ঢাকা ০৭:০৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৫, ২৪ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন ধ*র্ষণ মা*মলার আ*সামি ও দুর্নীতিবাজ ইডিসিএল এমডি আব্দুস সামাদ মৃধার পদত্যাগ ও গ্রে*ফতারের দাবি—প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে (জিসাস) ঢাকা মহানগর উত্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন শহীদ জিয়া অমর হোক — বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ — তারেক রহমান জিন্দাবাদ চিলড্রেন পার্টি নয়, ১০ বছরের মধ্যে সরকার গঠন করবে এনসিপি — হাসনাতের ঘোষণা শহীদ জিয়ার শাহাদাত দিবস সরকারী ছুটি ঘোষণার দাবি — জিয়া সাংস্কৃতিক সংগঠন (জিসাস) ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির অনুমোদন ৪০ বছরের নিবেদিত সেবায় গড়ে তুলেছেন হাজারো শিক্ষার্থী:ক্বারী মো:আবুল হাছান মিডওয়াইফদের সঠিক মূল্যায়ন ও স্বীকৃতির দাবিতে মানববন্ধন গণঅধিকার পরিষদ এখনো নির্বাচনী জোটে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি কিশলয় বালিকা বিদ্যালয়ে শিশুদের হয়রানি ও বুলিংবিরোধী সচেতনতামূলক ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

তিন বছরের কমিটি অনুমোদন পেল সাড়ে তিন বছর পর

স্টাফ রিপোর্টার::
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩ ৬৭১ বার পড়া হয়েছে

সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও সাধরণ সম্পাদ হোসেইন মুহাম্মদ আদির জজ মিয়া

স্টাফ রিপোর্টার:: ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে ১জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১জন করে মোট দুজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে। খুব শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় সাড়ে তিন বছর গড়িয়ে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন লাভ করেছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত ৬মে  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে ৭১ বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ১৮ মে।

 

প্রকাশিত কমিটিতে দেখা গেছে, কমিটিতে আগে থেকেই নির্বাচিত রয়েছেন সভাপতি শায়েস্তগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেইন মুহাম্মদ আদিল জজ মিয়া। কমিটিতে মোট ১০ জনকে সহসভাপতি ও ৫জনকে যুগ্ম-সম্পাদক এবং ৫জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পদে রয়েছেন আরও ১৯ জন। সদস্য পদে রয়েছেন ২৯ জন।

 

উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি: সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক হোসেইন মুহাম্মদ আদিল জজ মিয়া, জেষ্ঠ সহসভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান মাসুক, নুরুল ইসলাম সর্দার, হাজী শফিকুল ইসলাম, অসিত রঞ্জন দাস মন্টু, কবির মিয়া,  জলফু মিয়া, কাজী নুরে আলম মঞ্জু, গোলাম রব্বানী ধানু, আবুল কাশেম শিবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সর্দার, তাজুল ইসলাম রানু, জামাল আহমেদ দুলাল, ওসমান আলী মিনু, আব্দুল মালেক।

সাংগঠনিক সম্পাদক গাজিউর রহমান ইমরান, আব্দুল মুকিত, পারভেজ আহমেদ, ওলি হোসেন লেচু, ফখরুল হামীদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.আব্দুল্লাহ আল বাকের জনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক তাজুল ইসলাম আরজু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আহাদ মিয়া, দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিক আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউর রহমান বিপ্লব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরিদ হাসান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান তালুকদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মমতাজ বেগম ডলি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ, শিক্ষা ও মানব সম্পাদ বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস তালুকদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান অপু, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক জালাল উদ্দিন রুমী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আলম জামাল, সহ দপ্তার সম্পাদক আলী আহমেদ খান, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল ওয়াহিদ, কোষাদক্ষ সরওয়ার আলম শাকিল।

এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছে শেখ ‍মুজিুর রহমান, এড. হুমায়ুন কবির সৈকত, মীর গোলাম মোস্তফা, ইব্রাহিম মিয়া, আব্দুল মতিন মাস্টার, হাজী আশরাফ উদ্দিন জিতু, শফিক ভান্ডারী, আবদুল কাইয়ুম উস্তার, আকবর আলী মাস্টার, আব্দুল হাই মাস্টার, কিতাব আলী শাহীন, শাহ মোঃ জিলু, গণি মিয়া, আব্দুল আহাদ, দুলাল মিয়া, কদর আলী, আলমগীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীর মিয়া, মাসুক ভান্ডারী, সিরাজ মিয়া, ‍নুরুল ইসলাম বাদল, শাহাবুদ্দিন ফরিদ, তাহির মিয়া, আব্দুল মৌলা, আব্দুল জব্বার তালুকদার মুরাদ, লাউছ মিয়া, সাইফুর রহমান ফয়সাল, মহিবুর রহমান সেলিম, শফিক মিয়া, জিল্লুর রহমান। এছাড়া ২৫ বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়।

 

নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলেও অনেকের দাবি কমিটিতে ত্যাগিরা মূল্যায়ন হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, উপজেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা কমিটি। জেলার অনুমোদন দেওয়া কমিটি নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তারপরও কমিটি যাই হোক সাড়ে তিন বছর পর অন্তত অনুমোদন পেয়েছে। এখন নয় বছর থাকলেও সমস্যা হবে না।

 

সাড়ে তিন বছর পর কমিটির অনুমোদন কেন—জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ তালকুদার ইকবাল জানান, সম্মেলন করার পর পরই মহামারি করোনা আসে। প্রায় দুই বছর চলে যায় করোনার সময়। এসময় যাচাই বাছাই করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তাছাড়া ‘রাজনৈতিক দল চলে আস্থা এবং বিশ্বাসের ওপর। দলীয় কর্মকাণ্ড গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লেগেছে। তাই কমিটি অনুমোদন দিতে দেরি হয়েছে।

চেকপোস্ট/এসবি

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

তিন বছরের কমিটি অনুমোদন পেল সাড়ে তিন বছর পর

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৫১:০৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার:: ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সম্মেলন হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে ১জন ও সাধারণ সম্পাদক পদে ১জন করে মোট দুজনের নাম ঘোষণা করা হয়েছিল। পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের কথা ছিল তিন মাসের মধ্যে। খুব শিগগির পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণার আশ্বাসও দেওয়া হয়। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির কারণে প্রায় সাড়ে তিন বছর গড়িয়ে ৭১ সদস্যবিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি অনুমোদন লাভ করেছে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ। গত ৬মে  জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের স্বাক্ষরে ৭১ বিশিষ্ট কমিটি অনুমোদন হলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় ১৮ মে।

 

প্রকাশিত কমিটিতে দেখা গেছে, কমিটিতে আগে থেকেই নির্বাচিত রয়েছেন সভাপতি শায়েস্তগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল এবং সাধারণ সম্পাদক ব্রাহ্মণডুরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হোসেইন মুহাম্মদ আদিল জজ মিয়া। কমিটিতে মোট ১০ জনকে সহসভাপতি ও ৫জনকে যুগ্ম-সম্পাদক এবং ৫জনকে সাংগঠনিক সম্পাদক করা হয়েছে। এ ছাড়া অন্যান্য পদে রয়েছেন আরও ১৯ জন। সদস্য পদে রয়েছেন ২৯ জন।

 

উপজেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি: সভাপতি আব্দুর রশিদ তালুকদার ইকবাল ও সাধারণ সম্পাদক হোসেইন মুহাম্মদ আদিল জজ মিয়া, জেষ্ঠ সহসভাপতি আলহাজ্ব হাবিবুর রহমান চৌধুরী, আতাউর রহমান মাসুক, নুরুল ইসলাম সর্দার, হাজী শফিকুল ইসলাম, অসিত রঞ্জন দাস মন্টু, কবির মিয়া,  জলফু মিয়া, কাজী নুরে আলম মঞ্জু, গোলাম রব্বানী ধানু, আবুল কাশেম শিবলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ সর্দার, তাজুল ইসলাম রানু, জামাল আহমেদ দুলাল, ওসমান আলী মিনু, আব্দুল মালেক।

