ঢাকা ০৫:৪০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১১ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির ভারাটিয়া খুনি মফেজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি। 

রিপোর্টার ফাতেমা আক্তার মাহমুদ ইভা 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪ ২২৮ বার পড়া হয়েছে

সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির ভারাটিয়া খুনি মফেজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি।

রিপোর্টার ফাতেমা আক্তার মাহমুদ ইভা

জাতীয় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়-

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,বক্তব্যের শুরুতে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে।শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে।শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আগস্টের সেই কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ দিয়েছেন যারা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলসহ পনেরোই আগস্টের সকল শহীদের।শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি একাত্তরের ত্রিশ লক্ষ বীর শহীদ ও দুই লক্ষ বীরাঙ্গনা মা বোন দেরকে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মাতুব্বর এবং অন্যান্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ১লা নভেম্বর ২০২৩ বুধবার সকাল ১১টায় ৮/৪-এ, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টস এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে মাদারীপুরে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপির নাম ব্যবহার করে স্থানীয় সন্ত্রাসী মফেজ কর্তৃক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মাতুব্বরের বীর নিবাস নির্মাণে বাধা প্রদান, চাঁদা দাবি এবং অস্ত্র দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও হামলাকারী সিরিয়াল কিলার মফেজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগী আমি মোঃ শাহিন মাতুব্বর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করি।উক্ত সংবাদ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্তাসী মফেজ আমার বিরুদ্ধে উক্ত স্থানে ৩রা নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে যার বিষয়বস্তু ছিল-“বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি -এর নামে মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্ত মূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন”।

 

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনে যে সব মিথ্যা ভিত্তিহীন বিষয় তুলে ধরেছে আমি তার কিছু প্রমান আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরছি এবং আমার সংবাদ সম্মেলন যে দুটি বিষয় বলেছিলাম তা হচ্ছে –

এক, সন্ত্রাসী মফেজ শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের বাসায় থাকে, তার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে।

দুই হচ্ছে সন্ত্রাসী মফেজ একজন সিরিয়াল কিলার দাগি আসামী। এখানে কোন ভাবেই আমি -“বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের নামে মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্তমূলক কোন কথা বলিনি।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমি হুবহু সন্ত্রাসীদের মুখের কথা তুলে ধরেছি।আমি সম্পূর্ণ সত্য বিষয় তুলে ধরেছি। অপর দিকে সন্ত্রাসী মফেজ যা বলেছে তা ১০০% মিথ্যা বলেছে। আমি তারি প্রমান সাংবাদিক ভাই ও বোনেদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরছি।- এক, সন্ত্রাসী মফেজ শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের বাসায় থাকে এটা সন্ত্রাসী মফেজ তার সংবাদ সম্মেলনে শিকার করেছে তার মানে আমি সত্য বলেছি। শাজাহান খান এমপি তাকে বাসায় রেখেছে মানুষ খুন আর চাঁদাবাজি করার জন্য এটা সন্ত্রাসী মফেজের মুখের কথা, আমি নিজ থেকে কিছু বলি নাই।

দ্বিতীয় তো সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে বাংলাদেশের কোন থানায় তার নামে কোন মামলা নাই।এ বিষয় টা মিথ্যা প্রমাণের আগে আর কিছু বিষয় দেশ বাসীর সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছি তারপর মামলার বিষয় টা প্রমাণসহ তুলে ধরছি।

১।সন্ত্রাসী মফেজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে বীর নিবাস নির্মাণের বিষয় টা পারিবারিক সমস্যা। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি প্রথমত মফেজ আমার আপন চাচা না, তার মানে এই বিষয়টা কোন ভাবেই পারিবারিক বিষয় না, এমন কি বংশগত ও না।যদি বংশগত হত তাহলে সে পারিবারিক সমস্যা বলতো-না ।পুর বিষয়টা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

