ঢাকা ০২:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পশ্চিম পদুয়ায় ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা ছুটছেন কবর জিয়ারতে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কলাতলী মানব সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী। ভোলার মনপুরায় নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক। ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড। ঈদে নতুন জামা নয়, এক খণ্ড রুটি চায় গাজার শিশুর সাউথ কোরিয়ায় গঙ্গা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স শেষ করার গল্পঃএ কে আজাদ বিশিষ্ট সমাজসেবক আলমগীর হোসেনের ঈদ শুভেচ্ছা পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে, ১০ কেজি করে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

বাগেরহাটে ১৬ কি.মি বাঁধে ঝুঁকি, রেমালে প্রস্তুত ৩৫৯ কেন্দ্র

মো: মহিবুল ইসলাম খুলনা বিভাগীয় ব্যুরো চীফ
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪ ৬১ বার পড়া হয়েছে

বাগেরহাটে বিভিন্ন নদ-নদীর পড়ে কয়েক হাজার মানুষ যুগযুগ ধরে বাস করছে। তবে নদী পাড়ে বেড়ি বাঁধ না থাকায় মানুষগুলোর মধ্যে ক্রমেই জীবন ঝুঁকির আতঙ্ক বাড়ছে। আর যে সব এলাকায় বাঁধ রয়েছে তার ১৬ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ।স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বাড়লে খুব সহজেই জেলার রামপুর, মোংলা, মোড়লগঞ্জ উপজেলার একাংশ প্লাবিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, নদী পাড়ের মানুষের শঙ্কা মুক্ত করতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ১৮৫ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।এদিকে প্রলয় ঝড় সুপার সাইক্লোন সিডর, আইলা, আম্ফান, মোরা, বুলবুল ও ফণীসহ বিভিন্ন সময়ের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বাগেরহাটের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে রেখেছে। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে ‘রেমাল’ নামে এক ঘূর্ণিঝড়।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৫১ জন মানুষ ছাড়াও গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে।বাগেরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী জানান, জেলায় মোট ৩৩৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার বাঁধ টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ এবং শরণখোলায় বর্তমানে ১৬ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আট কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এই মুহূর্তে শরণখোলায় বলেশ্বর নদী পাড়ে টেকসই বাঁধের বগী ও সাউথখালী এলাকায় তিনটি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৬০ মিটার বাঁধ মেরামত কাজ চলছে। এছাড়া ওই বাঁধে আরো দুই কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।তিনি আরও জানান, জেলার রামপাল ও মোংলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো বাঁধ নেই। জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নদী পাড়ে ১৮৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের জন্য তাদের প্রস্তাব বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।তার তথ্য মতে, মোট ৩৩৮ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ২৭৩ কিলোমিটার বাঁধ টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়নি। এসব বাঁধ কয়েক যুগ আগে যখন নির্মাণ করা হয়, তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তার উচ্চতা (আরএল) ছিল ৪.৩ মিটার। কিন্তু বর্তমানে বাঁধের উচ্চতা কোথাও কোথাও এক মিটার বা তার থেকে বেশি কমে গেছে। জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া নগদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা এবং ৬৪৩.৪ টন চাল মজুত রাখা হয়েছে।তিনি জানান, জেলা ব্যাপী সিপিপির তিন হাজার ১৮০ জন সদস্য এবং রেডক্রিসেন্ট, রোভার, বিএনসিসি, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রায় ৫০০ সদস্য প্রস্তত রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের সঙ্কেতের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বাগেরহাটে ১৬ কি.মি বাঁধে ঝুঁকি, রেমালে প্রস্তুত ৩৫৯ কেন্দ্র

নিউজ প্রকাশের সময় : ০২:০৯:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৬ মে ২০২৪