সাংগঠনিক সম্পাদক গাজিউর রহমান ইমরান, আব্দুল মুকিত, পারভেজ আহমেদ, ওলি হোসেন লেচু, ফখরুল হামীদ, আইন বিষয়ক সম্পাদক এড.আব্দুল্লাহ আল বাকের জনি, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জামাল উদ্দিন, তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক তাজুল ইসলাম আরজু, ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক আহাদ মিয়া, দপ্তর সম্পাদক সিদ্দিক আলী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক সৈয়দ জিয়াউর রহমান বিপ্লব, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ফরিদ হাসান, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক শাহজাহান তালুকদার, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক মোশারফ হোসেন মিন্টু, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মমতাজ বেগম ডলি, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মোস্তাক আহমেদ খান, যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক শামীম আহমেদ, শিক্ষা ও মানব সম্পাদ বিষয়ক সম্পাদক আব্বাস তালুকদার, শ্রম বিষয়ক সম্পাদক আতিকুর রহমান অপু, সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক জালাল উদ্দিন রুমী, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক নুরে আলম জামাল, সহ দপ্তার সম্পাদক আলী আহমেদ খান, সহ প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাকিল ওয়াহিদ, কোষাদক্ষ সরওয়ার আলম শাকিল।

এছাড়া সদস্য হিসেবে রয়েছে শেখ ‍মুজিুর রহমান, এড. হুমায়ুন কবির সৈকত, মীর গোলাম মোস্তফা, ইব্রাহিম মিয়া, আব্দুল মতিন মাস্টার, হাজী আশরাফ উদ্দিন জিতু, শফিক ভান্ডারী, আবদুল কাইয়ুম উস্তার, আকবর আলী মাস্টার, আব্দুল হাই মাস্টার, কিতাব আলী শাহীন, শাহ মোঃ জিলু, গণি মিয়া, আব্দুল আহাদ, দুলাল মিয়া, কদর আলী, আলমগীর চৌধুরী, জাহাঙ্গীর মিয়া, মাসুক ভান্ডারী, সিরাজ মিয়া, ‍নুরুল ইসলাম বাদল, শাহাবুদ্দিন ফরিদ, তাহির মিয়া, আব্দুল মৌলা, আব্দুল জব্বার তালুকদার মুরাদ, লাউছ মিয়া, সাইফুর রহমান ফয়সাল, মহিবুর রহমান সেলিম, শফিক মিয়া, জিল্লুর রহমান। এছাড়া ২৫ বিশিষ্ট উপদেষ্টা কমিটিও গঠন করা হয়।

 

নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হলেও অনেকের দাবি কমিটিতে ত্যাগিরা মূল্যায়ন হয়নি।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, উপজেলা পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেন জেলা কমিটি। জেলার অনুমোদন দেওয়া কমিটি নিয়ে মন্তব্য করা ঠিক নয়। তারপরও কমিটি যাই হোক সাড়ে তিন বছর পর অন্তত অনুমোদন পেয়েছে। এখন নয় বছর থাকলেও সমস্যা হবে না।

 

সাড়ে তিন বছর পর কমিটির অনুমোদন কেন—জানতে চাইলে আব্দুর রশিদ তালকুদার ইকবাল জানান, সম্মেলন করার পর পরই মহামারি করোনা আসে। প্রায় দুই বছর চলে যায় করোনার সময়। এসময় যাচাই বাছাই করতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তাছাড়া ‘রাজনৈতিক দল চলে আস্থা এবং বিশ্বাসের ওপর। দলীয় কর্মকাণ্ড গুছিয়ে উঠতে কিছুটা সময় লেগেছে। তাই কমিটি অনুমোদন দিতে দেরি হয়েছে।

চেকপোস্ট/এসবি