ঢাকা ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
শেরপুর সদর-১ আসনে ড. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কাকে বাসফোর পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা “মাত্র ১০ সেকেন্ডের ভূ/মি/কম্পেই মানুষের অসহায়ত্ব প্রমাণ—জমিনের মালিক একমাত্র আল্লাহ” ভূ/মি/কম্প: মানুষের জন্য এক সতর্কবার্তা ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী ঢাকা কেরানীগঞ্জ আশেপাশের এলাকা সহ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সারা দেশ ঢাকা–কেরানীগঞ্জসহ সর্বত্র আতঙ্ক “নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ বাকেরগঞ্জ, বরিশাল-৬ আসন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধানের শীষের মনোনয়ন প্রার্থী : জনাব আবুল হোসেন খান দীর্ঘ ৪০ বছরের যে উন্নয়ন হয়নি মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা, বরিশাল- ৪ আসনে আমি মনে করি আমার হাত দিয়ে সেই উন্নয়ন গুলি হবে যদি আমি জাতীয় সংসদে যেতে পারি : রাজিব আহসান ঢাকা–৭ আসনে জেএসডি মনোনীত প্রার্থী কবি সাহানা সুলতানার প্রচারণা গতিশীল—দোয়া ও সমর্থন কামনা

“দু*র্নী*তি এর দাবানলে wiiles little flower school&collage”

ফয়সাল হোসেন
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫ ১৯৯ বার পড়া হয়েছে

০৯ এপ্রিল,২০২৫ ইং তারিখে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবস্থান সুস্পষ্ট’ভাবে স্পষ্টকরন এবং স্পষ্ট বিবৃতি :গত ২৪ ফেব্রুয়ারি,২০২৫ ইং কলেজ প্রভাতি শাখার শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিমূলক আচরন প্রদর্শনের অভিযোগে ছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আবেদন জমা দিতে চাইলে বাধার শিকার হয় বিধায় আন্দোলন করে৷ পরবর্তীতে চলমান গভর্নিং বডি থেকে আশ্বাস দেয়া হয় সাময়িক বরখাস্ত করে অতিদ্রুত তদন্ত কমিটি প্রদান করা হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বারংবার আশ্বাসের পরও ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন তদন্ত কমিটি গঠন না করে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ২৭ শে রমজান, প্রিন্সিপাল স্যারকে ইতেকাফ থেকে তুলে এনে দুইজন শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয় এবং ইব্রাহিম খলিলকে পুন:বহাল করার জন্য কতিপয় শিক্ষক ছাত্রীদের দমানোর চেষ্টা চালায় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্রি হওয়ার মত নিন্দনীয় অভিযোগ তুলে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের ইব্রাহিম খলিল স্যারের দলভুক্ত কিছু শিক্ষক হুমকিমূলক আচরন প্রদর্শন চালায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সকলের দাবী আর্মি প্রিন্সিপাল,শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ এবং তদন্ত কমিটি গঠন না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার প্রতিবাদ স্বরুপ ঈদের পর বিদ্যাপীঠ খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা সকাল-০৮:৩০ ঘটিকা থেকে আন্দোলনের জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান করে। শান্তিপূর্ণভাবে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মহোদয় এবং গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা খাতুন মিসকে তাদের দাবী জানায় এবং প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অভিভাবক প্রতিনিধি স্যারের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবী