ঢাকা ০৬:১৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

গোকর্ণঘাটে পাকা রাস্তার অস্তিত্বহীন অবস্থা ,জনদূর্ভোগ। 

এম কে খোকন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো চীফ)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩ ১৬২ বার পড়া হয়েছে

গোকর্ণঘাটে পাকা রাস্তার অস্তিত্বহীন অবস্থা ,জনদূর্ভোগ। 

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত গোকর্ণঘাট পাকা রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে  অস্তিত্বহীনতায় পড়েছে। কবে পাকা রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ চলেছেন সেটা ভুলেই গেছেন। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারনে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে সেখানকার মানুষ।

 

গোকর্ণ ঘাট থেকে রসুলপুর এবং শালগাও-কালিসীমা হয়ে নবীনগরে গেছে পাকা দুটি সড়ক। তাছাড়া নৌপথে নবীনগর যাতায়তে লঞ্চ এবং নৌকাঘাট এখানে। গোকর্ণঘাটে টাউনখালের ওপর নির্মিত ব্রীজের দু’পাশে গড়ে উঠেছে রিকসা,মোটরসাইকেল,অটো এবং সিএনজি চালিত অটোরিকসা স্ট্যান্ড। ফলে সারাদিনই যানজট লেগে রয়েছে এখানে। সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ব্রীজের দু’ধারে গড়ে উঠেছে অনেক দোকানপাট। এটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড অধীন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন গোকর্ণঘাটের বেহাল অবস্থা বছরের পর বছর ধরে।

 

সরজমিনে গোকর্ণঘাটের সবকটি সড়ক ঘুড়ে দেখা গেছে,কোন সড়কে পীচ নেই। পীচ ঢালাই,তার নিচে থাকা ইটের স্তর সরে গিয়ে মাটি বের হয়ে এসেছে। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ঠিকঠাক নেই। ভেঙ্গে রয়েছে। সব মিলিয়ে নাগরিক সেবা শূন্য গোকর্ণঘাটে।

 

খালপাড় সড়কের পাশের বাসিন্দা হরিপদ জানান-২/৩ বছর ধরেই এ সড়কটির অবস্থা নাজুক। কাজ হবে হবে শুনছেন,কিন্তু কাজ আর হয়না। রহিম,হারুন, রকিব, সোমেনসহ অনেকেই জানান-বছর খানেক আগে একবার কাজ করার লক্ষণ দেখা দিয়েছিলো। ঠিকাদার ইট এনে ফেলেছিলো। এরপর আর কাজ হয়নি। কেন হয়নি তা জানিনা। আমিনপুর গ্রামে যাতায়তের একমাত্র রাস্তা থেকেও মুছে গেছে পাকার চিহ্ন। পুরো সড়কই ভাঙ্গাচুরা।

 

আমিনপুরের বাসিন্দা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আনিসুর রহমান জানান-এই রাস্তার কোন অস্তিত্ব নেই। কনক্রিটও উঠে গেছে। এটা যে কোন সময় রাস্তা ছিলো সেটাই ভুলে গেছে মানুষ। সংস্কার করা হয়নি গত ১০/১৫ বছরে।

 

দক্ষিন পাড়ার মহরম আলী জানান,গোকর্নঘাট ফকির বাড়ি,গাঙ্গেরপাড়ের রোডসহ সবকটি রাস্তা মারাত্বক খারাপ। ১০/১৫ বছর ধরে এসব রাস্তা মেরামত হয়না। নয়নপুর-উলচাপাড়া সড়ক থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডালখিল হয়ে গোকর্ণঘাটে সংযুক্ত হয়েছে আরেকটি রাস্তা। ২৭/২৮ বছর আগে মাটির এ রাস্তা করা হয়। এর ১২/১৫ বছর পর ইটের সলিং করা হয়। এখন ইটের সলিংয়ের দেখা পাওয়া কঠিন। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

 

আনিসুর রহমান জানান, তিনি কমিশনার থাকাকালে ১৯৯৬ সালে চন্ডালখিলের রাস্তা করেছিলেন। এরপর আর এই রাস্তায় কোন কাজ হতে দেখেননি। তবে ২০০৭ সালের দিকে রাস্তায় ইটের কাজ হয়েছিলো বলে জানান তিনি। গ্রামের বাসিন্দা আলী আহমেদ,আবু সিদ্দিক বলেন-ইটের সলিং করেছিলো। এখন ইট নেই। সব ধুলা হয়ে গেছে। মাটির রাস্তা। জায়গা জায়গা বড় গর্ত। সেখানে বৃষ্টি হলেই পানি জমে ডোবার মতে হয়ে যায়। আমরা চলতে পারিনা। গাড়ি চলতে গিয়ে উল্টে পড়ে।

 

৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ জানান-রাস্তাগুলো খারাপই। পর্যায়ক্রমে সেগুলো করছি। এ বছরের মধ্যেসব রাস্তা হয়ে যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

গোকর্ণঘাটে পাকা রাস্তার অস্তিত্বহীন অবস্থা ,জনদূর্ভোগ। 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৬:৫৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ৮ অক্টোবর ২০২৩

