ঢাকা ১২:৪৯ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

পদ্মায় চলছে মাছ শিকার নিষিদ্ধ জালে

রিপোর্টার ফয়সাল হোসেন 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪ ১৪ বার পড়া হয়েছে

নিষিদ্ধ জালে পদ্মায় চলছে মাছ শিকার রাজশাহীর পদ্মা নদীতে অবাধে চলেছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ার জালে মাছ শিকার। এতে করে ছোট-বড় মাছের সঙ্গে জালে আটকা পড়ছে মা মাছসহ পোনাও। শুধু চায়না দুয়ার জালই নয়, নদীতে মাছ শিকার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ নাইলন ও কারেন্ট জালে। অল্প খরচে অধিক মাছের আশায় এক শ্রেণির জেলেরা এই জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছেন।তবে এসব জালে মাছ শিকারের বিপক্ষে অন্য জেলেরা। তারা বলছেন, নিষিদ্ধ এই জালে মাছ শিকারের ফলে মৎস্য সম্পদ এক প্রকারের হুমকির মুখে পড়ছে। তাই চায়না দুয়ার, লাইলন জাল ও কারেন্ট জাল বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।পবা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘জনবল সংকটের কারণে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারেন না।’পবা হরিয়ান ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের মিজানের মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ার জালে বেশ কয়েকজনকে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে।তাদের মধ্যে মুক্তার আলী জানান, ‘এই চায়না দুয়ার জালে সব ধরনের মাছ ধরা পড়ে। অল্প পানিতে এই জাল পেতে রাখলে মাছের সঙ্গে সাপ পড়ে। তাই গভীর নদীতে পেতে রাখা হয় এই জাল। প্রতিদিন বিকেলে পেতে পরের দিন সকালে এই জাল তুলে নেওয়া হয়। তাতে একেকটি জালে দেড় থেকে দুই কেজি বিভিন্ন মাছ পড়ে।’ তবে মুক্তার আলী জানান, তিনি নদীতে পাঁচটি চায়না দুয়ার জাল পেতেছেন।তিনি জানান, এই জাল রাজশাহীতে পাওয়া যায় না। তবে এই জালে ধরা পড়া মাছ রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়। এই জাল কুষ্টিয়া থেকে কিনে আনা হয়েছে। সেখানে একেকটি জালের দাম পড়েছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। পবার মিজানের মোড় ঘাট থেকে শুরু করে চারঘাট পর্যন্ত এই জালে দুই শতাধিক জেলে মাছ শিকার করে।অপর মাছ শিকারি বলেন, ‘কারেন্ট জালে একটা নির্দিষ্ট আকারের মাছ ধরা পড়ে। বাকি ছোট-বড় মাছ জালে ধরা পড়ে না। কারেন্ট জালে পোনা মাছ নষ্ট হয় না। কারেন্ট জালে নদীতে থাকা সাপ কম মারা পড়ে। কিন্তু চায়না দুয়ার জালে সব ধরা পড়ে। এই জালে মাছের পোনা থেকে শুরু করে সবধরনের মাছ আটকা পড়ে। শুরু মাছই নয়, মাছের পোনা, সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ধরা পড়ে এই জালে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জেলে বলেন, চায়না দুয়ার জাল নিষিদ্ধ। তারপরও অনেকেই মাছ শিকার করে। মৎস্য অফিস অভিযান চালালে মাছ শিকার দুই থেকে তিন দিনের জন্য বন্ধ থাকে। তারপরে আবার মাছ শিকার শুরু হয়। এই জালে মাছ শিকারের ফলে মৎস্য সম্পদ এক প্রকারের হুমকির মুখে পড়ছে। তাই চায়না দুয়ার, নাইলন জাল ও কারেন্ট জাল বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।জনবল সঙ্কটের কারণে নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হয় না উল্লেখ করে পবা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চায়না দুয়ার অবৈধ ও নিষিদ্ধ জাল। এই জালে পোনা মাছ ছাড়াও সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ধরা পড়ে। এই জালে মাছ শিকার বন্ধে প্রতিমাসে তিন থেকে চারদিন অভিযান পরিচালনা করা হয়। একেক বার অভিযানে তারা ৩০ থেকে ৪০টা করে চায়না দুয়ার জাল উদ্ধার করে বলে জানান।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পদ্মায় চলছে মাছ শিকার নিষিদ্ধ জালে

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৩:৪৯:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ জুলাই ২০২৪