বাগেরহাটে বিভিন্ন নদ-নদীর পড়ে কয়েক হাজার মানুষ যুগযুগ ধরে বাস করছে। তবে নদী পাড়ে বেড়ি বাঁধ না থাকায় মানুষগুলোর মধ্যে ক্রমেই জীবন ঝুঁকির আতঙ্ক বাড়ছে। আর যে সব এলাকায় বাঁধ রয়েছে তার ১৬ কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ।স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে পানি বাড়লে খুব সহজেই জেলার রামপুর, মোংলা, মোড়লগঞ্জ উপজেলার একাংশ প্লাবিত হয়। পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বলছে, নদী পাড়ের মানুষের শঙ্কা মুক্ত করতে জেলার বিভিন্ন এলাকায় নতুন করে ১৮৫ কিলোমিটার বেড়ি বাঁধ নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।এদিকে প্রলয় ঝড় সুপার সাইক্লোন সিডর, আইলা, আম্ফান, মোরা, বুলবুল ও ফণীসহ বিভিন্ন সময়ের ঝড়-জলোচ্ছ্বাস বাগেরহাটের নদী পাড়ের বাসিন্দাদের আতঙ্কিত করে রেখেছে। সম্প্রতি এই তালিকায় যোগ হয়েছে ‘রেমাল’ নামে এক ঘূর্ণিঝড়।জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, মানুষের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য ৩৫৯টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এসব আশ্রয় কেন্দ্রে দুই লাখ ৬৬ হাজার ৫১ জন মানুষ ছাড়াও গবাদি পশু আশ্রয় নিতে পারবে।বাগেরহাট পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান মোহাম্মদ আল-বিরুনী জানান, জেলায় মোট ৩৩৮ কিলোমিটার বাঁধ রয়েছে। এর মধ্যে শরণখোলা ও মোড়েলগঞ্জে মাত্র ৬৫ কিলোমিটার বাঁধ টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়েছে। বাগেরহাট সদর, মোড়েলগঞ্জ এবং শরণখোলায় বর্তমানে ১৬ কিলোমিটার বাঁধ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে আট কিলোমিটার বাঁধ অধিক ঝুঁকিপূর্ণ। এই মুহূর্তে শরণখোলায় বলেশ্বর নদী পাড়ে টেকসই বাঁধের বগী ও সাউথখালী এলাকায় তিনটি স্থানে ঝুঁকিপূর্ণ ৪৬০ মিটার বাঁধ মেরামত কাজ চলছে। এছাড়া ওই বাঁধে আরো দুই কিলোমিটার ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে।তিনি আরও জানান, জেলার রামপাল ও মোংলা উপজেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোনো বাঁধ নেই। জোয়ারে পানি বৃদ্ধি পেলেই লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। জেলার বিভিন্ন উপজেলায় নদী পাড়ে ১৮৫ কিলোমিটার বাঁধ নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। বাঁধ নির্মাণের সম্ভ্যবতা যাচাইয়ের জন্য তাদের প্রস্তাব বর্তমানে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে রয়েছে।তার তথ্য মতে, মোট ৩৩৮ কিলোমিটার বাঁধের মধ্যে ২৭৩ কিলোমিটার বাঁধ টেকসইভাবে নির্মাণ করা হয়নি। এসব বাঁধ কয়েক যুগ আগে যখন নির্মাণ করা হয়, তখন সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে তার উচ্চতা (আরএল) ছিল ৪.৩ মিটার। কিন্তু বর্তমানে বাঁধের উচ্চতা কোথাও কোথাও এক মিটার বা তার থেকে বেশি কমে গেছে। জোয়ারে স্বাভাবিকের চেয়ে পানি বৃদ্ধি পেলে বাঁধ উপচে লোকালয়ে পানি ঢুকে পড়ে।বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মোহা. খালিদ হোসেন জানান, সম্ভাব্য ঘূর্ণিঝড় ‘রেমাল’ মোকাবেলায় জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে। এছাড়া নগদ সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা এবং ৬৪৩.৪ টন চাল মজুত রাখা হয়েছে।তিনি জানান, জেলা ব্যাপী সিপিপির তিন হাজার ১৮০ জন সদস্য এবং রেডক্রিসেন্ট, রোভার, বিএনসিসি, স্বেচ্ছাসেবক সংগঠনের প্রায় ৫০০ সদস্য প্রস্তত রয়েছে। আবহাওয়া বিভাগের সঙ্কেতের ওপর ভিত্তি করে পরবর্তী সব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।