ঢাকা ০১:১৬ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

চুয়াডাঙ্গার আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩১ হাজার টন; আয় হবে দেড়শ কোটি

শাকিল আহম্মেদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যুরোচীফ 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪ ৩১ বার পড়া হয়েছে

৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শহরের মহিলা কলেজপাড়ার মহলদার আম্রকাননের বাদল মিয়ার আম বাগান থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। গাছ থেকে আম পেড়ে সংগ্রহ মৌসুনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা। ওই আমবাগান চত্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ ও দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, জেলা বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ জেলায় উৎপাদিত আম অত্যন্ত ভালোমানের। সে কারণে আম পাড়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মানতে হবে। গুণগত মানের আম রফতানির ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেওয়া জরুরী। এ জেলার আম ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অন্য কোনো জেলা থেকে অপরিপক্ক আম ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনো অবস্থায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া এবং পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জেলা প্রশাসক।পরে, বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, এবার জেলায় ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে, যাতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফলন হবে। এতে দেড়শ কোটি টাকা আয় হবে। এ বছর আমের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। যেন আমরা নিরাপদ আম খেতে পারি এবং চুয়াডাঙ্গার আমের সুখ্যাতি অন্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।আম ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুস জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের বৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে গিয়েছিল। এরপর এপ্রিলজুড়ে প্রচণ্ড গরমে ব্যাপক হারে আম ঝরে পড়েছে। ফলন কম হওয়ায় এবার আমের দাম বেশি। ঝরে পড়া আম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছেন। পাকা আমের কেজি ৬০ থেকে ৭৫ টাকা হবে। দাম বেশি হওয়ায় লোকসান কিছুটা কমবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

চুয়াডাঙ্গার আম উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ৩১ হাজার টন; আয় হবে দেড়শ কোটি

নিউজ প্রকাশের সময় : ১১:৪৫:২৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ মে ২০২৪

৩০ হাজার ৮১০ মেট্রিকটন উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় শহরের মহিলা কলেজপাড়ার মহলদার আম্রকাননের বাদল মিয়ার আম বাগান থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়। গাছ থেকে আম পেড়ে সংগ্রহ মৌসুনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড.কিসিঞ্জার চাকমা। ওই আমবাগান চত্বরে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের আয়োজনে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ ও দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার, জেলা বিপণন কর্মকর্তা সহিদুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা আম ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি আব্দুল কুদ্দুস মহলদার, জেষ্ঠ্য সহ-সভাপতি ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল করিম বিশ্বাস সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম প্রমুখ।চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, এ জেলায় উৎপাদিত আম অত্যন্ত ভালোমানের। সে কারণে আম পাড়ার ক্ষেত্রে নিয়ম মানতে হবে। গুণগত মানের আম রফতানির ক্ষেত্রে দৃষ্টি দেওয়া জরুরী। এ জেলার আম ব্যবসায়ীদের সুবিধার্থে অন্য কোনো জেলা থেকে অপরিপক্ক আম ঢুকতে দেওয়া হবে না। কোনো অবস্থায় বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে অপরিপক্ক আম পাড়া এবং পাকানো ও সংরক্ষণের জন্য কোনো রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা যাবে না। তাছাড়া অবৈধ প্রক্রিয়ায় আম পাকানো হলে বা পাকানোর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হলে ‘ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন -২০০৯’ এবং ‘নিরাপদ খাদ্য আইন-২০১৩ অনুয়ায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন জেলা প্রশাসক।পরে, বিভাস চন্দ্র সাহা জানান, এবার জেলায় ২ হাজার ৩০৪ হেক্টর জমিতে আমের আবাদ হয়েছে, যাতে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ফলন হবে। এতে দেড়শ কোটি টাকা আয় হবে। এ বছর আমের ফলন কিছুটা কম হয়েছে। যেন আমরা নিরাপদ আম খেতে পারি এবং চুয়াডাঙ্গার আমের সুখ্যাতি অন্য জেলাতেও ছড়িয়ে পড়ে, সে জন্য সবাইকে আন্তরিক হতে হবে।আম ব্যবসায়ী আবদুল কুদ্দুস জানান, ফেব্রুয়ারি মাসের বৃষ্টিতে আমের মুকুল ঝরে গিয়েছিল। এরপর এপ্রিলজুড়ে প্রচণ্ড গরমে ব্যাপক হারে আম ঝরে পড়েছে। ফলন কম হওয়ায় এবার আমের দাম বেশি। ঝরে পড়া আম প্রতি কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকায় বিক্রি করেছেন। পাকা আমের কেজি ৬০ থেকে ৭৫ টাকা হবে। দাম বেশি হওয়ায় লোকসান কিছুটা কমবে।