ঢাকা ১০:৪০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫, ২৫ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
পশ্চিম পদুয়ায় ঈদের নামাজ শেষে মুসল্লিরা ছুটছেন কবর জিয়ারতে ঈদ উল আযহা উপলক্ষে ধর্ম প্রাণ মুসলিমদের ঈদের শুভেচ্ছা। পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে কলাতলী মানব সেবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে গরীব অসহায় দুস্থ মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ কর্মসূচী। ভোলার মনপুরায় নৌবাহিনী ও পুলিশের সমন্বয়ে দুই মাদক ব্যবসায়ী আটক। ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা। ঈদে নৌপথের নিরাপত্তায় কোস্ট গার্ড। ঈদে নতুন জামা নয়, এক খণ্ড রুটি চায় গাজার শিশুর সাউথ কোরিয়ায় গঙ্গা ইউনিভার্সিটিতে মাস্টার্স শেষ করার গল্পঃএ কে আজাদ বিশিষ্ট সমাজসেবক আলমগীর হোসেনের ঈদ শুভেচ্ছা পবিত্র ঈদুল আজহার উপলক্ষে, ১০ কেজি করে হতদরিদ্র পরিবারের মাঝে ভিজিএফ চাল বিতরণ করেন।

সামাজিক কিংবা পেশাজীবী সংগঠনে সদস্য থাকা অবস্থায় চুলকা-চুলকি না করি।

রিপোর্টার:- ফাতেমা আক্তার মাহমুদা ইভা
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ২৯৭ বার পড়া হয়েছে

সামাজিক কিংবা পেশাজীবী সংগঠনে সদস্য থাকা অবস্থায় চুলকা-চুলকি না করি।

সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ সুসংগঠিত হয়ে সমাজের কল্যাণে কিছু করতে চায় । বাহ্যিকভাবে দেখা মানুষগুলোর সবাইর উদ্দেশ্য এক নয়। দেশব্যাপী যেসব সংগঠন তাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে সদস্যদের অনেকের সম্পর্কেই অনেকে জানেন না এবং স্বল্প সময়ে জানা সম্ভবও নয়। নবাব সিরাজউদ্দৌলা মীর জাফরকে এবং বঙ্গবন্ধু মোস্তাককে দীর্ঘদিনেও চিনতে পারেন নাই কিংবা পারলেও বিশ্বাস করেছিলেন। এই বিশ্বাসের প্রতিদান হিসেবে উভয়কেই জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে। সংগঠনের কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ, নিজকে বড় মনে করা, গীবত করা, পদের সমস্যা এবং চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে নিজস্ব সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সদস্যরা নিজেদের মধ্যে অন্তঃকলহে জড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের মেজরিটি সদস্যদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেয়া যথার্থ কিন্তু সেখানে ঘটে উল্টোটা। হঠকারী সিদ্ধান্তে একটি সুসংগঠিত সংগঠনকে নিমিষেই ধ্বংস হতে দেখা যায়। একসময়ের সুসম্পর্ক পরিণত হয় বৈরিতায়। ইগো ধীরে ধীরে পরস্পর, পরস্পরকে ঘৃণা করতে বাধ্য করে অথচ এক সময় আমরা একে অপরকে চিনতামই না। সংগঠন করতে এসে এধরণের বৈরিতা কাম্য হতে পারে না। নিচের সারির নেতাদের শীর্ষ নেতৃত্বের নেতৃত্ব পছন্দ না হলে সেখান থেকে নিরবে চলে যাওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ কেননা কিছুদিন পূর্বেই ঐ নেতার প্রশংসায় আপনি ছিলেন পঞ্চমুখ । সেই মুখেই আপনি যদি সমালোচনা শুরু করেন তাহলে আপনার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না এবং এরজন্য আপনি নিজেই দ্বায়ী। এদেশে সমাজসেবামূলক সংগঠনের অভাব নেই তাই আপনি যদি সেবা করতেই চান তাহলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অযথা পূর্ববর্তী সাথীদের সাথে চুলকা-চুলকি না করে নতুন কোনো প্লাটফর্মে সমাজসেবা শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে সংগঠনে শীর্ষ নেতারা আপনাকে মূল্যায়ন করবে না, সেখানে আপনার সময় দেয়া কতটুকু যৌক্তিক তা একটু ভেবে দেখবেন কী?