নিষিদ্ধ জালে পদ্মায় চলছে মাছ শিকার রাজশাহীর পদ্মা নদীতে অবাধে চলেছে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ার জালে মাছ শিকার। এতে করে ছোট-বড় মাছের সঙ্গে জালে আটকা পড়ছে মা মাছসহ পোনাও। শুধু চায়না দুয়ার জালই নয়, নদীতে মাছ শিকার করা হচ্ছে নিষিদ্ধ নাইলন ও কারেন্ট জালে। অল্প খরচে অধিক মাছের আশায় এক শ্রেণির জেলেরা এই জাল দিয়ে নদীতে মাছ শিকার করছেন।তবে এসব জালে মাছ শিকারের বিপক্ষে অন্য জেলেরা। তারা বলছেন, নিষিদ্ধ এই জালে মাছ শিকারের ফলে মৎস্য সম্পদ এক প্রকারের হুমকির মুখে পড়ছে। তাই চায়না দুয়ার, লাইলন জাল ও কারেন্ট জাল বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।পবা উপজেলার মৎস্য কর্মকর্তারা বলছেন, ‘জনবল সংকটের কারণে তারা নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করতে পারেন না।’পবা হরিয়ান ইউনিয়নের নয় নম্বর ওয়ার্ডের মিজানের মোড় এলাকায় পদ্মা নদীতে নিষিদ্ধ চায়না দুয়ার জালে বেশ কয়েকজনকে মাছ শিকার করতে দেখা গেছে।তাদের মধ্যে মুক্তার আলী জানান, ‘এই চায়না দুয়ার জালে সব ধরনের মাছ ধরা পড়ে। অল্প পানিতে এই জাল পেতে রাখলে মাছের সঙ্গে সাপ পড়ে। তাই গভীর নদীতে পেতে রাখা হয় এই জাল। প্রতিদিন বিকেলে পেতে পরের দিন সকালে এই জাল তুলে নেওয়া হয়। তাতে একেকটি জালে দেড় থেকে দুই কেজি বিভিন্ন মাছ পড়ে।’ তবে মুক্তার আলী জানান, তিনি নদীতে পাঁচটি চায়না দুয়ার জাল পেতেছেন।তিনি জানান, এই জাল রাজশাহীতে পাওয়া যায় না। তবে এই জালে ধরা পড়া মাছ রাজশাহীর বিভিন্ন বাজারে বিক্রি হয়। এই জাল কুষ্টিয়া থেকে কিনে আনা হয়েছে। সেখানে একেকটি জালের দাম পড়েছে ৩ হাজার ৫০০ থেকে ৪ হাজার টাকা পর্যন্ত। পবার মিজানের মোড় ঘাট থেকে শুরু করে চারঘাট পর্যন্ত এই জালে দুই শতাধিক জেলে মাছ শিকার করে।অপর মাছ শিকারি বলেন, ‘কারেন্ট জালে একটা নির্দিষ্ট আকারের মাছ ধরা পড়ে। বাকি ছোট-বড় মাছ জালে ধরা পড়ে না। কারেন্ট জালে পোনা মাছ নষ্ট হয় না। কারেন্ট জালে নদীতে থাকা সাপ কম মারা পড়ে। কিন্তু চায়না দুয়ার জালে সব ধরা পড়ে। এই জালে মাছের পোনা থেকে শুরু করে সবধরনের মাছ আটকা পড়ে। শুরু মাছই নয়, মাছের পোনা, সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ধরা পড়ে এই জালে।নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন জেলে বলেন, চায়না দুয়ার জাল নিষিদ্ধ। তারপরও অনেকেই মাছ শিকার করে। মৎস্য অফিস অভিযান চালালে মাছ শিকার দুই থেকে তিন দিনের জন্য বন্ধ থাকে। তারপরে আবার মাছ শিকার শুরু হয়। এই জালে মাছ শিকারের ফলে মৎস্য সম্পদ এক প্রকারের হুমকির মুখে পড়ছে। তাই চায়না দুয়ার, নাইলন জাল ও কারেন্ট জাল বন্ধে সংশ্লিষ্টদের কার্যকরী পদক্ষেপ নিতে হবে।জনবল সঙ্কটের কারণে নিয়মিত অভিযান চালানো সম্ভব হয় না উল্লেখ করে পবা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান বলেন, চায়না দুয়ার অবৈধ ও নিষিদ্ধ জাল। এই জালে পোনা মাছ ছাড়াও সাপ, ব্যাঙ, কাঁকড়া ধরা পড়ে। এই জালে মাছ শিকার বন্ধে প্রতিমাসে তিন থেকে চারদিন অভিযান পরিচালনা করা হয়। একেক বার অভিযানে তারা ৩০ থেকে ৪০টা করে চায়না দুয়ার জাল উদ্ধার করে বলে জানান।