ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে মিরকাদিমের ধবল গাই। ____________

- নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩ ২০৩ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ দাতা :মেহেদী হাসান অলি
১৪/০৬/২৩ইং
প্রতি বছর কোরবানিতে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে মিরকাদিমের ধবল গাই।
বিশেষ করে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে। শত বছরের প্রাচীন রীতি ধরে রাখতে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে বিশেষ যত্নে পালন করা হয় এই গাই গরুগুলো। আকারে ছোট হলেও স্থানীয় জাত হওয়ার কারণে এগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি এবং মাংসও বেশ সুস্বাদু।দাম হাঁকা হচ্ছে ১ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।
মিরকাদিমের ধবল গাই, মিরকাদিমের খামারগুলোতে বিশেষভাবে পালন করা হয়। ধবল গাইগুলো দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। চোখের পাপড়ি সাদা, শিং সাদা, নাকের সামনের অংশ সাদা, পায়ের খুর, লেজের পশম, আর সারা শরীরই সাদা। মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মিরকাদিম নামটি বিখ্যাত হয়ে গেছে এই ধবল গাইয়ের সুবাদে। অতি যত্নে পালিত গরুগুলো তোলা হয় পুরান ঢাকার গনি মিয়ার হাটে। সেখান থেকেই বাছাই করে কিনে নেন ঢাকাইয়ারা।
সামনে ঈদ, তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছে, এসব খামারের গরুগুলোর পরিচর্যাও বাড়ছে। শুধু খৈল, বুট, খেসারি, গম ও মসুর ডালের ভুসি, রাব-গুড় খেতে দেয়া হয়। সঙ্গে ভুট্টাও গুঁড়া করে দেয়া হয়। মাংসে আঁশ থাকে কম। মাংস হয় নরম।
গরু পরিচর্যাকারী রাখাল আশাই মিয়া বাবু জানান, প্রতিদিন নিয়ম করে এদের খাওয়াতে হয়।
এই গরু লালন-পালনে খরচ বেশি। গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক ঘাসের অভাবে প্রতি বছর কমছে খামারের সংখ্যা।
চন্দনতলা গ্রামের বিসমিল্লাহ ডেইরি এন্ড বিফ ফ্যাটেনিং এর স্বত্বাধিকারী মো.রফিকুল ইসলাম আশিক বলেন, বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ধবল গাই পালন করি। বর্তমানে গো খাদ্য এবং অনান্য খরচ অতিরক্তি বেড়ে যাওয়ায় এখন আর সামলাতে পারি না। যতই দিন যাচ্ছে ততই গরুর সংখ্যা কমছে।
নগরের খামারি আরিফুর রহমান স্বপন জানান, প্রতি বছর খামার থেকেই অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির জন্য আমার খামারে আসে। এ বছর ১০টি গরু বড় করেছি। এর মধ্যে ২টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে।
মিরকাদিমের সব থেকে বয়স্ক খামারি অলিউল্লাহ বলেন, একসময় এই এলাকা থেকে কয়েক হাজার গরু ঢাকার হাটে যেত। আর এখন মাত্র কয়েকশো গরু যায়। সৌখিন ক্রেতা ছাড়া এই গরুগুলো কেই চেনে না। ধবল গরুর মাংস সুস্বাদু হয় তাই এর চাহিদা আছে। কিন্তু বর্তমানে ক্রেতারা সুস্বাদু মাংসের গরু চায় না। তারা চায় মোটা তাজা গরু।
পশু কোরবানির ক্ষেত্রে পুরান ঢাকাবাসীর বিশেষ পছন্দ এই ধবল গাই। ১৯৩৩ সাল থেকে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গণি মিয়ার হাটে শুধু মিরকাদিমের এই গাই বিক্রি হয়। একসময় মিরকাদিমে ধবল গাইয়ের খামার ছিল দুই শতাধিক। নানা প্রতিকূলতায় কমে গেছে খামারের সংখ্যা। শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এখানকার ১০টি খামার।























