নারায়ণগঞ্জ নারী সাংবাদিক কল্যাণ স্ংস্থার পক্ষ থেকে ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ।।
- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:২১:২৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৩ ১২৫ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জ নারী সাংবাদিক কল্যাণ স্ংস্থার পক্ষ থেকে ছিন্নমূল শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ।।
১৬ ই নভেম্বর বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা নারায়ণগঞ্জ নারী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার পক্ষ থেকে ইজদাইর বাজার রেললাইন বস্তির ছিন্নমূল অসহায় শিশুদের মাঝে রান্না করা খাবার বিতরণ কর হয়। সভাপতিত্ব পরিচালনা করে নারী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সভাপতি সুমি আক্তার। তিনি এই সম্পর্কে বলেন আজ এই অসহায় শিশুদের পাশে এসে দাঁড়াতে পেরে আমার অনেক ভালো লাগছে আমি আমার সংগঠনের সকল সদস্যদের কে নিয়ে এখানে উপস্থিত হয়েছি
আমি চাই আমার মত সবাই এদের পাশে দাঁড়াবেন যার যতটুকু সামর্থ্য আছে তাই নিয়ে এদের পাশে দাঁড়াবেন।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন৷৷৷ ৷ এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফতুল্লা ইউনিয়ন পরিষদের ৪/৫/৬ নং ওয়ার্ডের মহিলা মেম্বার সকলের আস্থাভাজন ফেরদৌস আরা অনা।প্রধান অতিথি ফেরদৌস আরা অনা বলেন মনের কথাগুলো ব্যক্ত করেন আমি পড়তে চাই কিন্তু ইস্কুলে গেলে কাম করবে কে? দাদি পড়তে দেয় না। টুনির মত এরকম অনেক শিশু পড়তে চায় কিন্তু সুযোগ পায় না। শিশু শ্রমিক আরিফ নামে তার বয়স ১০ কাজ করে ৯ টা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত দোকানে কাজ করে ৯ টা থেকে কাজ শুরু করে সারাদিন বোতল বিক্রি করে যা টাকা পায় তা কোনমতে তার রাতের খাবারটুকু হয়। তারেক কত টাকা পায় তাও ঠিক মত জানেনাকোন সময় ১৫০ টাকা কোন সময় ১০০ টাকা কোন সময় ৮০ টাকা কোন সময় একটা টাকাও পায় না। বোতল নেওয়ার কষ্টের গান অনেক মাকে সময় মাইর দেয় । খারাপ কথা কয়। যদি পারতাম তাহলে এই কাম করতাম না।তখন ১০ টাকা কিছু বেশি। আশেপাশে কিছু শব্দহীন। সবাই গন্তব্যের দিকে যাচ্ছে। এসব শিশু যাচ্ছে তাদের অস্থায়ী ঠিকানা
সকালের আলো ফুটলে আবার শুরু হবে তাদের বেঁচে থাকার সংগ্রাম। চাইলে এসব শিশু পারেনা। এই কষ্টের জীবন ত্যাগ করতে হবে। তবে আমাদের সচেতনতা ও সম্মিলিত প্রচেষ্টাই পারে এসব শিশুকে কিছুটা হলেও আলো দেখাতে।
এ সময় সহযোগিতায় ছিলেন আমেনা রহমান চেয়ারম্যান ওয়েস্টার্ন গ্রুপ অফ ইন্ড্রাস্ট্রিজ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক মেহেদি নিট ফেব্রিক্স। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন নারী উদ্যোক্তা রিপা আক্তার। আরো উপস্থিত ছিলেন নারায়ণগঞ্জ নারী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি নুর আলম আকন্দ।উপদেষ্টা নুর আলম আকন্দ বলেন
অন্যের সঙ্গে তুলনা করবেন না