২।সন্ত্রাসী মফেজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে মাহাবুব হাসান লিপন এবং কবির আমার চাচাতো ভাই আমি তাদের কে সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেছি এবং আর ১০/১৫জন কে।প্রিয় দেশ বাসি- মাহাবুব হাসান লিপন এবং কবির ভাইয়ের নাম আমি কোথাও বলিনি এমন কি আমি যাদের কে আসামী করেছি তাদের মধ্যে লিপন এবং কবির ভাই এর নাম নেই এবং উক্ত ঘটনায় কোন অভিযোগ করা হয়নি তাদের নামে।প্রমান স্বরূপ আপনাদের সামনে আমি উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার নথি প্রকাশ করছি।এতে প্রমাণিত হয় সন্ত্রাসী মফেজ যা বলেছে তা ১০০% মিথ্যা বলেছে।

বাকি ১০/১৫ জনের কথা বলা হয়েছে যারা আমার বংশের।কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে তারা কেই আমার বংশের না।প্রমাণ স্বরূপ আমি আমার বংশের পাঁচ প্রজন্ম অর্থাৎ প্রায় তিনশত বছরের ইতিহাস তুলে ধরছি।আপনেরা এর সত্যতা যাচাই করতে পারেন।এ থেকে আবারো প্রমাণিত হয় ১০০ তে ১০০% মিথ্যা কথা বলছে সন্ত্রাসী মফেজ ।

৪।সন্ত্রাসী মফেজ শিকার করেছে সে শাজাহান খান এম,পির বাসার থাকে, যে কথাটা আমিও জোর গলায় বলেছি।এখানে থাকে বলেই শাজাহান খান এমপির মহোদয়ের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী মফেজ যা ইচ্ছে তাই করে, যে কোন ধরনের অপরাধ করতে সাহস পায় এবং দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপরাধ নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে যার কিছুই হয়তো শাজাহান খান এমপি চাচা জানেন’ই না তাই হয় তো সে বিশ্বাস করতে পারছে না তার নামে সন্ত্রাসী মফেজ চাঁদা দাবি করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত।

৫।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের বাড়িতে ছোট্ট একটি টিনের ঘরে সামান্য কিছু টাকার বিনিময় ভাড়া থাকে এটা কি বিশ্বাস করার মতো কথা?? আমি সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা মাধ্যমে দেশ বাসির কাছে জানতে চাই আপনারা কি এই কথা বিশ্বাস করেন ?? শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের কি এমন দিন আইছে সামান্য কয়টা টাকার জন্য ছোট একটা টিনের ঘর ভাড়া দিতে হবে ??তাও আবার একজন দাগি আসামী কে?আমি এটা বিশ্বাস করিনা।এই কথার মাধ্যমে সন্ত্রাসী মফেজ আমার পিতৃ সমতুল্য শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান চাচা এবং তার পরিবারকে ভীষণ ভাবে সমাজের কাছে হেয় এবং সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সন্ত্রাসী মফেজ কে অবিলম্বে এই কথা প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।অন্যথায় আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান চাচা এবং তার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে সন্ত্রাসী মফেজের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

৬।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে সে একজন ঠিকাদার ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা তার কোন ঠিকাদারি লাইসেন্স নাই। আমার জানামতে সে আজ অব্দি কোন একটা ঠিকাদারি কাজ’ও করে নাই।এ থেকেও প্রমাণিত হয় সে মিথ্যে বলেছে।