লেখকঃ লায়ন সোবহান হাওলাদার
সদস্য, স্থায়ী পরিষদ, কেন্দ্রীয় ফারিয়া
যুগ্ম মহাসচিব , জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

সামাজিক কিংবা পেশাজীবী সংগঠনে সদস্য থাকা অবস্থায় চুলকা-চুলকি না করি।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৩১:২৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

সামাজিক কিংবা পেশাজীবী সংগঠনে সদস্য থাকা অবস্থায় চুলকা-চুলকি না করি।

সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ সুসংগঠিত হয়ে সমাজের কল্যাণে কিছু করতে চায় । বাহ্যিকভাবে দেখা মানুষগুলোর সবাইর উদ্দেশ্য এক নয়। দেশব্যাপী যেসব সংগঠন তাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে সদস্যদের অনেকের সম্পর্কেই অনেকে জানেন না এবং স্বল্প সময়ে জানা সম্ভবও নয়। নবাব সিরাজউদ্দৌলা মীর জাফরকে এবং বঙ্গবন্ধু মোস্তাককে দীর্ঘদিনেও চিনতে পারেন নাই কিংবা পারলেও বিশ্বাস করেছিলেন। এই বিশ্বাসের প্রতিদান হিসেবে উভয়কেই জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে। সংগঠনের কাজ করতে গিয়ে ব্যক্তি স্বার্থ, নিজকে বড় মনে করা, গীবত করা, পদের সমস্যা এবং চেইন অফ কমান্ড ভেঙ্গে নিজস্ব সিদ্ধান্ত প্রতিষ্ঠিত করতে গিয়ে সদস্যরা নিজেদের মধ্যে অন্তঃকলহে জড়িয়ে পড়ে। সংগঠনের মেজরিটি সদস্যদের মতামতকে গুরুত্ব দিয়ে গণতান্ত্রিক পদ্ধতিতে শীর্ষ নেতৃত্বের সিদ্ধান্ত নেয়া যথার্থ কিন্তু সেখানে ঘটে উল্টোটা। হঠকারী সিদ্ধান্তে একটি সুসংগঠিত সংগঠনকে নিমিষেই ধ্বংস হতে দেখা যায়। একসময়ের সুসম্পর্ক পরিণত হয় বৈরিতায়। ইগো ধীরে ধীরে পরস্পর, পরস্পরকে ঘৃণা করতে বাধ্য করে অথচ এক সময় আমরা একে অপরকে চিনতামই না। সংগঠন করতে এসে এধরণের বৈরিতা কাম্য হতে পারে না। নিচের সারির নেতাদের শীর্ষ নেতৃত্বের নেতৃত্ব পছন্দ না হলে সেখান থেকে নিরবে চলে যাওয়ায় বুদ্ধিমানের কাজ কেননা কিছুদিন পূর্বেই ঐ নেতার প্রশংসায় আপনি ছিলেন পঞ্চমুখ । সেই মুখেই আপনি যদি সমালোচনা শুরু করেন তাহলে আপনার পূর্ববর্তী সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল না এবং এরজন্য আপনি নিজেই দ্বায়ী। এদেশে সমাজসেবামূলক সংগঠনের অভাব নেই তাই আপনি যদি সেবা করতেই চান তাহলে অসুবিধা হওয়ার কথা নয়। অযথা পূর্ববর্তী সাথীদের সাথে চুলকা-চুলকি না করে নতুন কোনো প্লাটফর্মে সমাজসেবা শুরু করাই বুদ্ধিমানের কাজ। যে সংগঠনে শীর্ষ নেতারা আপনাকে মূল্যায়ন করবে না, সেখানে আপনার সময় দেয়া কতটুকু যৌক্তিক তা একটু ভেবে দেখবেন কী?

লেখকঃ লায়ন সোবহান হাওলাদার
সদস্য, স্থায়ী পরিষদ, কেন্দ্রীয় ফারিয়া
যুগ্ম মহাসচিব , জাতীয় সাংবাদিক সংস্থা।