ঢাকা ১০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০১ জুলাই ২০২৫, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
দূর্নীতির পৃথিবীর ইতিহাস সৃষ্টিকারী প্রতিষ্ঠান নাগরপুরে মডেল মসজিদ নিয়ে মানববন্ধন, সমাধানের আহ্বান শামিম আহম্মেদের” কুমিল্লায় ‘জাপান-বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন (JBRC)’ শাখার উদ্বোধন, জাপানে উচ্চ শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে নতুন সম্ভাবনা ওয়াজেদ মিয়া স্মরণে নাগরপুরে ফুটবল উৎসব ইউনিয়নে কোস্ট ফাউন্ডেশন সমৃদ্ধি কর্মসূচির সন্মাননা অনুষ্ঠান সম্পন্ন । সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া আহ্বায়কের নামে চাঁদাবাজির কথাটি মিথ্যা। প্রমাণ করলেন _লক্ষণ চন্দ্র দাস। কলাতলী মানব সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি। যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল মুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা। কক্সবাজার জেলা শাখা’র চকরিয়া উপজেলা যুব অধিকার পরিষদ এর ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন। নাগরপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ

বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবেঃ ঢাদসিক মেয়র তাপস।

মেহেদী হাসান অলি 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:১০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবেপ্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর,জিরানি,মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে(উভয় পাড় মিলে মোট ৩৯.৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য)ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র তাপস।আজ বুধবার (৮ মে) সকালে মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন ‘মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র তাপস এ মন্তব্য করেন।ঢাদসিক মেয়র তাপস বলেন,আমরা জানি,আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি।এই মান্ডা খালের পাড় দিয়ে আমাদের প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব।যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার সাথে সাথে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরও বেগবান হবে,ত্বরান্বিত হবে।কিন্তু এই খালগুলো(প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর,জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খাল)এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারব।আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন,খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কি.মি.)এরপরে শ্যামপুর(৪.৭৮ কি.মি.),জিরানি (৩.৯ কি.মি.)এবং কালুনগর (২.৪ কি. মি.)খাল।সেই প্রেক্ষিতে আজ মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে।ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবল আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সকল পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে।আমরা আশাবাদী,আগামী এক বছরের মধ্যে (খালগুলোর)দৃশ্যমান ও নান্দনিক পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে পারব।উল্লেখ্য যে,৮৯৮ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর,জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।এর মধ্যে ৮.৭ কি. মি. দৈর্ঘ্যের মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা।মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন,খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ,বাই সাইকেল লেন ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ,৩টি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার সেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ,৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ৬টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ,বসার বেঞ্চ নির্মাণ,বাচ্চাদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ,আর. সি. সি. রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ,দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি অনুষঙ্গ রয়েছে।পরে ঢাদসিক মেয়র পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান,সচিব আকরামুজ্জামান,৭ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের,নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয়,মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বাহার এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খায়রুজ্জামান,৭২ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল আলম শামীম,৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক,৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আকবর হোসেন, সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদ ও সেলিনা খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবেঃ ঢাদসিক মেয়র তাপস।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:১০:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ মে ২০২৪

বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে পৌঁছাবেপ্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর,জিরানি,মান্ডা ও কালুনগর খালের উভয় পাড়ে(উভয় পাড় মিলে মোট ৩৯.৬ কি.মি. দৈর্ঘ্য)ব্যাপক বৃক্ষরোপণের যে কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে তার মাধ্যমে ঢাকার সবুজায়ন আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হবে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র তাপস।আজ বুধবার (৮ মে) সকালে মুগদা এলাকার শাপলা ব্রিজ সংলগ্ন ‘মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে গণমাধ্যমের সাথে মতবিনিময়কালে ঢাদসিক মেয়র তাপস এ মন্তব্য করেন।ঢাদসিক মেয়র তাপস বলেন,আমরা জানি,আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে ঢাকা শহরের জন্য যে সবুজায়ন বা বনায়নের প্রয়োজন সেই মানদণ্ড পর্যন্ত আমরা পূরণ করতে পারিনি।এই মান্ডা খালের পাড় দিয়ে আমাদের প্রকল্পের আওতায় আমরা প্রায় ৩৫ হাজার গাছ রোপণ করব।যার মাধ্যমে এই এলাকায় একটি সুন্দর ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টি হবে। তার সাথে সাথে আমাদের শহরের জন্য সবুজায়ন ও বনায়নের যে কার্যক্রম সেটা আরও বেগবান হবে,ত্বরান্বিত হবে।কিন্তু এই খালগুলো(প্রকল্পভুক্ত শ্যামপুর,জিরানি, মান্ডা ও খালুনগর খাল)এবং আদি বুড়িগঙ্গার পাড় ঘেঁষে বৃক্ষরোপণের মাধ্যমে ইনশাআল্লাহ আমরা সবুজায়নের সেই আন্তর্জাতিক মানদণ্ডে উন্নীত হতে পারব।আগামী বছরের জুনের মধ্যে খালগুলোর দৃশ্যমান পরিবর্তনের আশাবাদ ব্যক্ত করে ঢাদসিক মেয়র ব্যারিস্টার শেখ তাপস বলেন,খালগুলো নিয়ে যে প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হচ্ছে তার মধ্যে মান্ডা খাল সবচেয়ে বড় (৮.৭ কি.মি.)এরপরে শ্যামপুর(৪.৭৮ কি.মি.),জিরানি (৩.৯ কি.মি.)এবং কালুনগর (২.৪ কি. মি.)খাল।সেই প্রেক্ষিতে আজ মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির কাজ শুরু হচ্ছে।ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রকল্পের সবগুলো কাজ শুরু হয়ে যাবে। ডিসেম্বরের মধ্যে ঢাকাবাসী একটি দৃশ্যমান পরিবর্তন লক্ষ্য করবে এবল আগামী বছরের জুনে একটি আমূল পরিবর্তন আসবে। সেভাবেই আমাদের সকল পরামর্শক, ঠিকাদার ও কর্মকর্তারা কাজ করছে।আমরা আশাবাদী,আগামী এক বছরের মধ্যে (খালগুলোর)দৃশ্যমান ও নান্দনিক পরিবর্তন আমরা নিয়ে আসতে পারব।উল্লেখ্য যে,৮৯৮ কোটি ৭৩ লক্ষ টাকা ব্যয়ে শ্যামপুর,জিরানি, মান্ডা ও কালুনগর খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির প্রকল্প বাস্তবায়ন শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন।এর মধ্যে ৮.৭ কি. মি. দৈর্ঘ্যের মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টিতে ব্যয় হবে ৩৯৭ কোটি টাকা।মান্ডা খাল পুনরুদ্ধার ও নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির আওতায় ভূমি উন্নয়ন,খালের বর্জ্য ও পলি অপসারণ,বাই সাইকেল লেন ও এপ্রোচ রোড নির্মাণ,৩টি এম্পিথিয়েটার নির্মাণ, ব্যায়াম করার সেড-ফোয়ারা-ওয়াকওয়ে-ঘাট নির্মাণ,৩২টি পথচারী পারাপার সেতু ও ৬টি গাড়ি চলাচল সেতু নির্মাণ,বসার বেঞ্চ নির্মাণ,বাচ্চাদের খেলার জায়গা-ফুডকোর্ট ও কফিশপ নির্মাণ,আর. সি. সি. রিটেনিং ওয়াল ও ঢাল সুরক্ষা নির্মাণ,দৃষ্টিনন্দন সুরক্ষা বেষ্টনী ও পাবলিক টয়লেট নির্মাণ ইত্যাদি অনুষঙ্গ রয়েছে।পরে ঢাদসিক মেয়র পোস্তগোলা জাতীয় মহাশ্মশান উন্নয়ন কাজের শুভ উদ্বোধন করেন।এ সময় অন্যান্যের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান,সচিব আকরামুজ্জামান,৭ নম্বর অঞ্চলের আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা মোস্তাক আহমেদ,তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খায়রুল বাকের,নির্বাহী প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম জয়,মুগদা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. মোশারফ হোসেন বাহার এবং কাউন্সিলরদের মধ্যে ৭১ নম্বর ওয়ার্ডের মো. খায়রুজ্জামান,৭২ নম্বর ওয়ার্ডের শফিকুল আলম শামীম,৭৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. জিয়াউল হক,৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের মো. আকবর হোসেন, সংরক্ষিত আসনের নাসরিন আহমেদ ও সেলিনা খানসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।