শিশুকে কোনো অবস্থাতেই অন্য শিশুর সঙ্গে তুলনা করা যাবে না। এতে তার মনে হবে, বাবা-মার কাছে ওই শিশুটিই বেশি পছন্দের। নিজের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস কমে যাবে। আত্মবিশ্বাস কমে গেলে বাইরের মানুষের সঙ্গে মেশার আগ্রহ আরও কমে যায়।
আগ্রহ/ সম্ভাবনার জায়গা খুঁজে বের করুন
আপনার শিশুটি কোন বিষয়ে বেশি আগ্রহী সেটি খুঁজে বের করলে তাকে বোঝা সহজ হবে। যেমন- শিশু ছবি আঁকার প্রতি আগ্রহী হলে তার ছবির প্রতি আগ্রহ দেখান। বাসায় কেউ বেড়াতে এলে তাদেরও বলবেন, শিশু যা খেলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে বা যে বিষয়ে আগ্রহী তা নিয়ে গল্প করতে। এতে করে শিশুর সামাজিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়।
সময় আরো উপস্থিতে নারী উদ্যোক্তা রিপা আক্তার বলেন বাচ্চারা হামাগুড়ি শেখার পর যেভাবে তাদের মাটিতে ছেড়ে দেওয়া হয় হাত-পা নেড়ে খেলে বেড়াবার জন্য, অন্যের সঙ্গে মেশার বেলায়ও তাই করতে হবে। শিশুকে কারো সঙ্গে খেলতে দিয়ে বারবার নজরদারি করা যাবে না সে কীভাবে খেলছে। শিশু যদি নাও খেলে তাকে অন্য শিশুর সঙ্গে বসিয়ে রাখুন, তাকে অন্য বাচ্চা সম্পর্কে আগ্রহী করে তুলুন।
আরও
শিশু স্কুলে বুলিংয়ের শিকার হলে কী করবেন, জেনে নিন বিশেষজ্ঞের কাছ থেকে
অতিরিক্ত সুরক্ষিত করতে যাবেন না
অভিভাবক হিসেবে সন্তানকে সুরক্ষিত রাখা আপনার দায়িত্ব। কিন্তু তাকে অতিরিক্ত সুরক্ষিত রাখতে গেলে এটি তার জন্য হিতে বিপরীত হতে পারে। অনেক সময় বাবা-মা ইচ্ছা করে কারো কোলে দিতে চান না, কারো সঙ্গে খেলতে দিতে চান না। কিন্তু বাচ্চার একটু বয়স বাড়তে থাকলে তারাই আবার দুশ্চিন্তা করেন শিশু কেন কারো সঙ্গে মিশছে না। শিশুকে অন্যের সঙ্গে মিশতে দিন, খেলা করতে দিন। এভাবে মিশতে মিশতে অভ্যাস রপ্ত হয়ে যাবে।
শিশুর বৃদ্ধির সঙ্গে তার সামাজিক বিকাশও জরুরি। কিন্তু অনেক শিশু সামাজিক এ বিষয়টিতে ততটা আগ্রহী হয় না। পরিবারের সঙ্গে ভালোভাবে মিশতে পারলেও পরিবারের বাইরে একেবারেই নিশ্চুপ হয়ে যায়। শিশুর এই মিশতে না পারা বাবা-মার দুশ্চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এ বিষয়ে কী করণীয় সেই পরামর্শ দিয়েছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী কল্যাণ ও পরামর্শদান কেন্দ্রের উপপরিচালক (মনোবিজ্ঞান) শুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জি।
সর্বশেষ খবর দ্য ডেইলি স্টার বাংলার গুগ।
শিশুরা কারো সঙ্গে মিশতে না চাইলে তা অভিভাবকদের জন্যে বেশ বিড়ম্বনার কারণ। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে যারা পরিবারের একমাত্র সন্তান, এই সমস্যাটি তাদের বেশি হয়ে থাকে। খেলার সময় তারা হয় পরিবারের কারো সঙ্গে খেলে, নয়তো একা একা। এভাবে একা থাকতে থাকতে অভ্যস্ত হয়ে গেলে শিশুরা বাইরের কারো সঙ্গে মেশা তো দূরের কথা, দেখা করতেও ভয় পায়।’
