ঢাকা ১২:২৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পশ্চিম পদুয়ায় ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা ছুটছেন কবর জিয়ারতে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কলাতলী মানব সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী। ভোলার মনপুরায় নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক। ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড। ঈদে নতুন জামা নয়, এক খণ্ড রুটি চায় গাজার শিশুর সাউথ কোরিয়ায় গঙ্গা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স শেষ করার গল্পঃএ কে আজাদ বিশিষ্ট সমাজসেবক আলমগীর হোসেনের ঈদ শুভেচ্ছা পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে, ১০ কেজি করে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংর্ঘষ,আহত ১০।

এম কে খোকন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩ ৬৬ বার পড়া হয়েছে

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংর্ঘষ,আহত ১০।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী সংর্ঘষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর দিকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় হরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বড় হরণ গ্রামের ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার মালিকানাধীন একটি দোকানের মালিকনা নিয়ে মলাই মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার রমজান মিয়ার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে বিষয়টি মামলা মোকদ্দমায় গড়ায়। এর মধ্যে এক পক্ষ খবর পায় বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই মলাই মিয়ার লোকজন দোকানটি দখলের পায়তারা করছেন। এমন খবর পেয়ে রমজান মিয়ার লোকজন আজ দুপুর ১টার দিকে বড় হরণ বাজারে গিয়ে দোকান দখলের পায়তারার বিষয়টি জানতে চায় মলাইমিয়ার পক্ষের লোকজনের কাছে। পরে এ নিয়ে মলাইমিয়ার পক্ষের সঙ্গে রমজান মিয়ার লোকজনের বাদানুবাদ হয়। পরে দু’পক্ষ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে রেললাইনের ওপর সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় একে অপরের দিকে রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করে। এতে পাথরের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছেন।

রমজান মিয়ার পক্ষের কামরুল ইসলাম জানান, কাগজপত্রে দোকানটির মালিকানা আমাদের রয়েছে। আমরা দোকানের খাজনা থেকে শুরু করে সবকিছু পরিশোধ করেছি। তারপর দোকান নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালত থেকে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে। তারপরও অপর পক্ষের লোকজন দোকানটির দখলের পায়তারা করছিল। এ বিষয়ে জানতে আমাদের পক্ষের লোকজন বাজারে গেলে মলাই মিয়ার লোকজন আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে।
অপরদিকে মলাই মিয়া পক্ষের বাবুল মিয়া জানান, বাজার কমিটির লোকজনসহ স্থানীয় মুরুব্বিরা দোকানের চলমান বিরোধটি মিমাংসার জন্যে বসেছিলেন। এ জন্য মুরব্বীরা তাদের কাছে দু’দিনের সময় নেন। এসময় তারা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমরা তাদেরকে প্রতিহত চেষ্টা করি।

এদিকে সংর্ঘষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাফায়েত উল্লাহ ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংর্ঘষ,আহত ১০।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:১৬:১৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৬ অগাস্ট ২০২৩

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দু’পক্ষের সংর্ঘষ,আহত ১০।
ব্রাহ্মণবাড়িয়াত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। ঘণ্টাব্যাপী সংর্ঘষে উভয় পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে।

শনিবার (২৬ আগস্ট) দুপুর দিকে সদর উপজেলার নাটাই দক্ষিণ ইউনিয়নের বড় হরণ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, বড় হরণ গ্রামের ইসলামীয়া দাখিল মাদরাসার মালিকানাধীন একটি দোকানের মালিকনা নিয়ে মলাই মিয়ার সঙ্গে একই এলাকার রমজান মিয়ার বিরোধ চলছিল। এই বিরোধের জেরে বিষয়টি মামলা মোকদ্দমায় গড়ায়। এর মধ্যে এক পক্ষ খবর পায় বিরোধ নিষ্পত্তি হওয়ার আগেই মলাই মিয়ার লোকজন দোকানটি দখলের পায়তারা করছেন। এমন খবর পেয়ে রমজান মিয়ার লোকজন আজ দুপুর ১টার দিকে বড় হরণ বাজারে গিয়ে দোকান দখলের পায়তারার বিষয়টি জানতে চায় মলাইমিয়ার পক্ষের লোকজনের কাছে। পরে এ নিয়ে মলাইমিয়ার পক্ষের সঙ্গে রমজান মিয়ার লোকজনের বাদানুবাদ হয়। পরে দু’পক্ষ দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে রেললাইনের ওপর সংঘর্ষে জড়ায়। এসময় একে অপরের দিকে রেললাইনের পাথর নিক্ষেপ করে। এতে পাথরের আঘাতে উভয় পক্ষের অন্তত ১০জন আহত হয়। তবে তাৎক্ষনিকভাবে আহতদের নাম পরিচয় জানা যায়নি। এ ঘটনায় এক পক্ষ অপর পক্ষকে দায়ী করছেন।

রমজান মিয়ার পক্ষের কামরুল ইসলাম জানান, কাগজপত্রে দোকানটির মালিকানা আমাদের রয়েছে। আমরা দোকানের খাজনা থেকে শুরু করে সবকিছু পরিশোধ করেছি। তারপর দোকান নিয়ে দু’পক্ষের মধ্যে আদালতে মামলা চলমান আছে। আদালত থেকে স্থিতাবস্থা দেওয়া হয়েছে। তারপরও অপর পক্ষের লোকজন দোকানটির দখলের পায়তারা করছিল। এ বিষয়ে জানতে আমাদের পক্ষের লোকজন বাজারে গেলে মলাই মিয়ার লোকজন আমাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাদের লোকজনের ওপর হামলা করে।
অপরদিকে মলাই মিয়া পক্ষের বাবুল মিয়া জানান, বাজার কমিটির লোকজনসহ স্থানীয় মুরুব্বিরা দোকানের চলমান বিরোধটি মিমাংসার জন্যে বসেছিলেন। এ জন্য মুরব্বীরা তাদের কাছে দু’দিনের সময় নেন। এসময় তারা হঠাৎ করে উত্তেজিত হয়ে আমাদের লোকজনের ওপর হামলা চালায়। আমরা তাদেরকে প্রতিহত চেষ্টা করি।

এদিকে সংর্ঘষের খবর পেয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক সাফায়েত উল্লাহ ঘটনা স্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।
তিনি জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। পরবর্তী সংঘর্ষের আশঙ্কায় এলাকায় বিপুল সংখ্যাক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।