মর্যাদার প্রতীক—জিয়া পরিবার বাংলাদেশের সামাজিক সংস্কৃতিতে এক অনন্য উদাহরণ

- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৭:৫৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৫ ২২ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্ট: রফিকুল ইসলাম
বাংলাদেশের রাজনীতি, সমাজ ও সংস্কৃতিতে শালীনতা, ব্যক্তিত্ব এবং পারিবারিক মূল্যবোধের যে অনন্য আদর্শ দীর্ঘদিন ধরে আলোচিত—জিয়া পরিবার তার অন্যতম উজ্জ্বল উদাহরণ। দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে থাকার পরও এই পরিবারের প্রতিটি সদস্যের চলন-বলন, নীরবতা, শালীনতা ও ব্যক্তিত্ব দেশের মানুষের মনে গভীর শ্রদ্ধা তৈরি করেছে।
জিয়া পরিবারের বিশেষ দৃষ্টান্ত হলো—এ পরিবারে আছেন দু’জন বউ-মা এবং তিনজন নাতনি। অথচ আধুনিক যুগের নানামুখী বিতর্কিত পরিবেশেও কখনো তাদের কাউকে কোনো কেলেঙ্কারি, অশালীনতা বা সোশ্যাল মিডিয়া–নির্ভর নেতিবাচক আলোচনায় জড়াতে দেখা যায়নি। নাইটক্লাবের ছবি, ভাইরাল সেলফি বা ট্রেন্ডের পেছনে দৌড়ানো—এসব কোনো কিছুই তাদের জীবনে স্থান পায়নি।
অথচ তারা বড় হয়েছেন লন্ডনের মত আধুনিক ও স্বাধীন পরিবেশে—ইন্টারনেট ও সোশ্যাল মিডিয়ার পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে। যে বয়সে আজকের বহু তরুণ-তরুণী নিজেদের তুলে ধরতে নানা ধরনের কন্টেন্ট তৈরি করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার চেষ্টা করে, সেই বয়সেই জিয়া পরিবারের সন্তানরা ছিলেন নীরব, ভদ্র, মার্জিত এবং মূল্যবোধে দৃঢ়।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই পরিবারের “ব্র্যান্ড ভ্যালু”—
• টাকা দিয়ে কেনা যায় না,
• মেকআপ বা বিলাসী জীবনযাপন দিয়ে বানানো যায় না,
• মিডিয়ার আলো কিংবা প্রচারণা দিয়েও তৈরি করা যায় না।
এটি গড়ে ওঠে দীর্ঘ সময় ধরে পারিবারিক শিক্ষা, মূল্যবোধ, নৈতিকতা ও ব্যক্তিত্বের ভিত্তিতে।
রাজনীতি থেকে অনেক দূরে, তবুও জনগণের ভালোবাসা অর্জন করা—এ এক ভিন্ন মাত্রার সাফল্য। দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে অনেক পরিবার আলোচনায় আসলেও জিয়া পরিবার সামাজিকভাবে যে অনাবিল মর্যাদা ধরে রাখতে পেরেছে, তা সত্যিই অনন্য।
বাংলাদেশের সামাজিক সংস্কৃতিতে শালীনতা, নীরব শক্তি, ব্যক্তিত্ব ও অভিজাত আচরণের যে রুচিশীল মিশেল—জিয়া পরিবার আজ তার একটি জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।


















