ঢাকা ০৬:৩৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অত্যাধুনিক ডিভাইস কসমেটিক মুসলমানী (খাৎনা) মাদক কারবারিতে বাধা দেওয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন বরুড়ায় জিয়া প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪৪তম সাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত উলানিয়া বন্দর আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত ম্যাচ ২০২৫। নাগরপুরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের আগুন নাগরপুরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের আগুন কালীগঞ্জের রতনপুর গুড়ুইমহলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা পেল দুই শতাধিক প্রান্তিক মানুষ মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন। এক ইলিশ সাড়ে ৯ হাজার টাকায় বিক্র চাঁদপুরে মরিয়ম ফুলের উপকারিতা

নানামুখি চাপ থেকে সরকারের উত্তরণ ঘটছে না

রিপোর্টার ফয়সাল হোসেন 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪ ৭৪ বার পড়া হয়েছে

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলকে ম্যানেজ করতে ভারতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাইরে সবকিছুই ‘ফিটফাট’। তারপরও স্বস্তি ফিরছে না, নানামুখি চাপ থেকে সরকারের উত্তরণ ঘটছে না। কোথায় যেন ভীতি-আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা আর দুর্ভাবনা।

অন্যদিকে নির্বাচনের পর বিএনপি আরো যেন শক্তিশালী হয়ে গেছে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ ‘নির্বাচন বর্জন’ করবে তা অনেক নেতার ধারণায় ছিল না। ফলে নির্বাচনের পর দলটি রাজপথের আন্দোলনে এখনো না নামলেও নতুন পরিকল্পনা করছে।দুই মাস হয়ে গেছে নির্বাচনের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভ‚মিধস বিজয়ের পর সরকার গঠন এবং সংসদের ১১ সদস্যের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সরকারের ‘নাচের পুতুল’ হয়ে রয়েছে। রাজপথে দৃশ্যমান কোনো আন্দোলন নেই। নেই কোনো মিটিং-মিছিল। পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্রই প্রমোশন এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়ে আমলা, সরকারি চাকুরেদের খুশি রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলকে ম্যানেজ করতে ভারতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাইরে সবকিছুই ‘ফিটফাট’। তারপরও স্বস্তি ফিরছে না, নানামুখি চাপ থেকে সরকারের উত্তরণ ঘটছে না। কোথায় যেন ভীতি-আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা আর দুর্ভাবনা। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে দাবি করা হয়েছে দেশে ৭ জানুয়ারির মতো নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন স্বাধীনতার ৫২ বছরে আর একটিও হয়নি। ভূমিধস বিজয় এবং সংসদ নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও সরকারের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে না কেন? টানা চারবার নির্বাচিত সরকার ছায়া দেখলে ‘ভূত’ ভেবে ভয় করছে? অন্যদিকে নির্বাচনের পর বিএনপি আরো যেন শক্তিশালী হয়ে গেছে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ ‘নির্বাচন বর্জন’ করবে তা অনেক নেতার ধারণা ছিল না। ফলে নির্বাচনের পর দলটি রাজপথের আন্দোলনে এখনো না নামলেও নতুন পরিকল্পনা করছে। ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করেছে। অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোকে নতুনভাবে সাজাচ্ছে। দলের নেতারাও নতুনভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা ‘নির্বাচন বর্জন’ জনসমর্থনকে কাজে লাগাবেন। মানুষকে নতুন করে সংগঠিত করে সরকারকে একঘরে করে ফেলবেন।জানতে চাইলে বিএনপির অবস্থান ও সামনের পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজ হোক, কাল হোক তাদের (আওয়ামী লীগ) নতি স্বীকার করে বিদায় নিতে হবে। তারা যদি মনে করে, বুলেটের জোরে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে তারা জনগণের টুঁটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা দুঃস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বিদায় করা হবে।সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিতরা কখনোই জনগণের স্বার্থে কাজ করবে না। তাদের জবাবদিহিতা থাকে না। স্বচ্ছতা থাকে না। তাই মেহনতি মানুষকে নিজেদের দাবির সঙ্গে সঙ্গে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে শরিক হতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তারা সব সময় ভয়ের মধ্যে রয়েছে। কখন কি হয় এই ভীতি তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, সরকারের মধ্যে ভীতি-আতঙ্কের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। নির্বাচনে সিইসি ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে দাবি করলেও বাস্তবে ভোট পড়েছে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের বড় অংশ ভোট দিতে যায়নি। মুখে সরকার যতই বাগড়ম্বর করুক এই সত্যটা তো তারা জানে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের ৯০ ভাগ ভোটার ভোট বর্জন করবে সেটা কল্পনাও করেনি আওয়ামী লীগ। তাছাড়া মিয়ানমার ইস্যুতে ত্রিমুখী সংকট, অর্থনৈতিক চরম দুরবস্থা, পাইপ লাইনে থাকা বিদেশি ঋণ সবকিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে।ভূমিধস বিজয়ের পর দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস না যেতেই সরকার নানামুখি চাপে পড়েছে। ব্রিজ, কালভার্ট, ফ্লাইওএকািইওভার, মেট্রোরেল, নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের মতো চোখ ধাঁধানো দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখা গেলেও ভেতরে চলছে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট। চিনিকল, পাটকল, কাগজকলগুলো বন্ধ করে লাখ লাখ কর্মজীবীকে অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। দুই বছরেও ডলার সংকটের সুরাহা করতে পারেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ কমে যাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা, গ্যাসের সংকট, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি নানামুখী সংকট সরকারকে গ্রাস করেছে। সামনে রমজান উপলক্ষে চারটি পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই বাজারের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ‘সর্ষের ভেতরে ভূত’ প্রবাদের মতোই যারা সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছেন তারাই সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আর মিলকারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়ায় একদিকে বেকারত্ব বাড়িয়েছে অন্যদিকে বেশ কিছু পণ্যের বিদেশ (ভারত) নির্ভর করে তুলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ১১ জানুয়ারি যে সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকার শুরু থেকেই কয়েক ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছে। এই চাপগুলো মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সংকটগুলোর দ্রæত সমাধান করা না গেলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে। কারণ সরকারের নীতিনির্ধারকরা মুখে যাই বলুক তারা জানে কত মানুষ নির্বাচনে ভোট দিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

