ঢাকা ০৫:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
টাঙ্গাইলে যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা দাবীতে মানববন্ধন মিয়া জমির শাহ্ বাজার ব্যবসায়ী মোঃ এমরানের মিথ্যা দর্শনের অপবাদের বিচার চাইলেন, বাজার ব্যবসায়ী ও হিন্দু সম্প্রদায় জামাত নেতা শফিকুর রহমান দেশ নিয়ে কিছু ভাইরাল কথা  চোর সন্দেহে যুবককে পিটিয়ে হত্যা সাথে আবুবাকের মজুমদারকে জড়ানোর প্রচেষ্টা রাউজানের পশ্চিম গুজরায় সূলভ মূল্যে খাদ্য সামগ্রী পেল ৪শ জন চাঁদাবাজির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে নাগরপুর বিএনপির সংবাদ সম্মেলন সাগর -রুনি হত্যার বিচারের দাবীতে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক ঐক্যের মানববন্ধন জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের 

সেনাবাহিনী পানিবন্দি গর্ভবতী নারীকে উদ্ধার করলো 

রিপোর্টার মোঃ  সোরহাব 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪ ১১ বার পড়া হয়েছে

বাড়িতে কেবলই বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। তাতে দীর্ঘদিন পানিবন্দি হয়ে আছেন গর্ভবতী মুক্তা বেগম। উপায় না পেয়ে ফোন দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। খবর পেয়ে দ্রুত ওই নারীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে, সোনাপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।মুক্তা বেগম নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা শাকিল আহমেদের স্ত্রী।ওই নারীর স্বামী শাকিল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে পানিতে আটকা পড়ে ঠাণ্ডায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোনো উপায় না দেখে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পে ফোন দিলে তারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করেছেন। আমি সেনা সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ।সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, সোনাপুর রেল স্টেশন এলাকায় পানিবন্দি একটি পরিবারের সসদ্যদের কাছ থেকে জরুরি কল পেয়ে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় পাঁচ মাসের গর্ভবতী এক নারীকে উদ্ধার করে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ভালো আছেন। আমরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দুই দিন নোয়াখালীতে সূর্যের আলোর দেখা মিললেও অবস্থার উন্নয়ন ধীরে ধীরে হচ্ছে। মূলত ভারী বর্ষণ ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীসহ আট উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন অন্তত ২০ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ। জেলার ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকে পানিবন্দি হয়ে নিজের বসতবাড়িতে আছেন। আমরা সবার মাঝে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তবে বন্যা-পরবর্তী সুপেয় পানি পাওয়া ও পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি মোকাবিলায় আমরা সজাগ আছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সেনাবাহিনী পানিবন্দি গর্ভবতী নারীকে উদ্ধার করলো 

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৫৪:২৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৪

বাড়িতে কেবলই বৃদ্ধি পাচ্ছে পানি। তাতে দীর্ঘদিন পানিবন্দি হয়ে আছেন গর্ভবতী মুক্তা বেগম। উপায় না পেয়ে ফোন দিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে। খবর পেয়ে দ্রুত ওই নারীকে উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনীর সদস্যরা।শনিবার (২৪ আগস্ট) দুপুরে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগে, সোনাপুর এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়।মুক্তা বেগম নোয়াখালী পৌরসভার সোনাপুর এলাকার বাসিন্দা শাকিল আহমেদের স্ত্রী।ওই নারীর স্বামী শাকিল আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার স্ত্রী পাঁচ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। সে পানিতে আটকা পড়ে ঠাণ্ডায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। কোনো উপায় না দেখে সেনাবাহিনীর নোয়াখালী ক্যাম্পে ফোন দিলে তারা দ্রুত তাকে উদ্ধার করেছেন। আমি সেনা সদস্যদের কাছে কৃতজ্ঞ।সেনাবাহিনীর ১৬ ফিল্ড রেজিমেন্ট আর্টিলারির সিইও লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশরাফ উদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।তিনি বলেন, সোনাপুর রেল স্টেশন এলাকায় পানিবন্দি একটি পরিবারের সসদ্যদের কাছ থেকে জরুরি কল পেয়ে নিজস্ব অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। সেখান থেকে গুরুতর অবস্থায় পাঁচ মাসের গর্ভবতী এক নারীকে উদ্ধার করে তাকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালের গাইনি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ভালো আছেন। আমরা সার্বক্ষণিক চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আজ দুই দিন নোয়াখালীতে সূর্যের আলোর দেখা মিললেও অবস্থার উন্নয়ন ধীরে ধীরে হচ্ছে। মূলত ভারী বর্ষণ ও ফেনীর মুহুরী নদীর পানিতে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীসহ আট উপজেলা প্লাবিত হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে পড়েন অন্তত ২০ লাখ ৩৬ হাজার মানুষ। জেলার ৮২৬টি আশ্রয়কেন্দ্রে ঠাঁই নেন প্রায় দেড় লক্ষাধিক মানুষ। অনেকে পানিবন্দি হয়ে নিজের বসতবাড়িতে আছেন। আমরা সবার মাঝে সরকারি সহায়তা কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছি। তবে বন্যা-পরবর্তী সুপেয় পানি পাওয়া ও পানিবাহিত রোগ থেকে মুক্তি আমাদের জন্য বড় চ্যালেঞ্জ। সেটি মোকাবিলায় আমরা সজাগ আছি।