আলমডাঙ্গায় মোল্লা ও মুন্সি গ্রুপের মারামারি, আহত ৫

- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:১৭:২৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ মে ২০২৪ ৬৭ বার পড়া হয়েছে

আলমডাঙ্গার বন্ডবিল গ্রামে ঈদগা নির্মাণকে কেন্দ্র করে উভয় পক্ষের হামলায় ৫ জন আহত হয়েছেন। দু পক্ষই থানায় পরষ্পরের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।জানা গেছে, আলমডাঙ্গা পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ড বন্ডবিল গ্রামবাসী এতদিন এক ঈদগাহে নামাজ পড়তেন। দোতলা ঈদগা ময়দানটি গ্রামের মোল্লা বংশের নেতৃত্বে পরিচালিত হয়ে আসছে। সংস্কার ও নির্মানের অধিকাংশ তাদের অর্থায়নে অর্থাৎ এফবিবিসিআই’ পরিচালক সহিদুল হক মোল্লা শিপলেন করে আসছিলেন বলে জানা গেছে। ওই ঈদগা ময়দানের অভ্যন্তরে অবস্থিত একটা কবর স্থানান্তর ও ঈদগার জমি ওয়াক্ফ সংক্রান্ত জটিলতা নিয়ে কিছু গ্রামবাসী ক্ষুদ্ধ হয়ে উঠেন। এক পর্যায়ে তারা নতুন ঈদগা নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। এ গ্রুপের নেতৃত্ব দেন একই গ্রামের মুন্সি বংশের লোকজন। তারা নতুন ঈদগা ফুটবল মাঠে নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিলে এ বিরোধ দানা বেঁধে ওঠে। প্রতিপক্ষরা খেলার মাঠে ঈদগা নির্মাণের বিরোধিতা করে আসছিলেন।গতকাল শুক্রবার দুপুরে আলমডাঙ্গা পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু ফুটবল মাঠে নতুন ঈদগা নির্মাণ কাজ উদ্বোধন করেন। পরে তিনি বাবু মুন্সির বাড়িতে খাওয়া দাওয়া করছিলেন। ঠিক এ সময়ে প্রতিপক্ষের কিছু লোকজন বাবু মুন্সির বাড়ির সামনে চড়াও হন। তারা বাবু মুন্সির উপর হামলা চালান। এ সময় দু’পক্ষের হামলায় উভয়পক্ষের ৫ ব্যক্তি আহত হন বলে জানা যায়। মুন্সি গ্রুপের আহতরা হলেন মুন্সি মতিয়ার রহমান বাবু, খোকন মুন্সি, রাকিব। মোল্লাদের পক্ষের আকবার আলী ও ইমরান হোসেন আহত হন। সে সময় প্রতিপক্ষের তোপের মুখে পড়েন স্বয়ং মেয়র হাসান কাদির গনু। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আব্দুল গণি ফোর্সসহ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। এ ঘটনার পরে উভয়পক্ষ থানায় মামলার প্রস্তুতি নিয়েছেন বলে জানা গেছে।আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ গণি মিয়া জানান, এখনও লিখিত অভিযোগ পাননি। পেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।