৭।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে – আমি শাহিন মাতুব্বর দূত চরিত্রের অধিকারী হওয়ায় আমার বসতবাড়ি খাস দেখিয়ে ডিসি বরাবর আবেদন করিয়া বন্দোবস্ত নেই।তার মানে সে বুঝাতে চেয়েছে বীর নিবাস নির্মাণ কৃত জায়গা খাস না। ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।সুধু আমাদের বাড়ি না সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদনের বাড়িও খাস।মোট কথা ২নং বড় গোসাইদিয়া মৌজা, দেয়ারা-১ এর সমস্ত জমি খাস।যে হেতু খাস জমিতে কোন ব্যক্তিগত স্থাপনা করা যায় না, তাই বীর নিবাস নির্মাণের জন্য আমার পিতার পৈত্তিক বাড়ি আমার মায়ের নামে ডিসি মহোদয় পুনরায় বন্দোবস্ত দেয়। এবং এই বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য শাজাহান খান এমপি চাচা ডিসি মহোদয় কে লিখিত ভাবে জোর সুপারিশ করে।এই তার প্রমান আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।এ থেকে’ও প্রমাণিত হয় সন্ত্রাসী মফেজ যা বলেছে তা ১০০% মিথ্যা বলেছে।

৮।আমাদের ঘরের জায়গায় অন্য কোন ওয়ারিশগণ নাই।তিনশত বছর আগের থেকে আমাদের বংশের সকল জমি জমা ভাগ করা। আমার দাদা এবং বাবা-চাচা সে ভাবেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন রকম ঝগড়া বিবাদ ছাড়া শান্তিতে বসবাস করে গেছে এই বিষয়টা খুব ভাল ভাবেই শাজাহান খান এমপি মহোদয় জানে কারন সে আমার চাচার বাড়ি তেও গেছে এবং আমার বাবার বাড়িতেও আসছে।বাবা-চাচার মৃত্যুর পরে আমার ২/১ জন চাচাতো ভাই নিজেদের হীনস্বার্থ উদ্ধার করতে সন্ত্রাসী মফেজের সাথে হাত মিলিয়েছে।এবং আমার বাবা-চাচার মান সম্মান চিরতরে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে সেটা আমি কোন ভাবেই হতে দিতে পারিনা।

৯।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে ঘটনার সময় ac land উপস্থিত ছিল ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসত্য ac land সাহেব আসার ঠিক ১০/১৫ মিনিট পূর্বে সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে আহত করে ac land সাহেবের সাথে আমাকে দেখা করতে দেয়নি।পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ঠিক তখন আমি এবং আমার মা ও ছোট ভাই ac land এবং UNO সাহেবের সাথে দেখা করি তাদের অফিসে এবং বিষয়টা তুলে ধরি। UNO সাহেব সাথে সাথে ফোন দিয়ে থানার OC মহোদয় কে বিষয়টি জানান এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এবার আসুন মূল বিষয় সন্ত্রাসী মফেজ সিরিয়াল কিলার কি না??

মফেজের হাতে জারজারা খুন হয়েছে তাদের পক্ষে করা মামলার নথি-

১।হিরু শেখ হত্যা

১নং আসামী ছালাম হাওলাদার।২নং আসামী মফেল মাতুব্বর।৩নং আসামী দাদান মাতুব্বর,৪নং আসামী ছরোয়ার মাতুব্বর।তারিখ – ০৯/০৩/২০১৫ইং ধরা ৩০২/৩৪ জি,আর ১৪৩/১৫m

২।সুন্দর/ বাচ্চু হত্যার হত্যার ৫নং আসামী মফেজ মাতুব্বর তারিখ ১৮/০৯/২০০২ইং, ধারা-১৪৮/১৪৯/৪৪৮/৩২৬/৩০৫/৩০৭/৩০২/১১৪ জি,আর ২৬৩/০২m

৩।মজিবর মাতুব্বর(মাস্টার)হত্যা মামলার ১নং আসামী মফেজ মাতুব্বর তারিখ-২০/০৮/১৯৯৭ইং ধারা ১৪৮/৩০২/১০২/১০৯/১১৪/৩৪ জি,আর ৫১২/৯৭m

৪।অস্ত্র মামলার (চলমান) ১নং আসামী মফেজ মাতুব্বর ।

৫।এছাড়াও অন্য হত্যা মামলার ২নং আসামী দাদন মাতুব্বর এবং ৯নং আসামী ছরো মাতুব্বর। জি,আর নং ২১৬/১০ ধারা ৩০২/৩৪গুলি করে হত্যা।