নানামুখি চাপ থেকে সরকারের উত্তরণ ঘটছে না

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:০৫:১৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৮ মার্চ ২০২৪

যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলকে ম্যানেজ করতে ভারতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাইরে সবকিছুই ‘ফিটফাট’। তারপরও স্বস্তি ফিরছে না, নানামুখি চাপ থেকে সরকারের উত্তরণ ঘটছে না। কোথায় যেন ভীতি-আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা আর দুর্ভাবনা।

অন্যদিকে নির্বাচনের পর বিএনপি আরো যেন শক্তিশালী হয়ে গেছে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ ‘নির্বাচন বর্জন’ করবে তা অনেক নেতার ধারণায় ছিল না। ফলে নির্বাচনের পর দলটি রাজপথের আন্দোলনে এখনো না নামলেও নতুন পরিকল্পনা করছে।দুই মাস হয়ে গেছে নির্বাচনের। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভ‚মিধস বিজয়ের পর সরকার গঠন এবং সংসদের ১১ সদস্যের বিরোধী দল জাতীয় পার্টি সরকারের ‘নাচের পুতুল’ হয়ে রয়েছে। রাজপথে দৃশ্যমান কোনো আন্দোলন নেই। নেই কোনো মিটিং-মিছিল। পুলিশ প্রশাসন, জেলা প্রশাসক, পুলিশ প্রশাসন থেকে শুরু করে সর্বত্রই প্রমোশন এবং সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়ে দিয়ে আমলা, সরকারি চাকুরেদের খুশি রাখা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ আন্তর্জাতিক মহলকে ম্যানেজ করতে ভারতকে ব্যবহার করা হচ্ছে। বাইরে সবকিছুই ‘ফিটফাট’। তারপরও স্বস্তি ফিরছে না, নানামুখি চাপ থেকে সরকারের উত্তরণ ঘটছে না। কোথায় যেন ভীতি-আতঙ্ক-অনিশ্চয়তা আর দুর্ভাবনা। সরকারের শীর্ষ মহল থেকে দাবি করা হয়েছে দেশে ৭ জানুয়ারির মতো নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন স্বাধীনতার ৫২ বছরে আর একটিও হয়নি। ভূমিধস বিজয় এবং সংসদ নিয়ন্ত্রণে থাকার পরও সরকারের মধ্যে স্বস্তি ফিরছে না কেন? টানা চারবার নির্বাচিত সরকার ছায়া দেখলে ‘ভূত’ ভেবে ভয় করছে? অন্যদিকে নির্বাচনের পর বিএনপি আরো যেন শক্তিশালী হয়ে গেছে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে এত বিপুল সংখ্যক মানুষ ‘নির্বাচন বর্জন’ করবে তা অনেক নেতার ধারণা ছিল না। ফলে নির্বাচনের পর দলটি রাজপথের আন্দোলনে এখনো না নামলেও নতুন পরিকল্পনা করছে। ছাত্রদলের নতুন কমিটি গঠন করেছে। অন্যান্য সহযোগী সংগঠনগুলোকে নতুনভাবে সাজাচ্ছে। দলের নেতারাও নতুনভাবে মাঠে নামার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিএনপির কয়েকজন নেতার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে তারা ‘নির্বাচন বর্জন’ জনসমর্থনকে কাজে লাগাবেন। মানুষকে নতুন করে সংগঠিত করে সরকারকে একঘরে করে ফেলবেন।জানতে চাইলে বিএনপির অবস্থান ও সামনের পরিকল্পনা নিয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, আজ হোক, কাল হোক তাদের (আওয়ামী লীগ) নতি স্বীকার করে বিদায় নিতে হবে। তারা যদি মনে করে, বুলেটের জোরে, প্রশাসনের জোরে, বিচার বিভাগের জোরে, পুলিশ বাহিনীর জোরে বা অন্যান্য রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের জোরে তারা জনগণের টুঁটি চেপে ধরে দেশের ক্ষমতায় চিরকালের জন্য আসীন হয়ে থাকবে, তাহলে তারা দুঃস্বপ্ন দেখছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাদের বিদায় করা হবে।