শিশুদের কারো সঙ্গে না মেশার কারণ হিসেবে মনোবিদ শুভাশীষ কুমার চ্যাটার্জি বলেন, ‘সময়ের সঙ্গে সঙ্গে শিশুকে ছাড়তে হয়, যাতে তার সামাজিকীকরণ, সামাজিক বিকাশ সঠিকভাবে হয়। বাবা-মা বেশি কর্তৃত্বপরায়ণ হলে শিশুরা বাইরের কারো সঙ্গে মিশতে ভয় পায়। তারা সহজে তার সমবয়সী শিশুকে বিশ্বাস করতে পারে না। তাছাড়া শিশুটি কী বিশেষভাবে কোনো ব্যক্তিকে ভয় পাচ্ছে কি না, তার আচরণ থেকে বাবা-মাকে বুঝতে চেষ্টা করতে হবে।’।
১০টি নৈতিক মূল্যবোধ যা আপনার বাচ্চাদের অবশ্যই শেখানো উচিত
পিতা-মাতার দায়িত্ব কেবলমাত্র একটি শিশুর শারীরিক বিকাশের যত্ন নেওয়া নয় – এটি শিশুর মানসিক বৃদ্ধি উন্নত করার ক্ষেত্রে সূক্ষ্মভাবে যত্ন নেওয়াকেও বোঝায়। পিতামাতারা, যুক্তিযুক্তভাবে, তাদের সন্তানের চরিত্র গঠনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা পালন করেন এবং বাচ্চা বড় হওয়ার সাথে সাথে জীবনে সে কিরকম মানুষ হয়ে উঠবে তার উপর সর্বাধিক প্রভাব ফেলেন।
কিছু লোক যুক্তি দেয় যে বাচ্চারা নিজেরাই নৈতিকতা শেখে, বা প্রি-স্কুলার শিশুদের নৈতিক মূল্যবোধ এবং ধারণা শেখার পক্ষে বেশিই তাড়াতাড়ি হয়ে যাবে। কিন্তু এটি ভুল; অল্প বয়সেই বাচ্চাদের মূল্যবোধ শেখানো ভাল, যাতে তারা বড় হওয়ার সাথে সাথে সেগুলি তাদের ব্যক্তিত্বের অংশ হয়ে যায়।
আসুন এমন দশটি নৈতিক মূল্যবোধ দেখে নেওয়া যাক যা প্রত্যেক পিতা-মাতাদের তাদের বাচ্চাদেরকে শেখাতে হবে।
আপনার বাচ্চাদের মধ্যে নৈতিক মূল্যবোধ গেঁথে দেওয়ার উপায়
১. আপনি যা উপদেশ দেন তা অনুশীলন করুন
শিশুরা আশেপাশের লোকদের কাছ থেকে শেখে, তাই আপনার বাচ্চাদের ভাল মূল্যবোধ শেখানোর জন্য আপনাকে প্রথমে সেগুলিকে আপনার নিজের জীবনে মডেল করতে হবে। আপনি মৌখিকভাবে অসংখ্য মূল্যবোধ ব্যাখ্যা করতে পারেন, তবে আপনার বাচ্চা কেবলমাত্র সেগুলিই বেছে নেবে যেগুলি আপনি আপনার নিজের আচরণের মাধ্যমে দেখাবেন।
২. ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা বর্ণনা করুন
ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা গল্পের মতো হয় এবং সমস্ত বাচ্চারা গল্প শুনতে পছন্দ করে। আপনার নিজের জীবন থেকে গল্প বাচ্চার সাথে শেয়ার করুন, যেখানে নৈতিক মূল্যবোধ মেনে চলার ফলে আপনার জীবনে ইতিবাচক অভিজ্ঞতা হয়েছিল এবং এইভাবে আপনার শিশু আরও ভালভাবে বুঝতে বাধ্য।
৩. ভাল আচরণের পুরস্কার দিন
এমন একটি সিস্টেম নিয়ে আসুন, যেখানে আপনি আপনার সন্তানকে তার জীবনে এই মূল্যবোধগুলি ব্যবহার করার জন্য পুরস্কৃত করবেন। প্রশংসা এবং পুরষ্কার হ’ল ইতিবাচক শক্তিবৃদ্ধি যা শিশুদের গঠনে অবিশ্বাস্যভাবে ভাল কাজ করে।
৪. কার্যকরভাবে কথাবার্তা বলুন
এই নৈতিক মূল্যবোধগুলি কীভাবে প্রতিদিনের জীবনে কাজ করে তা সম্পর্কে আপনার শিশুর সাথে প্রতি দিনই কথোপকথন করুন। উদাহরণস্বরূপ, আপনি খবরের কাগজের একটি নিবন্ধ নিয়ে আলোচনা করতে পারেন এবং আপনার সন্তানকে জিজ্ঞাসা করতে পারেন যে সে এই একই পরিস্থিতিতে কী করত।
৫. টেলিভিশন এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার নিরীক্ষণ করুন
টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট থেকে কোনভাবেই রেহাই পাওয়া যায় না, তবে আপনার শিশু যা দেখছে তা আপনি অবশ্যই পর্যবেক্ষণ করতে পারেন। নিশ্চিত হয়ে নিন যে শো-টি ভাল মূল্যবোধ ও নৈতিকতার প্রচার করে এবং তার বয়সের জন্য উপযুক্ত হয়।
বাচ্চাদের একটি দুর্দান্ত জীবনযাপনের জন্য 10টি নৈতিক মূল্যবোধ
১. সম্মান
অনেক বাবা-মা তাদের বাচ্চাদের কেবল বড়দের শ্রদ্ধা করতে শেখান, এটি ঠিক নয়। বয়স বা সামাজিক অবস্থান নির্বিশেষে সকলেই শ্রদ্ধা পাওয়ার যোগ্য। শ্রদ্ধা একটি অপরিহার্য নৈতিক মূল্যবোধ যা আপনার শিশুকে অল্প বয়সেই অবশ্যই জেনে রাখতে হবে, কারণ এটি অপরিচিত এবং প্রবীণদের সাথে তার আচরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যে সমস্ত বাচ্চারা অল্প বয়স থেকেই তাদের সমবয়সী এবং প্রবীণদের সম্মান জানায় তারা ভবিষ্যতে এ থেকে উপকৃত হবে। এমনকি ভবিষ্যতে কঠিন সময় এলেও, আপনার শিশুটি অন্যের সাথে আরও বেশি অনুনয়ী হয়ে কথা বলবে।
২. পরিবার
পরিবার বাচ্চাদের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। এটি তাদের জীবনকে আকার দেয় এবং তাদের লালনপালন করে প্রাপ্তবয়স্ক করে তোলে। অতএব, আপনার বাচ্চাদেরকে পরিবার সম্পর্কে একটি ধারণা প্রদান করা এবং পরিবার কেন গুরুত্বপূর্ণ তা বুঝতে তাদের সহায়তা করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি করুন এবং আপনার বাচ্চারা ভালো ও খারাপ সময়ে তাদের পরিবারের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা রেখে বেড়ে উঠবে
বাচ্চাদের জন্য ফ্রেন্ডশিপ ডে-র সুন্দর শুভেচ্ছা, উদ্ধৃতি এবং ম্যাসেজ
আপনার বয়স যাই হোক না কেন, বন্ধুরা আপনার ভালো এবং খারাপ সময়ে আপনার পাশে দাঁড়ায়।…
রাখী বন্ধন উৎসবের সেরা 20 টি উপহারের আইডিয়া শিশুদের জন্য
ভাই-বোনের সম্পর্ককে আরও মধুর করে তোলার একটি অসম্ভব সুন্দর অনুষ্ঠান হল এই রাখী বন্ধন উৎসবটি,…
বাড়িতে করণীয় 15 টি ক্রিয়াকলাপ করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের সময় আপনার বাচ্চাকে ব্যস্ত রাখার জন্য
যে সময় গোটা বিশ্ব তোলপাড় হয়ে উঠেছে কভিড-19 করোনা ভাইরাসে,তখন সব ধরনের সর্তকতা অবলম্বনের সাথে…
৩. মানিয়ে নেওয়া এবং আপোষ
বাচ্চাদের জেনে রাখা জরুরী যে সবকিছু তাদের ইচ্ছা অনুযায়ী কাজ করে না। অল্প বয়স থেকেই তাদের শেখান যে যখন খুব প্রয়োজন হয়, তখন তাদের মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করতে হতে পারে। আপনার বাচ্চাকে অবশ্যই মানিয়ে নিতে এবং আপোষ করতে শেখানো উচিত, কেবল যদি তার নিজের জীবন এখানে ঝুঁকিতে না পড়ে। মানিয়ে নেওয়া নীতিগতভাবে খুব ভালো শোনালেও, একটি সূক্ষ্ম রেখা রয়েছে যেখানে এটি আপোষ করাকে পেরিয়ে যায়। আপোষের কারণে যদি শিশুটি হারতেই থাকে তবে এটি কেবল ক্ষতিকারকই নয়, পরিচিতি লাভের পথেও বাধা হয়ে ওঠে।
৪. সাহায্যকারী মানসিকতা
আপনার শিশুকে অবশ্যই অল্প বয়স থেকে অন্যকে সহায়তা করতে শেখানো উচিত, এমনকি সম্পূর্ণ অপরিচিত মানুষকেও। আপনার বাচ্চাকে শেখাতে হবে যে কেন অন্যকে সহায়তা করা এত গুরুত্বপূর্ণ এবং আপনি যখন কাউকে সাহায্য করেন তখন কীভাবে আপনি সর্বদা এটি ফিরে পান। সমাজের কার্যকরী অংশ হওয়ার জন্য, আপনার শিশুটির অন্যের প্রয়োজনের প্রতি সহানুভূতিশীল হওয়া গুরুত্বপূর্ণ।
