ঢাকা ০৫:০২ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ নভেম্বর ২০২৫, ২৬ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে লক্ষ্মীপুর-৪ আসনে জনগণের দোয়া ও সমর্থন প্রত্যাশী বেগম তানিয়া রব আইভীকে হাইকোর্টের দেয়া জামিন স্থগিতের আবেদন রাষ্ট্রপক্ষের মেহেরুন নেছা তাসপিয়ার শুভ জন্মদিন অনুষ্ঠিত মানুষের সাথে সংযোগই নেতৃত্বের মূল শক্তি: শেরপুর-১ আসনের বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ডা. প্রিয়াঙ্কা শিশুর হাসি আমাদের শক্তি, তাদের নিরাপত্তা ও স্বপ্নই আমাদের আগামীর ভিত্তি: ডাঃ সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কা মনপুরা বাসীর পক্ষ থেকে ধানের শীষের প্রার্থী নুরুল ইসলাম নয়ন কে গণসংবর্ধনা। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কাঠামোতে বড় পরিবর্তন ধ*র্ষণ মা*মলার আ*সামি ও দুর্নীতিবাজ ইডিসিএল এমডি আব্দুস সামাদ মৃধার পদত্যাগ ও গ্রে*ফতারের দাবি—প্রধান উপদেষ্টা ও স্বাস্থ্য উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে (জিসাস) ঢাকা মহানগর উত্তরের শ্রদ্ধাঞ্জলি ৭ই নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উদযাপন শহীদ জিয়া অমর হোক — বেগম খালেদা জিয়া জিন্দাবাদ — তারেক রহমান জিন্দাবাদ

ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে মিরকাদিমের ধবল গাই। ____________

প্রতিনিধির নাম
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩ ২০৩ বার পড়া হয়েছে

সংবাদ দাতা :মেহেদী হাসান অলি
১৪/০৬/২৩ইং
প্রতি বছর কোরবানিতে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে মিরকাদিমের ধবল গাই।
বিশেষ করে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে। শত বছরের প্রাচীন রীতি ধরে রাখতে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে বিশেষ যত্নে পালন করা হয় এই গাই গরুগুলো। আকারে ছোট হলেও স্থানীয় জাত হওয়ার কারণে এগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি এবং মাংসও বেশ সুস্বাদু।দাম হাঁকা হচ্ছে ১ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।

মিরকাদিমের ধবল গাই, মিরকাদিমের খামারগুলোতে বিশেষভাবে পালন করা হয়। ধবল গাইগুলো দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। চোখের পাপড়ি সাদা, শিং সাদা, নাকের সামনের অংশ সাদা, পায়ের খুর, লেজের পশম, আর সারা শরীরই সাদা। মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মিরকাদিম নামটি বিখ্যাত হয়ে গেছে এই ধবল গাইয়ের সুবাদে। অতি যত্নে পালিত গরুগুলো তোলা হয় পুরান ঢাকার গনি মিয়ার হাটে। সেখান থেকেই বাছাই করে কিনে নেন ঢাকাইয়ারা।
সামনে ঈদ, তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছে, এসব খামারের গরুগুলোর পরিচর্যাও বাড়ছে। শুধু খৈল, বুট, খেসারি, গম ও মসুর ডালের ভুসি, রাব-গুড় খেতে দেয়া হয়। সঙ্গে ভুট্টাও গুঁড়া করে দেয়া হয়। মাংসে আঁশ থাকে কম। মাংস হয় নরম।

গরু পরিচর্যাকারী রাখাল আশাই মিয়া বাবু জানান, প্রতিদিন নিয়ম করে এদের খাওয়াতে হয়।

এই গরু লালন-পালনে খরচ বেশি। গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক ঘাসের অভাবে প্রতি বছর কমছে খামারের সংখ্যা।

চন্দনতলা গ্রামের বিসমিল্লাহ ডেইরি এন্ড বিফ ফ্যাটেনিং এর স্বত্বাধিকারী মো.রফিকুল ইসলাম আশিক বলেন, বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ধবল গাই পালন করি। বর্তমানে গো খাদ্য এবং অনান্য খরচ অতিরক্তি বেড়ে যাওয়ায় এখন আর সামলাতে পারি না। যতই দিন যাচ্ছে ততই গরুর সংখ্যা কমছে।

নগরের খামারি আরিফুর রহমান স্বপন জানান, প্রতি বছর খামার থেকেই অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির জন্য আমার খামারে আসে। এ বছর ১০টি গরু বড় করেছি। এর মধ্যে ২টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে।