মানার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু, সময় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, অবৈধ বহিষ্কারাদেশ এর প্রতিবাদে শিক্ষকরাও তাদের দাবী নিয়ে সকাল-১০:০০ ঘটিকায় মাঠে নেমে যায়। সেটি সম্পূর্ণ শিক্ষকদের বিষয়। প্রখর রোদে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ধৈর্যহীন না হয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে গভর্নিং বডির উপস্থিতি কামনা করলেও কেউ উপস্থিত হয় না। পরবর্তীতে সকাল ১১:০০ ঘটিকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সময় বেধে দেয়। কিন্তু, সময় গড়াতে থাকে, অন্যদিকে কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সরাসরি হুমকি দেয়া শুরু করে এবং বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে আন্দোলন থেকে সরানোর চেষ্টা করে।গভর্নিং বডির সভাপতি,অভিভাবক প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ এবং বার বার সময় বাড়ানোর পরও উপস্থিত না হয়ে একটি তদন্ত কমিটি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু,শিক্ষার্থীরা তাদের উপস্থিতি ছাড়া কোন কমিটি গ্রহন করবে না বলে দেয়। কারন, অধ্যক্ষ স্যার এবং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি প্রেস মিডিয়ার সামনে সরাসরি গভর্নিং বডির বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা এক দফা হিসেবে বিতর্কিত ও নিরপেক্ষতা হারানো গভর্নিং বডির পতন চায়। গভর্নিং বডি উপস্থিত না হয়ে শিক্ষার্থীদের কষ্ট দিয়ে তাদের দায়িত্বহীনতা ও নিরপেক্ষহীনতা স্পষ্ট করে। উল্লেখ্য,গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি সরাসরি রাজনৈতিক পদধারী ব্যক্তি। তাই রাজনৈতিক কমিটির বিলুপ্তির জন্য শিক্ষার্থীরা দাবী জানায়, শিক্ষকরাও তাতে একাত্মতা জানায়, কারন গভর্নিং বডি তাদের দাবীর বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়নি। পরবর্তীতে বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় অভিমুখে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করে। বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে তাদের দাবী কমিটি বিলুপ্তি ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার এবং আর্মি প্রিন্সিপাল এর কথা জানায়। এরপর স্কুলে ফিরে এসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সবকথা খুলে জানালে শিক্ষার্থীরা বিকাল-০৪:০০ ঘটিকায় আন্দোলন প্রত্যাহার করে। কারন বিষয়টি মন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে, শিক্ষকরা তাদের দাবীতে অনড় থেকে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকে, শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে স্পষ্ট ভাবে বলে দেয়, শিক্ষকদের দাবীর সাথে তাদের কোন সংযুক্ততা নেই, বরং সংযুক্ততা একটি দাবীতে সেটি হলো গভর্নিং বডির বিলুপ্তি। সেই দাবী ছাড়া বহিষ্কারাদেশ তোলার দাবীতে শিক্ষার্থীদের কোন মতামত নেই কারন এটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়। কিন্তু, একদল স্বার্থান্বেষী এবং সুবিধাবাদী শিক্ষকমহল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বার বার এক বলে প্রচার করে সবাইকে বিভ্রান্ত করে। সেই সাথে হুমকি তো চলমান ছিলোই।শিক্ষার্থীরা বিকাল ০৫ টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়লেও শিক্ষকরা ০৭:৩০ পর্যন্ত অবস্থান করে৷ সেটি সম্পূর্ণ শিক্ষকদের বিষয়।