ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস-২০২৪ পালিত
![](https://deshpriyo24.com/wp-content/themes/Newspaper-pro/assets/images/reporter.jpg)
- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৪:০৮:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ মার্চ ২০২৪ ৪৮ বার পড়া হয়েছে
![](https://i0.wp.com/deshpriyo24.com/wp-content/plugins/print-bangla-news/assest/img/print-news.png?ssl=1)
নদী বাঁচাও দেশ বাঁচাও স্লোগানকে সামনে রেখে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বরণাট্য আয়োজনে নদী ও প্রকৃতি সুরক্ষা সামাজিক আন্দোলন ‘তরী বাংলাদেশ’-এর উদ্যোগে পালিত হয়েছে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস। বৃহস্পতিবার (১৪ মার্চ) সকাল ১১ টায় পৌরশহরে আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস উপলক্ষ্যে এক বর্ণাঢ্য র্যালি ও জনসমাবেশের আয়োজন করা হয়। র্যালিটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের সুর সম্রাট দি আলাউদ্দিন সঙ্গীতাঙ্গন থেকে শুরু হয়ে জাতীয় বীর আব্দুল কুদ্দুস মাখন মুক্তমঞ্চ, বঙ্গবন্ধু স্কয়ারে গিয়ে শেষ হয়। বর্ণাঢ্য এই র্যালি ও জনসমাবেশে তরী বাংলাদেশ’র আহবায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, সদর উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মোশারফ হোসাইন,ব্রাহ্মণবাড়িয়া সাংবাদিক ইউনিয়ন সভাপতি দীপক চৌধুরীর বাপ্পি, সাধারণ সম্পাদক মো. মনির হোসেন, এটিএন নিউজ পূর্বাঞ্চলীয় ব্যুরো প্রধান পীযূষ কান্তি আচার্য্য, ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাবেদ রহিম বিজন প্রমুখ। র্যালি শেষে ‘তরী বাংলাদেশ’র আহবায়ক শামীম আহমেদের সভাপতিত্বে জনসমাবেশে বক্তারা বলেন, আন্তর্জাতিক নদীকৃত্য দিবস ও নদী-প্রকৃতি সংরক্ষণের গুরুত্ব তুলে ধরেন। সারাদেশে নদী দূষণ ও দখল মুক্ত রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার ঐতিহ্যবাহী তিতাস নদী ও শহরের গুরুত্বপূর্ণ ৪.৮ কিলোমিটার টাউনখাল সহ সকল নদী ও খাল দখল-দূষণ মুক্ত করে সুন্দর ব্রাহ্মণবাড়িয়া গড়ার আহ্বান জানান। এছাড়াও র্যালি ও জনসমাবেশে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ আকরাম, সাহিত্য একাডেমী সাধারণ সম্পাদক নূরুল আমিন, ভাষা ও সাহিত্য অনুশীলন কেন্দ্রের সভাপতি ওসমান গণি সজিব, অঙ্কুর শিশু-কিশোর সংগঠনের সভাপতি আনিসুল হক রিপন, জামিনুর রহমান, মো.আশিকুল আলম, তরী বাংলাদেশ এর সদস্য খালেদা মুন্নী, খায়রুজ্জামান ইমরান, সুশান্ত পাল, সোহেল রানা ভূইয়া, শিপন কর্মকার, শিরিন আক্তার, শাহ মো. আলামিন, মো.শাহীন শাহ, আব্দুল হাকিম, মো. রয়েল, হিরো, এহসানুল হক, তুরকান শাহ সহ বিভিন্ন সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবি সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য নদীর প্রতি মানুষের করণীয় কী, নদী রক্ষায় দায়িত্ব, মানুষের দায়বদ্ধতা কতটুকু; এসব বিষয় স্মরণ করিয়ে দিতে নদীকৃত্য দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ১৯৯৭ সালে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশে প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণে আন্তর্জাতিক কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয় ব্রাজিলে। পরবর্তীতে ১৯৯৮ সাল থেকে দিবসটি বিশ্বব্যপী পালিত হয়ে আসছে নদী সুরক্ষায় করনীয় অর্থাৎ নদীকৃত্য দিবস হিসেবে।