ঢাকা ০৮:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::

মামলা জট নিরসনে বিকল্প ব্যবস্থাকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। -প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান 

এম কে খোকন  (ব্যুরো চীফ ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:০০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪ ৫১ বার পড়া হয়েছে

মামলা জট নিরসনে বিকল্প ব্যবস্থা আছে, আগে যেমন গ্রামে শালিশের ব্যবস্থা ছিল,সেখানে আইন করেই গ্রাম্য বিচারকে শক্তিশালী করতে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা যদি বেশি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলার জট কিছুটা কমবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

 

আজ শুক্রবার(১ মার্চ) সকালে  ট্রেনযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পৌছান এবং সেখান থেকে সার্কিট হাউজে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মামলা জটের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন,মানুষ বাড়ার সাথে সাথে মামলার সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। মানুষ যত পড়াশোনা শিখতে ততই ক্রিটিকেল হয়ে উঠছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে, যে মামলা মোকদ্দমা করে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।

 

তিনি আরো বলেন, আরেকটি বিষয় হলো যে পরিমান বিচারক থাকা দরকার সারা বাংলাদেশে সে পরিমান বিচারক নেই।আমাদের দেশে প্রচলিত হিসাব অনুযায়ী ৯০ হাজার মানুষের জন্য সহকারি বিচারক থেকে প্রধান বিচারপতিসহ একজন বিচারক রয়েছেন।এত কম বিচারক দিয়ে মামলার জট সহজে সাড়ানো যাবে না। সেই জন্য আমরা জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি তবে সেই সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সরকারকে বলব।

 

তিনি বলেন, আামাদের বিচারকরা কখনো অলস সময় কাটায় না।কাজ করেই যাচ্ছে তারপর ও জট কমছে না। এক বছর মামলা ৫শত হলে পরের বছর বেড়ে ৫৫০ টি হয়েছে। মানুষ বাড়তেছে জমিজামা দাম বাড়তেছে খামাখা মামলা হয়, অনেক মামলা সামান্য জমির জন্য যে বিষয়টা পারিবারিক বা সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব কিন্তু  সেটা না করে কোর্টে চলে যাচ্ছি। সেজন্য মামলা বাড়ছে, বিচারপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। মামলার জট বাড়ছে তবে আশা করি যত দ্রুত সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে সমস্যা সমাধান করা হবে।

 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনে কোন ফাঁকফুকুর নেই। আইনজীবীরা আছেন তারা জানেন ফাঁক কতটুকু আছে ফুকুর কতটুকু আছে। ওনারা ফাঁক বের করেন, ফুকুর বের করেন। বিচারের মধ্যে যদি এমন ফাঁক থাকে তাহলে বেড়িয়ে আসতে পারে

 

এর আগে সার্কিট হাউসে আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান ফুলেল স্বাগত জানান এবং জেলা পুলিশের একটি চৌকস গার্ড দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন,  জেলা জজ শারমিন নিগার ও পিপি এড মাহবুবুল আলম খোকনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জজকোর্টের বিচারক এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজেস্টিট আদালত ভবনের পাশে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ”ন্যায়কুঞ্জ’  উদ্ভোধন ও আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন করেন। পরে জেলা জজকোর্ট সম্মেলন কক্ষে জেলা বিচারকদের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন। সম্মেলন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া গমন করেন এবং  সীমান্ত এলাকায় একটি স্কুল ভবন উদ্ভোধন করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মামলা জট নিরসনে বিকল্প ব্যবস্থাকে জনপ্রিয় করে তুলতে হবে। -প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:০০:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ মার্চ ২০২৪

মামলা জট নিরসনে বিকল্প ব্যবস্থা আছে, আগে যেমন গ্রামে শালিশের ব্যবস্থা ছিল,সেখানে আইন করেই গ্রাম্য বিচারকে শক্তিশালী করতে বিকল্প ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেটা যদি বেশি জনপ্রিয় করা যায় তাহলে মামলার জট কিছুটা কমবে বলে মনে করেন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান।