এদের হত্যা কান্ডের মধ্যে উল্লেখ লোমহর্ষক হত্যা হচ্ছে – দুই জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন।এই দুই পুলিশ কে ৭০/৮০ টুকরো করে কুমার নদীতে দেড় কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয় এবং দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি লুট করে অস্ত্র নিয়ে আসে সেই অস্ত্র দিয়েই সশস্ত্র সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদন বাহিনী আজও এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।এরা এতোটাই বর্বর যে এদের হাত থেকে মৃতঃ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভিত্তিপ্রস্তর’ও রক্ষা পায় না।ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।অথচ এই ভিত্তিপ্রস্তর শাজাহান খান এমপি মহোদয় নিজে সশরীরে এসে উদ্বোধন করেছে, আজ সেই ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদন বাহিনী।নিশ্চয়ই শাজাহান খন এমপি মহোদয়ের এই হীন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানেন না।ঠিক একই ভাবে আমার কাছে চাঁদা দাবি করার বিষয় টিও সে জানে না,তাই সে বিশ্বাস করতে পারছেন না। জার বিরুদ্ধে এতো গুলো মামলা সে কি করে বলে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই?? তাও আবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ থেকেই বুঝা যায় সন্ত্রাসী মফেজ কত শক্তিশালী সন্ত্রাসী এবং কত বড় মিথ্যাবাদী। এ-থেকে আরও প্রমাণিত হয় যে আমি শাহিন মাতুব্বর বিগত সংবাদ সম্মেলন যা বলেছি এবং এই সংবাদ সম্মেলন যা বলছি সবি সত্য বলেছি।

 

সন্ত্রাসী মফেজ, খান সাহেবের বাসায় থেকে কি ধরণের অপকর্ম করে তার প্রমাণ উল্লেখিত হত্যাকাণ্ড এবং মৃতঃ বীর মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া টাই প্রমাণ করে এর চাইতে বেশি কিছু বলার নাই। আমরা এলাকা বাসি এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের হাত থেকে বাঁচতে চাই।বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খন এমপি মহোদয়ের কাছে আমার জীবন ভিক্ষা চাই এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।আমরা আমাদের পৈতৃক বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।

পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন শেষ করছি।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির জয় হোক।

শুভেচ্ছান্তে

শাহিন মাতুব্বর

সহ-সভাপতি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির ভারাটিয়া খুনি মফেজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি। 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:৩৯:১২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জানুয়ারী ২০২৪

সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী শাজাহান খান এমপির ভারাটিয়া খুনি মফেজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনীর বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন ও অবস্থান কর্মসূচি।

রিপোর্টার ফাতেমা আক্তার মাহমুদ ইভা

জাতীয় প্রেসক্লাব কার্যালয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবার কর্তৃক আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়-

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা,বক্তব্যের শুরুতে আমি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কে।শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি জাতীয় চার নেতাকে।শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আগস্টের সেই কালরাতে ঘাতকের নির্মম বুলেটে প্রাণ দিয়েছেন যারা, বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব, ছোট্ট নিষ্পাপ শিশু শেখ রাসেলসহ পনেরোই আগস্টের সকল শহীদের।শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি একাত্তরের ত্রিশ লক্ষ বীর শহীদ ও দুই লক্ষ বীরাঙ্গনা মা বোন দেরকে যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি।শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি আমার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মাতুব্বর এবং অন্যান্য সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের কে।

