ঢাকা ০৪:০৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নাগরপুর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন সাগর -রুনি হত্যার বিচারের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের মানববন্ধন জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার 

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন ট্রেংকার চলাচল।

(এম কে খোকন) জেলা প্রতিনিধি(ব্রাহ্মণবাড়িয়া)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩ ৬২ বার পড়া হয়েছে

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন ট্রেংকার চলাচল।
নানা সংকটে কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও অবশেষে খুলে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন দিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যাত্রা করে ট্র্যাক ট্রেন কারটি। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ট্র্যাক কারটি আখাউড়ার শিবনগর এলাকায় জিরোলাইনে পৌঁছায়। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকৌশলী রিপন শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। পুরো অংশেই বসানো হয়েছে রেললাইন। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের কাজও শেষ পর্যায়ে। স্বল্প দূরত্বের এই রেলপথ আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমাবে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার। দু’দেশের যোগাযোগের পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে ব্যবসা-বাণিজ্যে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এদিকে রেলপথ দ্রুত চালুর খবরকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে যেন আগ্রহের শেষ নেই।
এদিকে দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় সফলভাবে ট্র্যাক কার চালানোর পর পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এই রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেন এলাকাবাসীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
প্রকৌশলী রিপন শেখ জানান, মঙ্গলবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করে ।এ রেলপথ চালু হলে যোগাযোগের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এই রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন দু’দেশের ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও জানান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেললিংকিং তৈরি হয়ে গেছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পটির শুরু থেকে আমি রয়েছি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে সাটি অঙ্গ রাজ্য রয়েছে, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ কলকাতার যোগাযোগের জন্য প্রায় সাড়ে ১৪০০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এ রেলপথটি হয়ে গেলে ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় যাত্রাপথ অন্তত সাড়ে ৯০০ কিলোমিটার কমে যাবে। সেই সঙ্গে ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্য যুক্ত হলে চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ী বন্দরের সঙ্গে পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে। এতে দুই দেশেই ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে অনেকটাই লাভবান হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের নির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্পের কাজ করেছে। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর গিয়ে মিশেছে এই রেলপথ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন ট্রেংকার চলাচল।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২৭:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২২ অগাস্ট ২০২৩

আখাউড়া-আগরতলা রেলপথে পরীক্ষামূলক ট্রেন ট্রেংকার চলাচল।
নানা সংকটে কয়েক দফায় প্রকল্পের মেয়াদ বাড়লেও অবশেষে খুলে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের কাজ প্রায় ৯৫ ভাগ শেষ হয়েছে।

মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন দিয়ে প্রকল্প সংশ্লিষ্টদের নিয়ে যাত্রা করে ট্র্যাক ট্রেন কারটি। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ট্র্যাক কারটি আখাউড়ার শিবনগর এলাকায় জিরোলাইনে পৌঁছায়। আগামী সেপ্টেম্বর মাসেই দুইদেশের প্রধানমন্ত্রী রেলপথটির উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকৌশলী রিপন শেখ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এ সময় আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের পরিচালক আবু জাফর মিয়া, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের কান্ট্রি হেড শরৎ শর্মা, প্রকল্প ব্যবস্থাপক ভাস্কর বকশিসহ প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

জানা গেছে, ১২ দশমিক ২৪ কিলোমিটার দীর্ঘ আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে ৬ দশমিক ৭৮ কিলোমিটার। পুরো অংশেই বসানো হয়েছে রেললাইন। ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস ভবনের কাজও শেষ পর্যায়ে। স্বল্প দূরত্বের এই রেলপথ আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব কমাবে প্রায় ১ হাজার ১০০ কিলোমিটার। দু’দেশের যোগাযোগের পাশাপাশি ভূমিকা রাখবে ব্যবসা-বাণিজ্যে।
বাংলাদেশ রেলওয়ে সংশ্লিষ্টরা জানান, এই রেলপথটি চালু হলে ভারত-বাংলাদেশ দুই দেশের ব্যবসা বাণিজ্যের ক্ষেত্রে নতুন দিগন্তের সূচনা হবে। এদিকে রেলপথ দ্রুত চালুর খবরকে ঘিরে স্থানীয়দের মাঝে যেন আগ্রহের শেষ নেই।
এদিকে দীর্ঘ পাঁচ বছরের বিশাল কর্মযজ্ঞ শেষে উদ্বোধনের দ্বারপ্রান্তে আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ। বুধবার (১৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় সফলভাবে ট্র্যাক কার চালানোর পর পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করেছে।
এলাকাবাসীর দাবি, এই রেল প্রকল্পের কাজ শেষ হলে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে যেন এলাকাবাসীকে প্রাধান্য দেওয়া হয়।
প্রকৌশলী রিপন শেখ জানান, মঙ্গলবার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল করে ।এ রেলপথ চালু হলে যোগাযোগের পাশাপাশি ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে এই রেলপথ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করছেন দু’দেশের ব্যবসায়ীরা।
তিনি আরও জানান, আখাউড়া-আগরতলা রেলপথের বাংলাদেশ অংশে সাড়ে ৬ কিলোমিটার রেললিংকিং তৈরি হয়ে গেছে।
রেলপথ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অবকাঠামো) মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, এই প্রকল্পটির শুরু থেকে আমি রয়েছি। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের যে সাটি অঙ্গ রাজ্য রয়েছে, তার সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ কলকাতার যোগাযোগের জন্য প্রায় সাড়ে ১৪০০ কিলোমিটার ঘুরে যেতে হয়। এ রেলপথটি হয়ে গেলে ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় যাত্রাপথ অন্তত সাড়ে ৯০০ কিলোমিটার কমে যাবে। সেই সঙ্গে ভারতের সাতটি অঙ্গরাজ্য যুক্ত হলে চট্টগ্রাম বন্দর ও মাতারবাড়ী বন্দরের সঙ্গে পণ্য আমদানি রপ্তানির ক্ষেত্রে আমূল পরিবর্তন হবে। এতে দুই দেশেই ব্যবসা বাণিজ্য ও অর্থনীতি ক্ষেত্রে অনেকটাই লাভবান হবে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের জুলাইয়ে শুরু হওয়া আখাউড়া-আগরতলা ডুয়েলগেজ রেলপথ প্রকল্পের বাংলাদেশ অংশের নির্মাণ কাজে ব্যয় হচ্ছে প্রায় ২৪১ কোটি টাকা। ভারতের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেক্সমেকো রেল অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড প্রকল্পের কাজ করেছে। আখাউড়ার গঙ্গাসাগর রেলস্টেশন থেকে শুরু হয়ে আগরতলার নিশ্চিন্তপুর গিয়ে মিশেছে এই রেলপথ।