ঢাকা ০৭:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ 

খুলনা মোংলা রেলপথ প্রস্তুত, ট্রেন চলছে না ছয় মাসেও

মো: মহিবুল ইসলাম খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে

সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ। ট্রেন চলাচলের জন্য চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে কেউই বলতে পারছেন না এ রেলপথে কবে থেকে শুরু হবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল। উদ্বোধনের প্রায় ৬ মাস পরও এটি চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নতুন এ রেলপথটি চালু না হওয়ায় মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা থমকে গেছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। নানা জটিলতায় পাঁচ দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শেষে ২০২৩ সালের পহেলা নভেম্বর প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।দীর্ঘ ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে রূপসা নদীর ওপর ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ১১টি প্লাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন। এরই মধ্যে চার দফায় পরীক্ষামূলকভাবে চলেছে ট্রেন। চলতি বছর পহেলা জানুয়ারি থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলার ঘোষণাও দেয়া হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে এখনও যাত্রা শুরু করেনি যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহী কোনো বাণিজ্যিক ট্রেন। এতে ক্ষুব্ধ খুলনা অঞ্চলের মানুষ।স্থানীয়রা জানান, এ রেললাইনটি চালুর অপেক্ষা করছি অধীর আগ্রহে। আশা করছি, আমরা যেন খুলনা থেকে দ্রুত পণ্য নিয়ে মোংলা যেতে পারি। এতে কর্মজীবীদেরও সুবিধা হবে, সময় বাঁচবে এবং বাণিজ্যিক উন্নয়নও হবে।এ বিষয়ে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘একটি সম্ভাবনাময় উন্নয়ন থেমে আছে। এতোগুলো টাকা খরচ করে খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ সম্পন্ন হলেও এটা বসে আছে, চালু হচ্ছে না। এতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মোংলা বন্দর সচল হচ্ছে না।এদিকে, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ খুলনা-মোংলা নতুন রেলপথটি পরিদর্শন করেছে। তাদের রিপোর্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এ রিপোর্ট পাওয়ার পর যেকোনো সময় ট্রেন চালু করা হবে।ভারত সরকারের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটি এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।চার হাজার ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ রেলপথ আর কতদিন এভাবে পড়ে থাকবে? রেলওয়ে সূত্রের খবর, জনবল আর কোচ-ইঞ্জিনের সংকটে এ পথে রেল চলছে না। তবে অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় সব সংকটের দ্রুত সমাধান করে এ রেলপথটি চালুর দাবি এ অঞ্চলের মানুষের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

খুলনা মোংলা রেলপথ প্রস্তুত, ট্রেন চলছে না ছয় মাসেও

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৪৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

সব ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষ। ট্রেন চলাচলের জন্য চার হাজার কোটি টাকার বেশি ব্যয়ে খুলনা থেকে মোংলা পর্যন্ত নতুন রেলপথ পুরোপুরি প্রস্তুত। তবে কেউই বলতে পারছেন না এ রেলপথে কবে থেকে শুরু হবে বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল। উদ্বোধনের প্রায় ৬ মাস পরও এটি চালু না হওয়ায় ক্ষুব্ধ সাধারণ মানুষ।ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, নতুন এ রেলপথটি চালু না হওয়ায় মোংলা বন্দরকেন্দ্রিক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা থমকে গেছে।সংশ্লিষ্টরা জানান, ২০১০ সালে একনেকে অনুমোদনের পর প্রকল্পের কাজ শুরু হয় ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে। নানা জটিলতায় পাঁচ দফায় মেয়াদ বাড়িয়ে কাজ শেষে ২০২৩ সালের পহেলা নভেম্বর প্রকল্পটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।দীর্ঘ ৯১ কিলোমিটার নতুন এ রেলপথে রূপসা নদীর ওপর ৫.১৩ কিলোমিটার দীর্ঘ একটি রেলসেতু নির্মাণ করা হয়। এছাড়া ১১টি প্লাটফর্ম, ১০৭টি কালভার্ট, ৩১টি ছোট ব্রিজ ও ৯টি আন্ডারপাসের নির্মাণ সম্পন্ন। এরই মধ্যে চার দফায় পরীক্ষামূলকভাবে চলেছে ট্রেন। চলতি বছর পহেলা জানুয়ারি থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলার ঘোষণাও দেয়া হয়। তবে অজ্ঞাত কারণে এখনও যাত্রা শুরু করেনি যাত্রীবাহী বা পণ্যবাহী কোনো বাণিজ্যিক ট্রেন। এতে ক্ষুব্ধ খুলনা অঞ্চলের মানুষ।স্থানীয়রা জানান, এ রেললাইনটি চালুর অপেক্ষা করছি অধীর আগ্রহে। আশা করছি, আমরা যেন খুলনা থেকে দ্রুত পণ্য নিয়ে মোংলা যেতে পারি। এতে কর্মজীবীদেরও সুবিধা হবে, সময় বাঁচবে এবং বাণিজ্যিক উন্নয়নও হবে।এ বিষয়ে খুলনা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজের পরিচালক মফিদুল ইসলাম টুটুল বলেন, ‘একটি সম্ভাবনাময় উন্নয়ন থেমে আছে। এতোগুলো টাকা খরচ করে খুলনা-মোংলা রেলপথ নির্মাণ সম্পন্ন হলেও এটা বসে আছে, চালু হচ্ছে না। এতে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্যের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। মোংলা বন্দর সচল হচ্ছে না।এদিকে, খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ খুলনা-মোংলা নতুন রেলপথটি পরিদর্শন করেছে। তাদের রিপোর্টের জন্য আমরা অপেক্ষা করছি। এ রিপোর্ট পাওয়ার পর যেকোনো সময় ট্রেন চালু করা হবে।ভারত সরকারের ঋণ সহায়তা চুক্তির আওতায় খুলনা-মোংলা রেল প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান এলঅ্যান্ডটি এবং ইরকন ইন্টারন্যাশনাল।চার হাজার ২৬১ কোটি টাকা ব্যয়ের এ রেলপথ আর কতদিন এভাবে পড়ে থাকবে? রেলওয়ে সূত্রের খবর, জনবল আর কোচ-ইঞ্জিনের সংকটে এ পথে রেল চলছে না। তবে অর্থনৈতিক গুরুত্ব বিবেচনায় সব সংকটের দ্রুত সমাধান করে এ রেলপথটি চালুর দাবি এ অঞ্চলের মানুষের।