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি যে, গত ১লা নভেম্বর ২০২৩ বুধবার সকাল ১১টায় ৮/৪-এ, তোপখানা রোড, সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশ ক্রাইম রিপোর্টস এসোসিয়েশন (ক্র্যাব) কার্যালয়ে মাদারীপুরে সাবেক নৌ-পরিবহন মন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপির নাম ব্যবহার করে স্থানীয় সন্ত্রাসী মফেজ কর্তৃক জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বীর মুক্তিযোদ্ধা শাহজাহান মাতুব্বরের বীর নিবাস নির্মাণে বাধা প্রদান, চাঁদা দাবি এবং অস্ত্র দিয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের উপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনার প্রতিবাদ ও হামলাকারী সিরিয়াল কিলার মফেজ ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী কে দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবিতে ভুক্তভোগী আমি মোঃ শাহিন মাতুব্বর একটি সাংবাদিক সম্মেলন করি।উক্ত সংবাদ সম্মেলনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্তাসী মফেজ আমার বিরুদ্ধে উক্ত স্থানে ৩রা নভেম্বর ২০২৩ শুক্রবার একটি সাংবাদিক সম্মেলন করে যার বিষয়বস্তু ছিল-“বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি -এর নামে মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্ত মূলক সংবাদ প্রচারের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন”।

 

প্রিয় সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা উক্ত সংবাদ সম্মেলনে যে সব মিথ্যা ভিত্তিহীন বিষয় তুলে ধরেছে আমি তার কিছু প্রমান আপনাদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরছি এবং আমার সংবাদ সম্মেলন যে দুটি বিষয় বলেছিলাম তা হচ্ছে –

এক, সন্ত্রাসী মফেজ শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের বাসায় থাকে, তার নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ধরনের অপকর্ম করে।

দুই হচ্ছে সন্ত্রাসী মফেজ একজন সিরিয়াল কিলার দাগি আসামী। এখানে কোন ভাবেই আমি -“বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের নামে মিথ্যা বানোয়াট, উদ্দেশ্য প্রণোদিত ও বিভ্রান্তমূলক কোন কথা বলিনি।উক্ত সংবাদ সম্মেলনে আমি হুবহু সন্ত্রাসীদের মুখের কথা তুলে ধরেছি।আমি সম্পূর্ণ সত্য বিষয় তুলে ধরেছি। অপর দিকে সন্ত্রাসী মফেজ যা বলেছে তা ১০০% মিথ্যা বলেছে। আমি তারি প্রমান সাংবাদিক ভাই ও বোনেদের মাধ্যমে দেশবাসীর কাছে তুলে ধরছি।- এক, সন্ত্রাসী মফেজ শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের বাসায় থাকে এটা সন্ত্রাসী মফেজ তার সংবাদ সম্মেলনে শিকার করেছে তার মানে আমি সত্য বলেছি। শাজাহান খান এমপি তাকে বাসায় রেখেছে মানুষ খুন আর চাঁদাবাজি করার জন্য এটা সন্ত্রাসী মফেজের মুখের কথা, আমি নিজ থেকে কিছু বলি নাই।

দ্বিতীয় তো সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে বাংলাদেশের কোন থানায় তার নামে কোন মামলা নাই।এ বিষয় টা মিথ্যা প্রমাণের আগে আর কিছু বিষয় দেশ বাসীর সামনে তুলে ধরতে চাচ্ছি তারপর মামলার বিষয় টা প্রমাণসহ তুলে ধরছি।

১।সন্ত্রাসী মফেজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে বীর নিবাস নির্মাণের বিষয় টা পারিবারিক সমস্যা। আপনাদের অবগতির জন্য জানাচ্ছি প্রথমত মফেজ আমার আপন চাচা না, তার মানে এই বিষয়টা কোন ভাবেই পারিবারিক বিষয় না, এমন কি বংশগত ও না।যদি বংশগত হত তাহলে সে পারিবারিক সমস্যা বলতো-না ।পুর বিষয়টা ভিন্ন খাতে নেওয়ার জন্য সে মিথ্যাচার করে যাচ্ছে।

