনে খেতে হচ্ছে।আমার মনে হয় প্রশাসন এখানেও শুভঙ্করের ফাঁকি দিচ্ছে।আর না হয় সাধারণ জনগণ ও প্রান্তিক চাষীদের আরেকটা ধোকা দেওয়া হচ্ছে।জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রধান নির্বাহীর কাছে আমার প্রশ্ন?
কত টাকা মুনাফা করতে পারলে একজন প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষক ধুকে ধুকে মরতে বসা কৃষি বাঁচাতে পারবে?

মাঠ পর্যায়ের ১২ টাকার আলু ভোক্তা পর্যায়ে ৩৫ টাকা বিক্রয় হলেই বা কৃষক কত টাকা মুনাফা অর্জন করবে এবং কত টাকা মুনাফা করলে সেটা স্বাভাবিক বলে বলা যাবে।একজন প্রান্তিক কৃষকের সন্তান হিসেবে সঠিক এবং ন্যায্য বিষয়টা জানার অধিকার আছে বলে মনে করি।