এবার কতিপয় প্রশ্নের উত্তরে আসা যাক।(১) শিক্ষার্থীরা বহিষ্কৃত দুই শিক্ষকের প্ররোচনায় তাদের বহিষ্কার তোলার জন্য আন্দোলন করেছে।- এটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্য,যা উপরে ব্যাখা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদের নিরাপত্তা,শিক্ষাবান্ধব,রাজনীতিমুক্ত উইলসের দাবীতে আন্দোলনে নামে।কোনভাবেই তারা শিক্ষকদের দাবীর সাথে যুক্ত হয়ে আন্দোলনে নামেনি।আর্মি প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাবান্ধব,রাজনীতিমুক্ত উইলস দাবীতে শিক্ষার্থীরা ৫ আগস্টের পর থেকেই তাদের আন্দোলন দফায় দফায় চালিয়ে যায়। সেখানে কোন শিক্ষক সংযুক্ত ছিলো না। কিন্তু বার বার একদল শিক্ষক স্বার্থ হাসিলের জন্য এবং রাজনৈতিক কমিটিকে বাঁচানোর জন্য অপপ্রচার চালিয়েছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রেস মিডিয়ায় এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার, ভুল তথ্য। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।(২) শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করায় ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বিভ্রান্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল অবস্থা সূত্রপাত হয়।- এই বিষয় সত্য। তবে এ জন্য গভর্নিং বডি দায়ী,কারন তারা দাবী না মেনে,৩ বার সময় বর্ধিত করে অনুরোধ করার পরও শিক্ষার্থীদের কষ্টকে বুঝতে চেষ্টা না করে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা বাড়িয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আশ্বাস পাওয়া মাত্র অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছে। তাই কোনভাবেই দায় শিক্ষার্থীদের উপর বর্তায় না।কারন যদি সকালেই তারা সব দাবী পূরণ করে দিতো তবে মাঠ থেকে সবাই ক্লাসে ফিরে যেতো। শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদের নিরাপত্তা,রাজনীতিমুক্ত,শিক্ষাবান্ধব উইলসের দাবীতে অনড় ছিলো। ছোট শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের খুজে পেতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই মাইক দিয়ে ঘোষনা দেয় নাম ধরে। উইলসকে রাজনীমুক্ত করার জন্য,ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের জন্য সাময়িক এই একটি দিন অনেক সাধারন ছোট শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। সেজন্য আমরা লজ্জিত, তবে উইলস এর হারানো ঐতিহ্য ও জৌলুস ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা। তাই আমাদের প্রতি কোন ক্ষোভ বা অভিমান না রাখার বিনীত অনুরোধ এবং ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। ভবিষ্যৎে কখনোই কারো ভোগান্তি করে আমরা কিছু করব না এ মর্মেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।সুতরাং, শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভাগীয় কমিশনারের আশ্বাস পাওয়ায় তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে এবং শিক্ষকরা আশ্বাস না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যায়। তাই,কোনভাবেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্দোলন সম্মিলিত ছিলো না। বরং একটি দাবী * গভর্নিং বডি বিলুপ্তি* সেটির সাথে একাত্মতা ছিলো। কিন্তু, বারংবার শিক্ষার্থীদের হুমকি এবং প্ররোচিত হওয়ার অপবাদ দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলন এক বলে সবার মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।