ঢাকা ০১:০৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

হুমকির মুখে বাংলাদেশের আকাশসীমা।।

আশরাফুল আলম আরিফ ( কক্সবাজার)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:০০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪ ৫৪ বার পড়া হয়েছে

দক্ষিন এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করলে অন্তত ৯৫ ভাগ বানিজ্যিক বিমানকে- বাংলাদেশকে কোন ডলার দিতে হয় না। বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে, কিন্তু চার্জ পায় ভারত। ভারতের রাডার থেকে সিগনাল রেজিস্ট্রার করা হয়, তাই এইসব বিমান থেকে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যবহারের সকল অর্থ পায় ভারত। আন্তর্জাতিক নিয়মে কোন দেশের আকাশ, অন্য দেশের বানিজ্যিক বিমান ব্যবহার করলে- অন্তত পাঁচশত ডলার দিতে হয় সেই দেশকে।

মূল কারন হল- ১৯৮০ সালে [বর্তমান শাহ জালাল (রহঃ) বিমান বন্দর] এ একটি মাত্র রাডার বসানো হয় ও কমিশন করা হয়। এই একটি মাত্র রাডার দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের আকাশ পাহারা দেয়া হয়। ৪৪ বছরের পুরাতন রাডার যা অনেক বছর আগেই ডেট এক্সপায়ারড হয়ে গেছে। এখনও বারবার মেরামত করে প্রথম প্রজন্মের এই রাডার ব্যবহার করতে হয়। এত পুরাতন রাডার দক্ষিন এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশই ব্যবহার করে। যার কার্যক্ষমতা আন্তর্জাতিক মান দন্ডে প্রশ্নের মুখে বহুদিন থেকে।মজার তথ্য হল হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ২০১৭ সালে, ছয় বছর আগে চট্টগ্রামের জন্য নতুন একটি ৪র্থ প্রজন্মের রাডার কেনা হয়। উক্ত রাডারটি ২০১৭ সালে স্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত চালু করে কমিশন করা সম্ভব হয় নাই। ভারতের কারণেই এই রাডার সচল করা হচ্ছে না। রাডারটি বসানোর সময়েও ভারত আপত্তি জানায়। অথচ ভারত তাদের রাডার ব্যবহার করে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ভাড়া গুনছে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো থেকে। যার বার্ষিক আয়ের পরিমান প্রায় ১০০ কোটি ডলারের উপরে। এক ভারতকেই প্রতিদিন গড়ে একশোর উপর বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রদেশে যাতায়ত করতে হয়। অথচ ছয় বছর থেকে চট্টগ্রামের রাডারটি অযত্নে থেকে মেয়াদ হারাচ্ছে প্রতিদিন।

©

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

হুমকির মুখে বাংলাদেশের আকাশসীমা।।

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:০০:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ এপ্রিল ২০২৪

দক্ষিন এশিয়ায় একমাত্র বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করলে অন্তত ৯৫ ভাগ বানিজ্যিক বিমানকে- বাংলাদেশকে কোন ডলার দিতে হয় না। বাংলাদেশের আকাশ ব্যবহার করে, কিন্তু চার্জ পায় ভারত। ভারতের রাডার থেকে সিগনাল রেজিস্ট্রার করা হয়, তাই এইসব বিমান থেকে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যবহারের সকল অর্থ পায় ভারত। আন্তর্জাতিক নিয়মে কোন দেশের আকাশ, অন্য দেশের বানিজ্যিক বিমান ব্যবহার করলে- অন্তত পাঁচশত ডলার দিতে হয় সেই দেশকে।

মূল কারন হল- ১৯৮০ সালে [বর্তমান শাহ জালাল (রহঃ) বিমান বন্দর] এ একটি মাত্র রাডার বসানো হয় ও কমিশন করা হয়। এই একটি মাত্র রাডার দিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের আকাশ পাহারা দেয়া হয়। ৪৪ বছরের পুরাতন রাডার যা অনেক বছর আগেই ডেট এক্সপায়ারড হয়ে গেছে। এখনও বারবার মেরামত করে প্রথম প্রজন্মের এই রাডার ব্যবহার করতে হয়। এত পুরাতন রাডার দক্ষিন এশিয়ায় শুধুমাত্র বাংলাদেশই ব্যবহার করে। যার কার্যক্ষমতা আন্তর্জাতিক মান দন্ডে প্রশ্নের মুখে বহুদিন থেকে।মজার তথ্য হল হাজার হাজার কোটি টাকা ব্যয় করে ২০১৭ সালে, ছয় বছর আগে চট্টগ্রামের জন্য নতুন একটি ৪র্থ প্রজন্মের রাডার কেনা হয়। উক্ত রাডারটি ২০১৭ সালে স্থাপন করা হলেও এখন পর্যন্ত চালু করে কমিশন করা সম্ভব হয় নাই। ভারতের কারণেই এই রাডার সচল করা হচ্ছে না। রাডারটি বসানোর সময়েও ভারত আপত্তি জানায়। অথচ ভারত তাদের রাডার ব্যবহার করে বাংলাদেশের আকাশ সীমা ভাড়া গুনছে আন্তর্জাতিক বিমান সংস্থাগুলো থেকে। যার বার্ষিক আয়ের পরিমান প্রায় ১০০ কোটি ডলারের উপরে। এক ভারতকেই প্রতিদিন গড়ে একশোর উপর বিমান বাংলাদেশের আকাশ সীমা ব্যবহার করে বিভিন্ন প্রদেশে যাতায়ত করতে হয়। অথচ ছয় বছর থেকে চট্টগ্রামের রাডারটি অযত্নে থেকে মেয়াদ হারাচ্ছে প্রতিদিন।

©