২।সন্ত্রাসী মফেজ সংবাদ সম্মেলনে বলেছে মাহাবুব হাসান লিপন এবং কবির আমার চাচাতো ভাই আমি তাদের কে সন্ত্রাসী বলে উল্লেখ করেছি এবং আর ১০/১৫জন কে।প্রিয় দেশ বাসি- মাহাবুব হাসান লিপন এবং কবির ভাইয়ের নাম আমি কোথাও বলিনি এমন কি আমি যাদের কে আসামী করেছি তাদের মধ্যে লিপন এবং কবির ভাই এর নাম নেই এবং উক্ত ঘটনায় কোন অভিযোগ করা হয়নি তাদের নামে।প্রমান স্বরূপ আপনাদের সামনে আমি উক্ত ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার নথি প্রকাশ করছি।এতে প্রমাণিত হয় সন্ত্রাসী মফেজ যা বলেছে তা ১০০% মিথ্যা বলেছে।

বাকি ১০/১৫ জনের কথা বলা হয়েছে যারা আমার বংশের।কিন্তু প্রকৃত সত্য হচ্ছে তারা কেই আমার বংশের না।প্রমাণ স্বরূপ আমি আমার বংশের পাঁচ প্রজন্ম অর্থাৎ প্রায় তিনশত বছরের ইতিহাস তুলে ধরছি।আপনেরা এর সত্যতা যাচাই করতে পারেন।এ থেকে আবারো প্রমাণিত হয় ১০০ তে ১০০% মিথ্যা কথা বলছে সন্ত্রাসী মফেজ ।

৪।সন্ত্রাসী মফেজ শিকার করেছে সে শাজাহান খান এম,পির বাসার থাকে, যে কথাটা আমিও জোর গলায় বলেছি।এখানে থাকে বলেই শাজাহান খান এমপির মহোদয়ের নাম ব্যবহার করে সন্ত্রাসী মফেজ যা ইচ্ছে তাই করে, যে কোন ধরনের অপরাধ করতে সাহস পায় এবং দীর্ঘদিন যাবত বিভিন্ন অপরাধ নির্দ্বিধায় করে যাচ্ছে যার কিছুই হয়তো শাজাহান খান এমপি চাচা জানেন’ই না তাই হয় তো সে বিশ্বাস করতে পারছে না তার নামে সন্ত্রাসী মফেজ চাঁদা দাবি করে যাচ্ছে দীর্ঘদিন যাবত।

৫।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের বাড়িতে ছোট্ট একটি টিনের ঘরে সামান্য কিছু টাকার বিনিময় ভাড়া থাকে এটা কি বিশ্বাস করার মতো কথা?? আমি সাংবাদিক ভাই ও বোনেরা মাধ্যমে দেশ বাসির কাছে জানতে চাই আপনারা কি এই কথা বিশ্বাস করেন ?? শাজাহান খান এমপি মহোদয়ের কি এমন দিন আইছে সামান্য কয়টা টাকার জন্য ছোট একটা টিনের ঘর ভাড়া দিতে হবে ??তাও আবার একজন দাগি আসামী কে?আমি এটা বিশ্বাস করিনা।এই কথার মাধ্যমে সন্ত্রাসী মফেজ আমার পিতৃ সমতুল্য শ্রদ্ধাভাজন অভিভাবক বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান চাচা এবং তার পরিবারকে ভীষণ ভাবে সমাজের কাছে হেয় এবং সামাজিক মর্যাদা ও সম্মান ক্ষুণ্ণ করেছে।আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।সন্ত্রাসী মফেজ কে অবিলম্বে এই কথা প্রত্যাহার করে জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে হবে।অন্যথায় আমরা বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তানেরা বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান চাচা এবং তার পরিবারের সম্মান রক্ষার্থে সন্ত্রাসী মফেজের বিরুদ্ধে কঠিন পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।

৬।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে সে একজন ঠিকাদার ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা তার কোন ঠিকাদারি লাইসেন্স নাই। আমার জানামতে সে আজ অব্দি কোন একটা ঠিকাদারি কাজ’ও করে নাই।এ থেকেও প্রমাণিত হয় সে মিথ্যে বলেছে।