সিপিবির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক ও বাম গণতান্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, বিনা ভোটে নির্বাচিতরা কখনোই জনগণের স্বার্থে কাজ করবে না। তাদের জবাবদিহিতা থাকে না। স্বচ্ছতা থাকে না। তাই মেহনতি মানুষকে নিজেদের দাবির সঙ্গে সঙ্গে ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রের লড়াইয়ে শরিক হতে হবে। জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় তারা সব সময় ভয়ের মধ্যে রয়েছে। কখন কি হয় এই ভীতি তাদের কুরে কুরে খাচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের সাবেক চেয়ারম্যান রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক ড. নুরুল আমিন ব্যাপারী বলেন, সরকারের মধ্যে ভীতি-আতঙ্কের যথেষ্ট কারণ রয়েছে। নির্বাচনে সিইসি ৪০ শতাংশ ভোট পড়েছে দাবি করলেও বাস্তবে ভোট পড়েছে ১০ থেকে ১২ শতাংশ। আওয়ামী লীগের বড় অংশ ভোট দিতে যায়নি। মুখে সরকার যতই বাগড়ম্বর করুক এই সত্যটা তো তারা জানে। বিএনপির ডাকে সাড়া দিয়ে দেশের ৯০ ভাগ ভোটার ভোট বর্জন করবে সেটা কল্পনাও করেনি আওয়ামী লীগ। তাছাড়া মিয়ানমার ইস্যুতে ত্রিমুখী সংকট, অর্থনৈতিক চরম দুরবস্থা, পাইপ লাইনে থাকা বিদেশি ঋণ সবকিছু এলোমেলো হয়ে রয়েছে।ভূমিধস বিজয়ের পর দায়িত্ব গ্রহণের দুই মাস না যেতেই সরকার নানামুখি চাপে পড়েছে। ব্রিজ, কালভার্ট, ফ্লাইওএকািইওভার, মেট্রোরেল, নদীর তলদেশে টানেল নির্মাণের মতো চোখ ধাঁধানো দৃশ্যমান উন্নয়ন দেখা গেলেও ভেতরে চলছে তীব্র অর্থনৈতিক সংকট। চিনিকল, পাটকল, কাগজকলগুলো বন্ধ করে লাখ লাখ কর্মজীবীকে অনিশ্চয়তায় ফেলেছে। দুই বছরেও ডলার সংকটের সুরাহা করতে পারেনি। কেন্দ্রীয় ব্যাংকে রিজার্ভ কমে যাওয়া, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, বাজার সিন্ডিকেট ভাঙতে না পারা, গ্যাসের সংকট, বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি ইত্যাদি নানামুখী সংকট সরকারকে গ্রাস করেছে। সামনে রমজান উপলক্ষে চারটি পণ্যের ওপর শুল্ক প্রত্যাহার করা হয়েছে। কিন্তু কিছুতেই বাজারের লাগাম টেনে ধরা যাচ্ছে না। ‘সর্ষের ভেতরে ভূত’ প্রবাদের মতোই যারা সরকারকে বাজার নিয়ন্ত্রণের পরামর্শ দিচ্ছেন তারাই সিন্ডিকেট করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে দিচ্ছেন। আর মিলকারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়ায় একদিকে বেকারত্ব বাড়িয়েছে অন্যদিকে বেশ কিছু পণ্যের বিদেশ (ভারত) নির্ভর করে তুলেছে। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে ১১ জানুয়ারি যে সরকার গঠিত হয়েছে সেই সরকার শুরু থেকেই কয়েক ধরনের চাপের মধ্যে রয়েছে। এই চাপগুলো মোকাবিলা করা কঠিন হয়ে পড়েছে। এই সংকটগুলোর দ্রæত সমাধান করা না গেলে জনগণের মধ্যে অসন্তোষ বাড়তে পারে। কারণ সরকারের নীতিনির্ধারকরা মুখে যাই বলুক তারা জানে কত মানুষ নির্বাচনে ভোট দিয়েছে।