গোকর্ণঘাটে পাকা রাস্তার অস্তিত্বহীন অবস্থা ,জনদূর্ভোগ। 

 

 

ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের পৌরসভার অন্তর্ভুক্ত গোকর্ণঘাট পাকা রাস্তার পিচ উঠে গিয়ে  অস্তিত্বহীনতায় পড়েছে। কবে পাকা রাস্তা দিয়ে এলাকার মানুষ চলেছেন সেটা ভুলেই গেছেন। রাস্তার বেহাল অবস্থার কারনে অবর্ণনীয় দূর্ভোগে সেখানকার মানুষ।

 

গোকর্ণ ঘাট থেকে রসুলপুর এবং শালগাও-কালিসীমা হয়ে নবীনগরে গেছে পাকা দুটি সড়ক। তাছাড়া নৌপথে নবীনগর যাতায়তে লঞ্চ এবং নৌকাঘাট এখানে। গোকর্ণঘাটে টাউনখালের ওপর নির্মিত ব্রীজের দু’পাশে গড়ে উঠেছে রিকসা,মোটরসাইকেল,অটো এবং সিএনজি চালিত অটোরিকসা স্ট্যান্ড। ফলে সারাদিনই যানজট লেগে রয়েছে এখানে। সরকারী জায়গা দখল করে অবৈধভাবে ব্রীজের দু’ধারে গড়ে উঠেছে অনেক দোকানপাট। এটি পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড অধীন। কিন্তু গুরুত্বপূর্ন গোকর্ণঘাটের বেহাল অবস্থা বছরের পর বছর ধরে।

 

সরজমিনে গোকর্ণঘাটের সবকটি সড়ক ঘুড়ে দেখা গেছে,কোন সড়কে পীচ নেই। পীচ ঢালাই,তার নিচে থাকা ইটের স্তর সরে গিয়ে মাটি বের হয়ে এসেছে। সড়কের পাশে ড্রেনেজ ব্যবস্থাও ঠিকঠাক নেই। ভেঙ্গে রয়েছে। সব মিলিয়ে নাগরিক সেবা শূন্য গোকর্ণঘাটে।

 

খালপাড় সড়কের পাশের বাসিন্দা হরিপদ জানান-২/৩ বছর ধরেই এ সড়কটির অবস্থা নাজুক। কাজ হবে হবে শুনছেন,কিন্তু কাজ আর হয়না। রহিম,হারুন, রকিব, সোমেনসহ অনেকেই জানান-বছর খানেক আগে একবার কাজ করার লক্ষণ দেখা দিয়েছিলো। ঠিকাদার ইট এনে ফেলেছিলো। এরপর আর কাজ হয়নি। কেন হয়নি তা জানিনা। আমিনপুর গ্রামে যাতায়তের একমাত্র রাস্তা থেকেও মুছে গেছে পাকার চিহ্ন। পুরো সড়কই ভাঙ্গাচুরা।

 

আমিনপুরের বাসিন্দা ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কমিশনার আনিসুর রহমান জানান-এই রাস্তার কোন অস্তিত্ব নেই। কনক্রিটও উঠে গেছে। এটা যে কোন সময় রাস্তা ছিলো সেটাই ভুলে গেছে মানুষ। সংস্কার করা হয়নি গত ১০/১৫ বছরে।

 

দক্ষিন পাড়ার মহরম আলী জানান,গোকর্নঘাট ফকির বাড়ি,গাঙ্গেরপাড়ের রোডসহ সবকটি রাস্তা মারাত্বক খারাপ। ১০/১৫ বছর ধরে এসব রাস্তা মেরামত হয়না। নয়নপুর-উলচাপাড়া সড়ক থেকে ৭ নম্বর ওয়ার্ডের চন্ডালখিল হয়ে গোকর্ণঘাটে সংযুক্ত হয়েছে আরেকটি রাস্তা। ২৭/২৮ বছর আগে মাটির এ রাস্তা করা হয়। এর ১২/১৫ বছর পর ইটের সলিং করা হয়। এখন ইটের সলিংয়ের দেখা পাওয়া কঠিন। রাস্তার বিভিন্ন স্থানে বড়বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।

 

আনিসুর রহমান জানান, তিনি কমিশনার থাকাকালে ১৯৯৬ সালে চন্ডালখিলের রাস্তা করেছিলেন। এরপর আর এই রাস্তায় কোন কাজ হতে দেখেননি। তবে ২০০৭ সালের দিকে রাস্তায় ইটের কাজ হয়েছিলো বলে জানান তিনি। গ্রামের বাসিন্দা আলী আহমেদ,আবু সিদ্দিক বলেন-ইটের সলিং করেছিলো। এখন ইট নেই। সব ধুলা হয়ে গেছে। মাটির রাস্তা। জায়গা জায়গা বড় গর্ত। সেখানে বৃষ্টি হলেই পানি জমে ডোবার মতে হয়ে যায়। আমরা চলতে পারিনা। গাড়ি চলতে গিয়ে উল্টে পড়ে।

 

৭ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ফারুক আহমেদ জানান-রাস্তাগুলো খারাপই। পর্যায়ক্রমে সেগুলো করছি। এ বছরের মধ্যেসব রাস্তা হয়ে যাবে।