ব্লুপ্রিন্ট উপস্থাপন করলেন তাসনীম জারা: জাতিসংঘে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা নিয়ে ঐতিহাসিক প্রস্তাব

- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৪৮:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫ ৩৬ বার পড়া হয়েছে

রিপোর্টার হৃদয় চৌধুরী
জাতিসংঘের সদর দফতরে এক গুরুত্বপূর্ণ অধিবেশনে বাংলাদেশি তরুণ চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য গবেষক তাসনীম জারা প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ওপর একটি পূর্ণাঙ্গ ব্লুপ্রিন্ট উপস্থাপন করেছেন। এ উদ্যোগকে অনেক বিশেষজ্ঞ ভবিষ্যৎ বৈশ্বিক স্বাস্থ্যনীতি নির্ধারণে মাইলফলক বলে আখ্যায়িত করছেন।
তাসনীম জারা তাঁর উপস্থাপনায় বলেন— স্বাস্থ্যসেবা মানুষের মৌলিক অধিকার, আর প্রাথমিক পর্যায়ে সবার কাছে সুলভ, সহজলভ্য ও আধুনিক সেবা পৌঁছে দেওয়ার বিকল্প নেই। তিনি তুলে ধরেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে স্বাস্থ্য অবকাঠামো ও জনবল সংকট থাকলেও পরিকল্পিত কৌশল গ্রহণ করলে অল্প ব্যয়ে সর্বাধিক জনগোষ্ঠীকে স্বাস্থ্যসেবার আওতায় আনা সম্ভব।
উপস্থাপনার মূল দিকগুলো
১. ডিজিটাল স্বাস্থ্যসেবা সম্প্রসারণ – টেলিমেডিসিন ও মোবাইল হেলথ অ্যাপের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীকে চিকিৎসা সেবা দেওয়া।
২. স্বাস্থ্যকর্মী প্রশিক্ষণ ও দক্ষতা উন্নয়ন – গ্রাম ও প্রান্তিক পর্যায়ে স্বাস্থ্য সহায়কদের আধুনিক প্রশিক্ষণ দেওয়া।
৩. সাশ্রয়ী ওষুধ ও ভ্যাকসিন নিশ্চিতকরণ – আন্তর্জাতিক সহযোগিতার মাধ্যমে দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য ওষুধ সহজলভ্য করা।
৪. মাতৃ ও শিশুর স্বাস্থ্যে বিশেষ জোর – প্রসূতি সেবা, টিকাদান ও পুষ্টি কার্যক্রমকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার কেন্দ্রে আনা।
৫. জরুরি স্বাস্থ্য সংকট মোকাবিলা পরিকল্পনা – মহামারি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগে দ্রুত কার্যকর স্বাস্থ্য প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা তৈরি করা।
জাতিসংঘের প্রতিনিধি, আন্তর্জাতিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকরা তাঁর এই প্রস্তাবের প্রশংসা করেন। তাঁরা বলেন, উন্নয়নশীল বিশ্বের তরুণ গবেষকদের এমন বাস্তবভিত্তিক প্রস্তাব বিশ্ব স্বাস্থ্যনীতিকে আরও কার্যকর ও অন্তর্ভুক্তিমূলক করবে।
বাংলাদেশের স্বাস্থ্য খাতের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞও তাসনীম জারার এই উপস্থাপনাকে দেশের জন্য বড় অর্জন হিসেবে দেখছেন। তাঁদের মতে, এ ধরনের প্রস্তাব শুধু বৈশ্বিক পরিসরেই নয়, বাংলাদেশের নিজস্ব স্বাস্থ্য ব্যবস্থার সংস্কারেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
জাতিসংঘে তাসনীম জারার এই ব্লুপ্রিন্ট উপস্থাপন নতুন প্রজন্মের বাংলাদেশের চিন্তাশীল নেতৃত্বের এক উজ্জ্বল নিদর্শন। তাঁর প্রস্তাব বাস্তবায়িত হলে “সবার জন্য স্বাস্থ্যসেবা” কেবল স্লোগান নয়, বাস্তবতাতেই রূপ নেবে।


