সর্বোপরি, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে একটি দিন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, শিক্ষার্থীরা অঘোষিতভাবে এভাবে মাঠে নেমে এসেছে। সেজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী,অনেক সাধারন ছোট শিক্ষার্থীদের এতে ভোগান্তি হয়েছে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কোন অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। বরং সেনা অধ্যক্ষ, রাজনৈতিক ব্যক্তি মুক্ত কমিটি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে পূর্ণ বহিষ্কারের দাবীতেই থাকবে – সে মর্মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে অঙ্গীকার করেছে।* কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের প্ররোচিত বা বিক্রিত হওয়ার অভিযোগ দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সবার জ্ঞাতার্থে সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হলো।

ধন্যবাদ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

“দু*র্নী*তি এর দাবানলে wiiles little flower school&collage”

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৯:৩৭:৫১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫

০৯ এপ্রিল,২০২৫ ইং তারিখে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে অবস্থান সুস্পষ্ট’ভাবে স্পষ্টকরন এবং স্পষ্ট বিবৃতি :গত ২৪ ফেব্রুয়ারি,২০২৫ ইং কলেজ প্রভাতি শাখার শিক্ষার্থীদের যৌন হয়রানিমূলক আচরন প্রদর্শনের অভিযোগে ছাত্রীরা অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে আবেদন জমা দিতে চাইলে বাধার শিকার হয় বিধায় আন্দোলন করে৷ পরবর্তীতে চলমান গভর্নিং বডি থেকে আশ্বাস দেয়া হয় সাময়িক বরখাস্ত করে অতিদ্রুত তদন্ত কমিটি প্রদান করা হবে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় বারংবার আশ্বাসের পরও ছাত্রীদের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোন তদন্ত কমিটি গঠন না করে বিষয়টিকে ধামাচাপা দেয়ার জন্য ২৭ শে রমজান, প্রিন্সিপাল স্যারকে ইতেকাফ থেকে তুলে এনে দুইজন শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করা হয় এবং ইব্রাহিম খলিলকে পুন:বহাল করার জন্য কতিপয় শিক্ষক ছাত্রীদের দমানোর চেষ্টা চালায় এবং ছাত্র-ছাত্রীদের বিরুদ্ধে বিক্রি হওয়ার মত নিন্দনীয় অভিযোগ তুলে। সেই সাথে শিক্ষার্থীদের ইব্রাহিম খলিল স্যারের দলভুক্ত কিছু শিক্ষক হুমকিমূলক আচরন প্রদর্শন চালায়। তার পরিপ্রেক্ষিতে এবং সকলের দাবী আর্মি প্রিন্সিপাল,শিক্ষাবান্ধব পরিবেশ এবং তদন্ত কমিটি গঠন না করে বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার প্রতিবাদ স্বরুপ ঈদের পর বিদ্যাপীঠ খোলার প্রথম দিন শিক্ষার্থীরা সকাল-০৮:৩০ ঘটিকা থেকে আন্দোলনের জন্য ক্যাম্পাসে অবস্থান করে। শান্তিপূর্ণভাবে অধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) মহোদয় এবং গভর্নিং বডির শিক্ষক প্রতিনিধি মাকসুদা খাতুন মিসকে তাদের দাবী জানায় এবং প্রতিষ্ঠানের সভাপতি ও অভিভাবক প্রতিনিধি স্যারের উপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের দাবী মানার অনুরোধ জানানো হয়। কিন্তু, সময় বাড়তে থাকে। অন্যদিকে, অবৈধ বহিষ্কারাদেশ এর প্রতিবাদে শিক্ষকরাও তাদের দাবী নিয়ে সকাল-১০:০০ ঘটিকায় মাঠে নেমে যায়। সেটি সম্পূর্ণ শিক্ষকদের বিষয়। প্রখর রোদে অবস্থানরত শিক্ষার্থীরা ধৈর্যহীন না হয়ে শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে গভর্নিং বডির উপস্থিতি কামনা করলেও কেউ উপস্থিত হয় না। পরবর্তীতে সকাল ১১:০০ ঘটিকা পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা সময় বেধে দেয়। কিন্তু, সময় গড়াতে থাকে, অন্যদিকে কিছু শিক্ষক শিক্ষার্থীদের সরাসরি হুমকি দেয়া শুরু করে এবং বিভিন্ন অপবাদ দিয়ে আন্দোলন থেকে সরানোর চেষ্টা করে।