৭।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে – আমি শাহিন মাতুব্বর দূত চরিত্রের অধিকারী হওয়ায় আমার বসতবাড়ি খাস দেখিয়ে ডিসি বরাবর আবেদন করিয়া বন্দোবস্ত নেই।তার মানে সে বুঝাতে চেয়েছে বীর নিবাস নির্মাণ কৃত জায়গা খাস না। ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা।সুধু আমাদের বাড়ি না সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদনের বাড়িও খাস।মোট কথা ২নং বড় গোসাইদিয়া মৌজা, দেয়ারা-১ এর সমস্ত জমি খাস।যে হেতু খাস জমিতে কোন ব্যক্তিগত স্থাপনা করা যায় না, তাই বীর নিবাস নির্মাণের জন্য আমার পিতার পৈত্তিক বাড়ি আমার মায়ের নামে ডিসি মহোদয় পুনরায় বন্দোবস্ত দেয়। এবং এই বন্দোবস্ত দেয়ার জন্য শাজাহান খান এমপি চাচা ডিসি মহোদয় কে লিখিত ভাবে জোর সুপারিশ করে।এই তার প্রমান আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।এ থেকে’ও প্রমাণিত হয় সন্ত্রাসী মফেজ যা বলেছে তা ১০০% মিথ্যা বলেছে।

৮।আমাদের ঘরের জায়গায় অন্য কোন ওয়ারিশগণ নাই।তিনশত বছর আগের থেকে আমাদের বংশের সকল জমি জমা ভাগ করা। আমার দাদা এবং বাবা-চাচা সে ভাবেই মৃত্যুর আগ পর্যন্ত কোন রকম ঝগড়া বিবাদ ছাড়া শান্তিতে বসবাস করে গেছে এই বিষয়টা খুব ভাল ভাবেই শাজাহান খান এমপি মহোদয় জানে কারন সে আমার চাচার বাড়ি তেও গেছে এবং আমার বাবার বাড়িতেও আসছে।বাবা-চাচার মৃত্যুর পরে আমার ২/১ জন চাচাতো ভাই নিজেদের হীনস্বার্থ উদ্ধার করতে সন্ত্রাসী মফেজের সাথে হাত মিলিয়েছে।এবং আমার বাবা-চাচার মান সম্মান চিরতরে ধূলিসাৎ করে দিচ্ছে সেটা আমি কোন ভাবেই হতে দিতে পারিনা।

৯।সন্ত্রাসী মফেজ বলেছে ঘটনার সময় ac land উপস্থিত ছিল ইহা সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং অসত্য ac land সাহেব আসার ঠিক ১০/১৫ মিনিট পূর্বে সন্ত্রাসীরা আমাকে মেরে আহত করে ac land সাহেবের সাথে আমাকে দেখা করতে দেয়নি।পুলিশ এসে ঘটনাস্থল থেকে আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ঠিক তখন আমি এবং আমার মা ও ছোট ভাই ac land এবং UNO সাহেবের সাথে দেখা করি তাদের অফিসে এবং বিষয়টা তুলে ধরি। UNO সাহেব সাথে সাথে ফোন দিয়ে থানার OC মহোদয় কে বিষয়টি জানান এবং যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বলেন।

এবার আসুন মূল বিষয় সন্ত্রাসী মফেজ সিরিয়াল কিলার কি না??

মফেজের হাতে জারজারা খুন হয়েছে তাদের পক্ষে করা মামলার নথি-

১।হিরু শেখ হত্যা

১নং আসামী ছালাম হাওলাদার।২নং আসামী মফেল মাতুব্বর।৩নং আসামী দাদান মাতুব্বর,৪নং আসামী ছরোয়ার মাতুব্বর।তারিখ – ০৯/০৩/২০১৫ইং ধরা ৩০২/৩৪ জি,আর ১৪৩/১৫m

২।সুন্দর/ বাচ্চু হত্যার হত্যার ৫নং আসামী মফেজ মাতুব্বর তারিখ ১৮/০৯/২০০২ইং, ধারা-১৪৮/১৪৯/৪৪৮/৩২৬/৩০৫/৩০৭/৩০২/১১৪ জি,আর ২৬৩/০২m

