ঢাকা ১২:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৯ জুন ২০২৫, ২৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

নবীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, হুমকি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

এম কে খোকন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩ ৯০ বার পড়া হয়েছে

নবীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, হুমকি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পদ না পেয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ।

গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর সড়কে এই মানববন্ধন অনু্ষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা জানান, বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একটি প্রভাবশালী চক্র হেনস্থা করার জন্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মুন গত জুন মাসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে এসে নথিপত্র ঘেটে এর সত্যতা পায়নি। এরপরও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্র করে আসছে চক্রটি।

এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবি করেন।

বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা জুলেখা খাতুন বলেন, একজন শিক্ষকে হুমকি দেয়া মানে সকল শিক্ষককে হুমকি দেয়া। আমাদেদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোটাই মিথ্যা। একটি মহল বিদ্যালয়ের পদে আসার জন্য এমন কাজ করছে। আমরা চাই বিদ্যালয়ে এখন যেমন সুন্দর পরিবেশ আছে তা যেন সবসময় থাকে।

জাহাঙ্গীর আলম অপু নামে এক অভিভাবক বলেন, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেকদিন ধরেই সুনামের সাথে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এখন একটি মহল বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে বসার জন্য প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমরা চাই প্রধান শিক্ষক যেভাবে এতদিন সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছেন আগামীতেও তেমন চলবে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি পক্ষ হতে বলেন, বিদ্যালয়ে কিছু নামদারী রাজনৈতিক দলের নেতা প্রভাব বিস্তার করে সভাপতির পদে আসতে না পেড়ে এসব ষড়যন্ত্র করছে। যারা বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা দিতে সহযোগিতা করেছে তাদের নামে স্মরণে করে না এ স্বার্থন্বেষী মহল। তারাই আসে বিদ্যালয়ের ভুল ত্রুটি ধরতে যা লেখা পড়া যানে না।
বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম বলেন, ২০২২ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মুন এমন অভিযোগ করেছে। শাখাওয়াত হোসেন মুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বলে তাকে সভাপতি পদ দেয়া যায়নি। এরপরেও তারা বিভিন্ন সময়ে আমার অফিসে এসে আমাকে হুমকিও দিয়ে গেছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
উল্লেখ্য । এ ঘটনায় অভিযোগকারীরা হলেন ওই এলাকার মো:শাখাওয়াত হোসেন,মো:সাওয়ান উদ্দিন ,মো: সাইফুল  ইসলাম, শাহিন কবির,মো:রহিম,নজরুল ইসলাম,নাইমুল ইসলাম,ফারুক,আব্দুল মুতালিব,আব্দুল কাইয়ুম।
অভিযোগ সূত্রে জানানো হয় প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম,বিদ্যালয়ের বাতরুমে টাইলস লাগানো,বাগান নির্মান, স্কুলে বিভিন্ন জিনিসপত্র সংস্কারের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন। যা প্রধান শিক্ষক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে অবহিত করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নবীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, হুমকি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৭:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ অগাস্ট ২০২৩

নবীনগরে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, হুমকি ও ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে মানববন্ধন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির পদ না পেয়ে প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও হুমকির প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থীসহ এলাকাবাসী ।

গত মঙ্গলবার (২৯ আগস্ট) বিকেলে বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে ব্রাহ্মণবাড়িয়া নবীনগর সড়কে এই মানববন্ধন অনু্ষ্ঠিত হয়।

মানববন্ধনে শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা জানান, বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে একটি প্রভাবশালী চক্র হেনস্থা করার জন্যে মিথ্যা ও ভিত্তিহীন অভিযোগ করে যাচ্ছেন। বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মুন গত জুন মাসে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ এনে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন।

পরে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হলে কমিটির সদস্যরা বিদ্যালয়ে এসে নথিপত্র ঘেটে এর সত্যতা পায়নি। এরপরও প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে  ষড়যন্ত্র করে আসছে চক্রটি।

এসময় তারা প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রকারীদের বিচার দাবি করেন।

বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষিকা জুলেখা খাতুন বলেন, একজন শিক্ষকে হুমকি দেয়া মানে সকল শিক্ষককে হুমকি দেয়া। আমাদেদের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে তা পুরোটাই মিথ্যা। একটি মহল বিদ্যালয়ের পদে আসার জন্য এমন কাজ করছে। আমরা চাই বিদ্যালয়ে এখন যেমন সুন্দর পরিবেশ আছে তা যেন সবসময় থাকে।

জাহাঙ্গীর আলম অপু নামে এক অভিভাবক বলেন, এই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক অনেকদিন ধরেই সুনামের সাথে বিদ্যালয়ের দায়িত্ব পালন করে আসছে। এখন একটি মহল বিদ্যালয়ের সভাপতি পদে বসার জন্য প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিথ্যা বানোয়াট অভিযোগ ছড়াচ্ছে। আমরা চাই প্রধান শিক্ষক যেভাবে এতদিন সুন্দরভাবে পরিচালনা করেছেন আগামীতেও তেমন চলবে।
বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি পক্ষ হতে বলেন, বিদ্যালয়ে কিছু নামদারী রাজনৈতিক দলের নেতা প্রভাব বিস্তার করে সভাপতির পদে আসতে না পেড়ে এসব ষড়যন্ত্র করছে। যারা বিদ্যালয় স্থাপনের জন্য জায়গা দিতে সহযোগিতা করেছে তাদের নামে স্মরণে করে না এ স্বার্থন্বেষী মহল। তারাই আসে বিদ্যালয়ের ভুল ত্রুটি ধরতে যা লেখা পড়া যানে না।
বড়াইল হোসাইনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. আবুল কাশেম বলেন, ২০২২ সালে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির মেয়াদ শেষ হয়। পরবর্তী সময়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হতে না পেরে বিদ্যালয়ের এক অভিভাবক প্রতিনিধি শাখাওয়াত হোসেন মুন এমন অভিযোগ করেছে। শাখাওয়াত হোসেন মুনের শিক্ষাগত যোগ্যতা নেই বলে তাকে সভাপতি পদ দেয়া যায়নি। এরপরেও তারা বিভিন্ন সময়ে আমার অফিসে এসে আমাকে হুমকিও দিয়ে গেছেন। আমি এ ঘটনার সুষ্ঠ বিচার চাই।
উল্লেখ্য । এ ঘটনায় অভিযোগকারীরা হলেন ওই এলাকার মো:শাখাওয়াত হোসেন,মো:সাওয়ান উদ্দিন ,মো: সাইফুল  ইসলাম, শাহিন কবির,মো:রহিম,নজরুল ইসলাম,নাইমুল ইসলাম,ফারুক,আব্দুল মুতালিব,আব্দুল কাইয়ুম।
অভিযোগ সূত্রে জানানো হয় প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম,বিদ্যালয়ের বাতরুমে টাইলস লাগানো,বাগান নির্মান, স্কুলে বিভিন্ন জিনিসপত্র সংস্কারের নামে বিপুল অঙ্কের টাকা কাজ না করেই আত্মসাৎ করেন। যা প্রধান শিক্ষক মিথ্যা ও ষড়যন্ত্র বলে অবহিত করেন।