গভর্নিং বডির সভাপতি,অভিভাবক প্রতিনিধি শিক্ষার্থীদের অনুরোধ এবং বার বার সময় বাড়ানোর পরও উপস্থিত না হয়ে একটি তদন্ত কমিটি পাঠিয়ে দেন। কিন্তু,শিক্ষার্থীরা তাদের উপস্থিতি ছাড়া কোন কমিটি গ্রহন করবে না বলে দেয়। কারন, অধ্যক্ষ স্যার এবং কমিটির শিক্ষক প্রতিনিধি প্রেস মিডিয়ার সামনে সরাসরি গভর্নিং বডির বিষয়ে অভিযোগ তুলে ধরেন। পরবর্তীতে এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে শিক্ষার্থীরা এক দফা হিসেবে বিতর্কিত ও নিরপেক্ষতা হারানো গভর্নিং বডির পতন চায়। গভর্নিং বডি উপস্থিত না হয়ে শিক্ষার্থীদের কষ্ট দিয়ে তাদের দায়িত্বহীনতা ও নিরপেক্ষহীনতা স্পষ্ট করে। উল্লেখ্য,গভর্নিং বডির অভিভাবক প্রতিনিধি সরাসরি রাজনৈতিক পদধারী ব্যক্তি। তাই রাজনৈতিক কমিটির বিলুপ্তির জন্য শিক্ষার্থীরা দাবী জানায়, শিক্ষকরাও তাতে একাত্মতা জানায়, কারন গভর্নিং বডি তাদের দাবীর বিষয়েও পদক্ষেপ নেয়নি। পরবর্তীতে বেলা ১২:৩০ ঘটিকায় বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় অভিমুখে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রা করে। বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে তাদের দাবী কমিটি বিলুপ্তি ও অভিযুক্ত শিক্ষকের বিচার এবং আর্মি প্রিন্সিপাল এর কথা জানায়। এরপর স্কুলে ফিরে এসে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সবকথা খুলে জানালে শিক্ষার্থীরা বিকাল-০৪:০০ ঘটিকায় আন্দোলন প্রত্যাহার করে। কারন বিষয়টি মন্ত্রনালয়ে প্রক্রিয়াধীন। অন্যদিকে, শিক্ষকরা তাদের দাবীতে অনড় থেকে তাদের কার্যক্রম চালাতে থাকে, শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সামনে স্পষ্ট ভাবে বলে দেয়, শিক্ষকদের দাবীর সাথে তাদের কোন সংযুক্ততা নেই, বরং সংযুক্ততা একটি দাবীতে সেটি হলো গভর্নিং বডির বিলুপ্তি। সেই দাবী ছাড়া বহিষ্কারাদেশ তোলার দাবীতে শিক্ষার্থীদের কোন মতামত নেই কারন এটি প্রতিষ্ঠানের বিষয়। কিন্তু, একদল স্বার্থান্বেষী এবং সুবিধাবাদী শিক্ষকমহল শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে বার বার এক বলে প্রচার করে সবাইকে বিভ্রান্ত করে। সেই সাথে হুমকি তো চলমান ছিলোই।শিক্ষার্থীরা বিকাল ০৫ টার মধ্যে ক্যাম্পাস ছাড়লেও শিক্ষকরা ০৭:৩০ পর্যন্ত অবস্থান করে৷ সেটি সম্পূর্ণ শিক্ষকদের বিষয়।এবার কতিপয় প্রশ্নের উত্তরে আসা যাক।(১) শিক্ষার্থীরা বহিষ্কৃত দুই শিক্ষকের প্ররোচনায় তাদের বহিষ্কার তোলার জন্য আন্দোলন করেছে।- এটি সম্পূর্ণ বিভ্রান্তিকর তথ্য,যা উপরে ব্যাখা করা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদের নিরাপত্তা,শিক্ষাবান্ধব,রাজনীতিমুক্ত উইলসের দাবীতে আন্দোলনে নামে।কোনভাবেই তারা শিক্ষকদের দাবীর সাথে যুক্ত হয়ে আন্দোলনে নামেনি।আর্মি প্রিন্সিপাল ও শিক্ষাবান্ধব,রাজনীতিমুক্ত উইলস দাবীতে শিক্ষার্থীরা ৫ আগস্টের পর থেকেই তাদের আন্দোলন দফায় দফায় চালিয়ে যায়। সেখানে কোন শিক্ষক সংযুক্ত ছিলো না। কিন্তু বার বার একদল শিক্ষক স্বার্থ হাসিলের জন্য এবং রাজনৈতিক কমিটিকে বাঁচানোর জন্য অপপ্রচার চালিয়েছে এবং চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন প্রেস মিডিয়ায় এ বিষয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে যা সম্পূর্ণ মিথ্যাচার, ভুল তথ্য। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।(২) শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কার্যক্রম বর্জন করায় ছোট বাচ্চাদের মধ্যে বিভ্রান্তিকর অবস্থা সৃষ্টি হয় এবং প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খল অবস্থা সূত্রপাত হয়।- এই বিষয় সত্য। তবে এ জন্য গভর্নিং বডি দায়ী,কারন তারা দাবী না মেনে,৩ বার সময় বর্ধিত করে অনুরোধ করার পরও শিক্ষার্থীদের কষ্টকে বুঝতে চেষ্টা না করে প্রতিষ্ঠানে বিশৃঙ্খলা বাড়িয়েছেন। শিক্ষার্থীরা আশ্বাস পাওয়া মাত্র অবস্থান কর্মসূচি শেষ করেছে। তাই কোনভাবেই দায় শিক্ষার্থীদের উপর বর্তায় না।কারন যদি সকালেই তারা সব দাবী পূরণ করে দিতো তবে মাঠ থেকে সবাই ক্লাসে ফিরে যেতো। শিক্ষার্থীরা ছাত্রীদের নিরাপত্তা,রাজনীতিমুক্ত,শিক্ষাবান্ধব উইলসের দাবীতে অনড় ছিলো। ছোট শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের খুজে পেতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরাই মাইক দিয়ে ঘোষনা দেয় নাম ধরে। উইলসকে রাজনীমুক্ত করার জন্য,ছাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য, শিক্ষাবান্ধব পরিবেশের জন্য সাময়িক এই একটি দিন অনেক সাধারন ছোট শিক্ষার্থীদের ভোগান্তির মুখে পড়তে হয়েছে। সেজন্য আমরা লজ্জিত, তবে উইলস এর হারানো ঐতিহ্য ও জৌলুস ফিরিয়ে আনতে আমাদের প্রচেষ্টা। তাই আমাদের প্রতি কোন ক্ষোভ বা অভিমান না রাখার বিনীত অনুরোধ এবং ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে বিষয়টি দেখার অনুরোধ জানাচ্ছি। ভবিষ্যৎে কখনোই কারো ভোগান্তি করে আমরা কিছু করব না এ মর্মেও প্রতিজ্ঞাবদ্ধ আমরা।সুতরাং, শিক্ষার্থীরা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও বিভাগীয় কমিশনারের আশ্বাস পাওয়ায় তাদের আন্দোলন প্রত্যাহার করে এবং শিক্ষকরা আশ্বাস না পাওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যায়। তাই,কোনভাবেই শিক্ষক-শিক্ষার্থীর আন্দোলন সম্মিলিত ছিলো না। বরং একটি দাবী * গভর্নিং বডি বিলুপ্তি* সেটির সাথে একাত্মতা ছিলো। কিন্তু, বারংবার শিক্ষার্থীদের হুমকি এবং প্ররোচিত হওয়ার অপবাদ দিয়ে শিক্ষক-শিক্ষার্থী আন্দোলন এক বলে সবার মাঝে বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে।সর্বোপরি, প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে একটি দিন এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে, শিক্ষার্থীরা অঘোষিতভাবে এভাবে মাঠে নেমে এসেছে। সেজন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী,অনেক সাধারন ছোট শিক্ষার্থীদের এতে ভোগান্তি হয়েছে। এরপর থেকে শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের কোন অভ্যন্তরীন বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। বরং সেনা অধ্যক্ষ, রাজনৈতিক ব্যক্তি মুক্ত কমিটি এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে পূর্ণ বহিষ্কারের দাবীতেই থাকবে – সে মর্মে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং বিভাগীয় কমিশনার স্যারকে অঙ্গীকার করেছে।* কোনভাবেই শিক্ষার্থীদের প্ররোচিত বা বিক্রিত হওয়ার অভিযোগ দিয়ে পরিস্থিতি ঘোলাটে না করার অনুরোধ জানানো হচ্ছে। সবার জ্ঞাতার্থে সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হলো।

ধন্যবাদ।