ধ*র্ষণ মা*মলার আ*সামি ও দুর্নীতিবাজ ইডিসিএল এমডি আব্দুস সামাদ মৃধার পদত্যাগ ও গ্রে*ফতারের দাবি—প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত

- নিউজ প্রকাশের সময় : ১১:৩৮:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ নভেম্বর ২০২৫ ৪৩ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্টার: রফিকুল ইসলাম
ধর্ষণ মামলার আসামি ও দুর্নীতিবাজ হিসেবে অভিযুক্ত এসেনসিয়াল ড্রাগস্ কোম্পানী লিমিটেড (ইডিসিএল) এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুস সামাদ মৃধার পদত্যাগ ও গ্রেফতারের দাবিতে আজ সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা অভিযোগ করেন, আব্দুস সামাদ মৃধা তার দায়িত্বকালীন সময়ে ব্যাপক দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি ও অনিয়মের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছেন। তিনি বিভিন্ন অজুহাতে বিনা অপরাধে বহু শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাকে চাকুরীচ্যুত করেছেন, যা অন্যায় ও অবৈধ।
বক্তারা বলেন, “একজন ধর্ষণ মামলার আসামি এবং দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত ব্যক্তি কোনোভাবেই রাষ্ট্রীয় ওষুধ উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ পদে থাকতে পারেন না। এটা দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করছে এবং প্রশাসনিক নৈতিকতার পরিপন্থী।”
তারা প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার অবিলম্বে হস্তক্ষেপ কামনা করেন এবং বিনা অপরাধে চাকুরীচ্যুত সকল শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের অবিলম্বে পুনর্বহালের দাবি জানান।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন ইডিসিএল’র চাকুরীচ্যুত কর্মকর্তা, কর্মচারী ও শ্রমিকবৃন্দ, বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজের সদস্য এবং মানবাধিকার কর্মীরা।
বক্তারা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, দাবি মানা না হলে তারা বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবেন।
তাদের দাবি—
১. ধর্ষণ মামলার আসামি আব্দুস সামাদ মৃধার অবিলম্বে পদত্যাগ ও গ্রেফতার।
২. বিনা অপরাধে চাকুরীচ্যুত শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তাদের পূর্ণ পুনর্বহাল।
৩. ইডিসিএল-এ চলমান দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির সুষ্ঠু তদন্ত।
মানববন্ধনে বক্তারা আরও বলেন, “রাষ্ট্রায়ত্ত এই প্রতিষ্ঠানে দুর্নীতির অভয়ারণ্য তৈরি করা হয়েছে। সরকারি ওষুধ সরবরাহের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থেকে কেউ যদি দুর্নীতিকে আশ্রয় দেয়, তাহলে জনগণের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়বে।”
বক্তারা শেষে বলেন, “আমরা ন্যায়বিচার চাই—কাউকে অন্যায়ভাবে চাকরি হারাতে হবে না, দুর্নীতিবাজদের বিচার হতে হবে।”
চলমান ঘটনাটিকে ঘিরে সামাজিক ও প্রশাসনিক মহলে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষসহ ওষুধ শিল্প সংশ্লিষ্টরা সরকারের প্রতি দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন।


