 

আজ শুক্রবার(১ মার্চ) সকালে  ট্রেনযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলস্টেশন পৌছান এবং সেখান থেকে সার্কিট হাউজে আসলে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

 

মামলা জটের বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেন,মানুষ বাড়ার সাথে সাথে মামলার সংখ্যাও ক্রমাগত বাড়ছে। মানুষ যত পড়াশোনা শিখতে ততই ক্রিটিকেল হয়ে উঠছে। মানুষকে সচেতন হতে হবে, যে মামলা মোকদ্দমা করে সমস্যা সমাধান করা সম্ভব হবে না।

 

তিনি আরো বলেন, আরেকটি বিষয় হলো যে পরিমান বিচারক থাকা দরকার সারা বাংলাদেশে সে পরিমান বিচারক নেই।আমাদের দেশে প্রচলিত হিসাব অনুযায়ী ৯০ হাজার মানুষের জন্য সহকারি বিচারক থেকে প্রধান বিচারপতিসহ একজন বিচারক রয়েছেন।এত কম বিচারক দিয়ে মামলার জট সহজে সাড়ানো যাবে না। সেই জন্য আমরা জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশনের মাধ্যমে একশত বিচারক নিয়োগ করতে পারি তবে সেই সংখ্যা বাড়ানোর জন্য সরকারকে বলব।

 

তিনি বলেন, আামাদের বিচারকরা কখনো অলস সময় কাটায় না।কাজ করেই যাচ্ছে তারপর ও জট কমছে না। এক বছর মামলা ৫শত হলে পরের বছর বেড়ে ৫৫০ টি হয়েছে। মানুষ বাড়তেছে জমিজামা দাম বাড়তেছে খামাখা মামলা হয়, অনেক মামলা সামান্য জমির জন্য যে বিষয়টা পারিবারিক বা সামাজিকভাবে সমাধান করা সম্ভব কিন্তু  সেটা না করে কোর্টে চলে যাচ্ছি। সেজন্য মামলা বাড়ছে, বিচারপ্রার্থীর সংখ্যা বাড়ছে। মামলার জট বাড়ছে তবে আশা করি যত দ্রুত সম্ভব না হলেও ভবিষ্যতে সমস্যা সমাধান করা হবে।

 

আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আইনে কোন ফাঁকফুকুর নেই। আইনজীবীরা আছেন তারা জানেন ফাঁক কতটুকু আছে ফুকুর কতটুকু আছে। ওনারা ফাঁক বের করেন, ফুকুর বের করেন। বিচারের মধ্যে যদি এমন ফাঁক থাকে তাহলে বেড়িয়ে আসতে পারে

 

এর আগে সার্কিট হাউসে আসলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসক মোঃ হাবিবুর রহমান ফুলেল স্বাগত জানান এবং জেলা পুলিশের একটি চৌকস গার্ড দল গার্ড অব অনার প্রদান করেন। এসময় জেলা প্রশাসক ছাড়াও জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ ইকবাল হোসেন,  জেলা জজ শারমিন নিগার ও পিপি এড মাহবুবুল আলম খোকনসহ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রশাসন ও জজকোর্টের বিচারক এবং আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

এসময় ব্রাহ্মণবাড়িয়া জুডিশিয়াল ম্যাজেস্টিট আদালত ভবনের পাশে বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামাগার ”ন্যায়কুঞ্জ’  উদ্ভোধন ও আদালত প্রাঙ্গণে বৃক্ষরোপন করেন। পরে জেলা জজকোর্ট সম্মেলন কক্ষে জেলা বিচারকদের সাথে মতবিনিময়ে মিলিত হন। সম্মেলন শেষে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া গমন করেন এবং  সীমান্ত এলাকায় একটি স্কুল ভবন উদ্ভোধন করেন।