ঢাকা ১০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য

মোঃ আনজার শাহ, বিশেষ প্রতিনিধি।
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪ ৩ বার পড়া হয়েছে

আমাদের জানামতে, পবিত্র কাবার স্থান সৌদি আরবে আমাদের প্রিয় নবীর রওজা ব্যতীত কোন মাজার নেই এবং নবীজির রওজাতে হাঁটা অবস্থায় সালাম দিতে হয়, ঐখানে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।প্রিয় নোয়াখালী পৌরবাসী, গতকাল ১৩ই সেপ্টেম্বর আমাদের এলাকায় ছাত্রদের সমন্বয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকে। বিষয়টি হলো আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা এই এলাকার স্থানীয়। আপনারা জানেন এখানে ফকির চাড়ুমিজি নামে একটি মাজার শরীফ রয়েছে এবং এই মাজারকে কেন্দ্র করে বছরে একটি মেলা মিলানো হয়, যা গত ৫ বছর হচ্ছে না।এবং এই মেলা পরিচালনার জন্য একটি কমিটি আছে, যার মেয়াদ প্রায় ২২-৪০ বছর। এই মাজার/মেলা পরিচালনার জন্য সু-নিদিষ্ট কোন নিয়ম নীতিমালা এবং বাৎসরিক কোন হিসাব পদ্ধতি আছে কিনা এলাকাবাসী অবগত নয়, কারণ দীর্ঘ সময়ের এই কমিটি কখনও হিসাব উপস্থাপন করেনি। মাজার/মেলার আয়ের সামান্য অংশ দিয়ে কিছু জমি ক্রয় করা হয়েছে, প্রায় ৪ বছর আগে একটি ব্যানার লাগিয়েছে সেখানে লেখা ছিল ৯৭ শতাংশ। এখন শুনা যাচ্ছে ঐ জমির অধিকাংশ ব্যক্তি বিশেষের নামে ক্রয় করা, বাকীটা মাজারের নামে।এলাকার যাদের জমি ব্যবহার করে মেলা বসানো হয়, তারাই দয়া করে বা মানবতা দেখিয়ে বাজার মূল্য ১০ টাকার জমি ৩ টাকায় মাজারের নিকট বিক্রি করে থাকে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের কোন বিষয়ে তাদেরকে কোন মূল্যায়ন করা হয়না। নিদিষ্ট ৪-৫ জনের নিকট এই প্রতিষ্ঠান অবরুদ্ধ।এলাকাবাসীর চাহিদা ছিলো এখানে একটি পূণাঙ্গ জুমা মসজিদ তৈরী করার জন্য। এখন যেহেতু একটা ঘটনা ঘটে গেছে এবং যারা ঘটিয়েছে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এবং এলাকাবাসী এবং ২-৩ জন মুফতি নিয়ে বসে আলোচনার করে একটা সঠিক সিদ্ধান্তে তো আসা যায়, সেক্ষেত্রে ছাত্ররা যদি অন্যায় করে থাকে তাদের উপযুক্ত বিচার হবে, আর যদি অন্যায় না হয় তাহলে কমিটির সাথে আলোচনা না করে কাজটি করাতে ছাত্ররা ক্ষমা চাইবে। এবং এখানে আর মাজার প্রতিষ্টা হবে না, পূর্ণাঙ্গ মসজিদ হবে। সেটা না করে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টির একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে, দয়া করে কেউ এগুলো করবেন না, আমাদের সমাজের একটা ঐতিহ্য আছে। মনে রাখবেন, আমি আপনি মরলে বাহিরের লোকজন এসে দাফন করবে না, ঈদের সময় প্রতি জুমার দিনে তারা এসে কবর জিয়ারত করবে না

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৭:২৩:৪৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪

আমাদের জানামতে, পবিত্র কাবার স্থান সৌদি আরবে আমাদের প্রিয় নবীর রওজা ব্যতীত কোন মাজার নেই এবং নবীজির রওজাতে হাঁটা অবস্থায় সালাম দিতে হয়, ঐখানে দাঁড়ানোর সুযোগ নেই।প্রিয় নোয়াখালী পৌরবাসী, গতকাল ১৩ই সেপ্টেম্বর আমাদের এলাকায় ছাত্রদের সমন্বয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে থাকে। বিষয়টি হলো আমাদের পূর্ব পুরুষ থেকেই আমরা এই এলাকার স্থানীয়। আপনারা জানেন এখানে ফকির চাড়ুমিজি নামে একটি মাজার শরীফ রয়েছে এবং এই মাজারকে কেন্দ্র করে বছরে একটি মেলা মিলানো হয়, যা গত ৫ বছর হচ্ছে না।এবং এই মেলা পরিচালনার জন্য একটি কমিটি আছে, যার মেয়াদ প্রায় ২২-৪০ বছর। এই মাজার/মেলা পরিচালনার জন্য সু-নিদিষ্ট কোন নিয়ম নীতিমালা এবং বাৎসরিক কোন হিসাব পদ্ধতি আছে কিনা এলাকাবাসী অবগত নয়, কারণ দীর্ঘ সময়ের এই কমিটি কখনও হিসাব উপস্থাপন করেনি। মাজার/মেলার আয়ের সামান্য অংশ দিয়ে কিছু জমি ক্রয় করা হয়েছে, প্রায় ৪ বছর আগে একটি ব্যানার লাগিয়েছে সেখানে লেখা ছিল ৯৭ শতাংশ। এখন শুনা যাচ্ছে ঐ জমির অধিকাংশ ব্যক্তি বিশেষের নামে ক্রয় করা, বাকীটা মাজারের নামে।এলাকার যাদের জমি ব্যবহার করে মেলা বসানো হয়, তারাই দয়া করে বা মানবতা দেখিয়ে বাজার মূল্য ১০ টাকার জমি ৩ টাকায় মাজারের নিকট বিক্রি করে থাকে। কিন্তু এই প্রতিষ্ঠানের কোন বিষয়ে তাদেরকে কোন মূল্যায়ন করা হয়না। নিদিষ্ট ৪-৫ জনের নিকট এই প্রতিষ্ঠান অবরুদ্ধ।এলাকাবাসীর চাহিদা ছিলো এখানে একটি পূণাঙ্গ জুমা মসজিদ তৈরী করার জন্য। এখন যেহেতু একটা ঘটনা ঘটে গেছে এবং যারা ঘটিয়েছে তাদের অভিভাবকদের নিয়ে এবং এলাকাবাসী এবং ২-৩ জন মুফতি নিয়ে বসে আলোচনার করে একটা সঠিক সিদ্ধান্তে তো আসা যায়, সেক্ষেত্রে ছাত্ররা যদি অন্যায় করে থাকে তাদের উপযুক্ত বিচার হবে, আর যদি অন্যায় না হয় তাহলে কমিটির সাথে আলোচনা না করে কাজটি করাতে ছাত্ররা ক্ষমা চাইবে। এবং এখানে আর মাজার প্রতিষ্টা হবে না, পূর্ণাঙ্গ মসজিদ হবে। সেটা না করে এলাকায় বিরোধ সৃষ্টির একটা চক্রান্ত করা হচ্ছে, দয়া করে কেউ এগুলো করবেন না, আমাদের সমাজের একটা ঐতিহ্য আছে। মনে রাখবেন, আমি আপনি মরলে বাহিরের লোকজন এসে দাফন করবে না, ঈদের সময় প্রতি জুমার দিনে তারা এসে কবর জিয়ারত করবে না