ঢাকা ০২:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৪ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
জেলা বিএনপি আহবায়ক এড.মান্নানের সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়। অর্ধাহারে-অনাহারে ১৪শ চা শ্রমিক তিন মাস ধরে বন্ধ মজুরি নতুন ভিসি ওমর ফারুক চট্টগ্রাম মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের  চাঁদায় নদী ভাঙন রোধের চেষ্টা কুড়িগ্রামে গ্রামবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম- নাগরপুরে ডিমের দাম বৃদ্ধি , ক্রেতাদের মাঝে অস্বস্থির ক্ষোভ  নোয়াখালীতে ফকির চাড়ুমিজি মাজারে চলছে লক্ষ লক্ষ টাকার রমরমা বাণিজ্য শেরপুরে ছাত্র অধিকার পরিষদের জনসংযোগ ও লিফলেট বিতরণ  শ্রমিকদের সংঘর্ষ, নিহত ১ আশুলিয়ায় দুই পোশাক কারখানার  ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস পুনর্গঠনের লক্ষ্যে ১২ দফা  বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে।

মাধবপুর নোয়াপাড়ায় ধনাঢ্য আর সচ্ছলরা পাচ্ছে টিসিবি কার্ড

প্রতিনিধির নাম
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩ ২১৪ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি:: অসচ্ছল ও গরিব মানুষের আর্থিক কষ্ট লাঘবে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য দিতে টিসিবির কার্ড বিতরণ করেছে সরকার। কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে? কারা পাচ্ছে টিসিবির পণ্যসুবিধা? কারা পেয়েছে কার্ড? অভাবী মানুষের ঘরে কি যাচ্ছে পণ্যসুবিধা? হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নে টিসিবি’র ডিলার ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পণ্য বিক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।

নোয়াপাড়া ইউনিয়নে টিসিবির  কার্ড পেয়েছে  সচ্ছল ব্যক্তিরা। কার্ড বিতরণে হয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা, পণ্য বিক্রিতে হয়েছে অনিয়ম। এমন অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের (https://www.facebook.com/syed.prince.3760430) ফেসবুকে এসে লাইভ করেছেন সৈয়দ আদিল আহমেদ প্রিন্স নামে এক যুবক। ৮মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে প্রিন্স তুলে ধরেন অনেক স্বচ্ছল ব্যক্তির নাম।

প্রিন্স বলেন, ভবানীপুর গ্রামের শানু মিয়া সর্দার পেশায় ব্যবসায়ী হলেও টিসিবি কার্ডে একজন কৃষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। শানু মিয়ার রয়েছে ঠিকাদারী ব্যবসা। এছাড়া তার দুই ছেলে প্রবাসী। শাহপুর গ্রামের ডিস ব্যবসায়ী কবির আলমও টিসিবির কার্ডে নিজেকে কৃষক হিসেবে দাবী করেন। আলীনগর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে গাজিউর রহমান স্বচ্ছল থাকা সত্ত্বেও নিয়েছেন টিসিবির সুবিধা। কন্সট্রাকশন ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া, মোঃ শাহান আহাম্মদ খান, নেয়াপাড়ার ছোরাব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম, গণি খানের ছেলে শাহীন খানসহ অনেকেই পাওয়া কার্ড তুলে ধরেন প্রিন্স। তার দাবী এসব কার্ডধারী ব্যক্তি স্বচ্ছল ও ধনাঢ্য। তাদের ব্যবসা ও জমিজমা রয়েছে। ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল এমন অনিয়ম করেছেন বলেও দাবী করেন তিনি।

এবিষয়ে জানতে নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আতাউল মোস্তফা সোহেলকে ফোন করলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসানকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধকিবার ফোন দেয়ার পরও তিনি রিসিভ করেন নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

মাধবপুর নোয়াপাড়ায় ধনাঢ্য আর সচ্ছলরা পাচ্ছে টিসিবি কার্ড

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৬:৫৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৯ এপ্রিল ২০২৩

বিশেষ প্রতিনিধি:: অসচ্ছল ও গরিব মানুষের আর্থিক কষ্ট লাঘবে ন্যায্যমূল্যে টিসিবি পণ্য দিতে টিসিবির কার্ড বিতরণ করেছে সরকার। কিন্তু বাস্তবে কী হচ্ছে? কারা পাচ্ছে টিসিবির পণ্যসুবিধা? কারা পেয়েছে কার্ড? অভাবী মানুষের ঘরে কি যাচ্ছে পণ্যসুবিধা? হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নে টিসিবি’র ডিলার ও ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পণ্য বিক্রয়ে অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্ছাচারিতা এবং স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে।

নোয়াপাড়া ইউনিয়নে টিসিবির  কার্ড পেয়েছে  সচ্ছল ব্যক্তিরা। কার্ড বিতরণে হয়েছে স্বেচ্ছাচারিতা, পণ্য বিক্রিতে হয়েছে অনিয়ম। এমন অভিযোগ এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম নিজের (https://www.facebook.com/syed.prince.3760430) ফেসবুকে এসে লাইভ করেছেন সৈয়দ আদিল আহমেদ প্রিন্স নামে এক যুবক। ৮মিনিট ৩০ সেকেন্ডের এই ভিডিওতে প্রিন্স তুলে ধরেন অনেক স্বচ্ছল ব্যক্তির নাম।

প্রিন্স বলেন, ভবানীপুর গ্রামের শানু মিয়া সর্দার পেশায় ব্যবসায়ী হলেও টিসিবি কার্ডে একজন কৃষক হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন। শানু মিয়ার রয়েছে ঠিকাদারী ব্যবসা। এছাড়া তার দুই ছেলে প্রবাসী। শাহপুর গ্রামের ডিস ব্যবসায়ী কবির আলমও টিসিবির কার্ডে নিজেকে কৃষক হিসেবে দাবী করেন। আলীনগর গ্রামের আজিজুর রহমানের ছেলে গাজিউর রহমান স্বচ্ছল থাকা সত্ত্বেও নিয়েছেন টিসিবির সুবিধা। কন্সট্রাকশন ব্যবসায়ী শাহজাহান মিয়া, মোঃ শাহান আহাম্মদ খান, নেয়াপাড়ার ছোরাব আলীর ছেলে জহিরুল ইসলাম, গণি খানের ছেলে শাহীন খানসহ অনেকেই পাওয়া কার্ড তুলে ধরেন প্রিন্স। তার দাবী এসব কার্ডধারী ব্যক্তি স্বচ্ছল ও ধনাঢ্য। তাদের ব্যবসা ও জমিজমা রয়েছে। ৯নং নোয়াপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সৈয়দ আতাউল মোস্তফা সোহেল এমন অনিয়ম করেছেন বলেও দাবী করেন তিনি।

এবিষয়ে জানতে নোয়াপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান এস এম আতাউল মোস্তফা সোহেলকে ফোন করলে তার ব্যবহৃত মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

এদিকে মাধবপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মনজুর আহসানকে ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধকিবার ফোন দেয়ার পরও তিনি রিসিভ করেন নি।