৩।মজিবর মাতুব্বর(মাস্টার)হত্যা মামলার ১নং আসামী মফেজ মাতুব্বর তারিখ-২০/০৮/১৯৯৭ইং ধারা ১৪৮/৩০২/১০২/১০৯/১১৪/৩৪ জি,আর ৫১২/৯৭m

৪।অস্ত্র মামলার (চলমান) ১নং আসামী মফেজ মাতুব্বর ।

৫।এছাড়াও অন্য হত্যা মামলার ২নং আসামী দাদন মাতুব্বর এবং ৯নং আসামী ছরো মাতুব্বর। জি,আর নং ২১৬/১০ ধারা ৩০২/৩৪গুলি করে হত্যা।

এদের হত্যা কান্ডের মধ্যে উল্লেখ লোমহর্ষক হত্যা হচ্ছে – দুই জন পুলিশ দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হত্যার শিকার হয়েছেন।এই দুই পুলিশ কে ৭০/৮০ টুকরো করে কুমার নদীতে দেড় কিলোমিটার এলাকায় জুড়ে ছিটিয়ে ফেলে দেয় এবং দত্তপাড়া পুলিশ ফাঁড়ি লুট করে অস্ত্র নিয়ে আসে সেই অস্ত্র দিয়েই সশস্ত্র সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদন বাহিনী আজও এলাকায় সশস্ত্র সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে।এরা এতোটাই বর্বর যে এদের হাত থেকে মৃতঃ বীর মুক্তিযোদ্ধার ভিত্তিপ্রস্তর’ও রক্ষা পায় না।ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিয়ে যায়।অথচ এই ভিত্তিপ্রস্তর শাজাহান খান এমপি মহোদয় নিজে সশরীরে এসে উদ্বোধন করেছে, আজ সেই ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিয়ে গেছে সন্ত্রাসী মফেজ ও দাদন বাহিনী।নিশ্চয়ই শাজাহান খন এমপি মহোদয়ের এই হীন কর্মকাণ্ড সম্পর্কে কিছুই জানেন না।ঠিক একই ভাবে আমার কাছে চাঁদা দাবি করার বিষয় টিও সে জানে না,তাই সে বিশ্বাস করতে পারছেন না। জার বিরুদ্ধে এতো গুলো মামলা সে কি করে বলে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই?? তাও আবার সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ থেকেই বুঝা যায় সন্ত্রাসী মফেজ কত শক্তিশালী সন্ত্রাসী এবং কত বড় মিথ্যাবাদী। এ-থেকে আরও প্রমাণিত হয় যে আমি শাহিন মাতুব্বর বিগত সংবাদ সম্মেলন যা বলেছি এবং এই সংবাদ সম্মেলন যা বলছি সবি সত্য বলেছি।

 

সন্ত্রাসী মফেজ, খান সাহেবের বাসায় থেকে কি ধরণের অপকর্ম করে তার প্রমাণ উল্লেখিত হত্যাকাণ্ড এবং মৃতঃ বীর মুক্তিযোদ্ধার বীর নিবাস নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর ভেঙ্গে নিয়ে যাওয়া টাই প্রমাণ করে এর চাইতে বেশি কিছু বলার নাই। আমরা এলাকা বাসি এই সশস্ত্র সন্ত্রাসী ও চরমপন্থিদের হাত থেকে বাঁচতে চাই।বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খন এমপি মহোদয়ের কাছে আমার জীবন ভিক্ষা চাই এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চাই।আমরা আমাদের পৈতৃক বাড়িতে ফিরে যেতে চাই।

পরিশেষে সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে আজকের সংবাদ সম্মেলন শেষ করছি।

জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু, মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির জয় হোক।

শুভেচ্ছান্তে

শাহিন মাতুব্বর

সহ-সভাপতি বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদ সন্তান কমান্ড কেন্দ্রীয় কমিটি।