৫. ধর্মকে শ্রদ্ধা করা
আপনার সন্তানকে গড়ে তোলা উচিত, কেবল তার নিজের ধর্মকে শ্রদ্ধা করার জন্য নয়, বরং এটা তাকে বুঝতে হবে যে প্রত্যেক ব্যক্তিরই নিজের ধর্ম বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে। অল্প বয়স থেকেই আপনার বাচ্চাদের শিখিয়ে দিন যে ধর্ম বা উৎসব উদযাপন নির্বিশেষ।
নৈতিক দিক নির্ণয় এবং ন্যায়বিচারের অনুভূতি হ’ল এমন গুরুত্বপূর্ণ দুটি মূলবোধ যা কোনও সন্তানের অল্প বয়স থেকেই থাকা উচিত। আপনার বাচ্চারা যখনই কোনও অন্যায় কাজ দেখে তখন তাদের সেটির বিষয়ে কথা বলতে সর্বদা উৎসাহিত করতে হবে যাতে তাদের নিজেদের বা অন্যের উপকার হয়।
৭. সততা
অল্প বয়স থেকেই সততাকে বাচ্চাদের জন্য সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ মূল্যবোধ হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। সততা সর্বদা সর্বোত্তম নীতি, এবং আপনার বাচ্চাকে সে যে-কোনও ভুলই করুক না কেন সত্য বলতে উৎসাহিত করতে হবে।
৮. কখনই কাউকে আঘাত করবে না
আপনার সন্তানকে বোঝান যে কাউকে আঘাত করা কেবল একটি শারীরিক সমস্যা নয়- কোনও আঘাতের কারণে মানসিক এবং আবেগগত প্রভাবও পড়তে পারে। আপনার বাচ্চাদের কীভাবে ক্ষমা চাইতে হবে তা শেখাতে ভুলবেন না, এবং যদি তারা শারীরিকভাবে বা কথাবার্তার মাধ্যমে কাউকে আঘাত করে তবে তাদের তখনই ক্ষমা চাইতে উৎসাহিত করুন।
৯. চুরি
চুরি করা অন্যায়, এটি করার পিছনে যুক্তি যাই থাকুক না কেন- এটি বাচ্চাদের জন্য একটি ভাল মূল্যবোধ। আপনার শিশুকে শিখিয়ে দিন যে চুরি একটি ভুল কাজ, শুধু আইনগতভাবেই নয়, নৈতিকভাবেও, কারণ চুরির অর্থ হল যে সে অন্য কোনও ব্যক্তির জিনিস গ্রহন করে।
১০. শিক্ষার প্রতি ভালবাসা গড়ে তুলুন
যে কোন মানুষের কাছে থাকা সবচেয়ে বড় অস্ত্রটিই হ’ল শিক্ষা এবং কেউ জীবনে কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে তার উপর সবচেয়ে বেশি প্রভাব ফেলে এটি। শিক্ষার প্রতি ভালবাসা অবশ্যই বাচ্চাদের মধ্যে গড়ে তুলতে হবে, একেবারে প্রিস্কুলের সময় থেকে এবং আপনার সন্তানকে জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব বোঝানোর চেষ্টা করা উচিত।
নৈতিক মূল্যবোধগুলি শুরু থেকেই শিশুদের মধ্যে ঢুকিয়ে দিতে হবে এবং কোনও বয়সই শুরু করার জন্য খুব তাড়াতাড়ি নয়। এগুলি আপনার সন্তানের ব্যক্তিত্ব গঠনে বিশাল ভূমিকা পালন করে এবং আপনার শিশু কীভাবে তার জীবনকে রূপ দেয় তার উপর সবচেয়ে বড় প্রভা
উপস্থিত ছিলেন শারমিন তিশা- সাধারণ সম্পাদক,
আলেয়া আক্তার- আলো সহ সভাপতি,
নিশা আক্তার -কোষাদক্ষ,
ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা -যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নারায়ণগঞ্জ নারী সাংবাদিক কল্যাণ সংস্থার সাংগঠনিক সম্পাদক লিজা,
শিউলি আক্তার লিলি – ক্রিয়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক,.সাংবাদিক কুমকুম,সদস্য তানজিলা।