মিরকাদিমের সব থেকে বয়স্ক খামারি অলিউল্লাহ বলেন, একসময় এই এলাকা থেকে কয়েক হাজার গরু ঢাকার হাটে যেত। আর এখন মাত্র কয়েকশো গরু যায়। সৌখিন ক্রেতা ছাড়া এই গরুগুলো কেই চেনে না। ধবল গরুর মাংস সুস্বাদু হয় তাই এর চাহিদা আছে। কিন্তু বর্তমানে ক্রেতারা সুস্বাদু মাংসের গরু চায় না। তারা চায় মোটা তাজা গরু।

পশু কোরবানির ক্ষেত্রে পুরান ঢাকাবাসীর বিশেষ পছন্দ এই ধবল গাই। ১৯৩৩ সাল থেকে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গণি মিয়ার হাটে শুধু মিরকাদিমের এই গাই বিক্রি হয়। একসময় মিরকাদিমে ধবল গাইয়ের খামার ছিল দুই শতাধিক। নানা প্রতিকূলতায় কমে গেছে খামারের সংখ্যা। শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এখানকার ১০টি খামার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে মিরকাদিমের ধবল গাই। ____________

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৫:৪৪:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ জুন ২০২৩

সংবাদ দাতা :মেহেদী হাসান অলি
১৪/০৬/২৩ইং
প্রতি বছর কোরবানিতে ক্রেতাদের পছন্দের শীর্ষে থাকে মিরকাদিমের ধবল গাই।
বিশেষ করে পুরান ঢাকার বাসিন্দাদের কাছে। শত বছরের প্রাচীন রীতি ধরে রাখতে মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিমে বিশেষ যত্নে পালন করা হয় এই গাই গরুগুলো। আকারে ছোট হলেও স্থানীয় জাত হওয়ার কারণে এগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি এবং মাংসও বেশ সুস্বাদু।দাম হাঁকা হচ্ছে ১ থেকে সাড়ে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত।

মিরকাদিমের ধবল গাই, মিরকাদিমের খামারগুলোতে বিশেষভাবে পালন করা হয়। ধবল গাইগুলো দেখতে অত্যন্ত আকর্ষণীয়। চোখের পাপড়ি সাদা, শিং সাদা, নাকের সামনের অংশ সাদা, পায়ের খুর, লেজের পশম, আর সারা শরীরই সাদা। মুন্সিগঞ্জ জেলার সদর উপজেলার মিরকাদিম নামটি বিখ্যাত হয়ে গেছে এই ধবল গাইয়ের সুবাদে। অতি যত্নে পালিত গরুগুলো তোলা হয় পুরান ঢাকার গনি মিয়ার হাটে। সেখান থেকেই বাছাই করে কিনে নেন ঢাকাইয়ারা।
সামনে ঈদ, তাই সময় যত ঘনিয়ে আসছে, এসব খামারের গরুগুলোর পরিচর্যাও বাড়ছে। শুধু খৈল, বুট, খেসারি, গম ও মসুর ডালের ভুসি, রাব-গুড় খেতে দেয়া হয়। সঙ্গে ভুট্টাও গুঁড়া করে দেয়া হয়। মাংসে আঁশ থাকে কম। মাংস হয় নরম।

গরু পরিচর্যাকারী রাখাল আশাই মিয়া বাবু জানান, প্রতিদিন নিয়ম করে এদের খাওয়াতে হয়।

এই গরু লালন-পালনে খরচ বেশি। গো খাদ্যের দাম বৃদ্ধি এবং প্রাকৃতিক ঘাসের অভাবে প্রতি বছর কমছে খামারের সংখ্যা।

চন্দনতলা গ্রামের বিসমিল্লাহ ডেইরি এন্ড বিফ ফ্যাটেনিং এর স্বত্বাধিকারী মো.রফিকুল ইসলাম আশিক বলেন, বাপ-দাদার ঐতিহ্য ধরে রাখতে ধবল গাই পালন করি। বর্তমানে গো খাদ্য এবং অনান্য খরচ অতিরক্তি বেড়ে যাওয়ায় এখন আর সামলাতে পারি না। যতই দিন যাচ্ছে ততই গরুর সংখ্যা কমছে।

নগরের খামারি আরিফুর রহমান স্বপন জানান, প্রতি বছর খামার থেকেই অর্ধেক গরু বিক্রি হয়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কোরবানির জন্য আমার খামারে আসে। এ বছর ১০টি গরু বড় করেছি। এর মধ্যে ২টি গরু বিক্রি হয়ে গেছে।

মিরকাদিমের সব থেকে বয়স্ক খামারি অলিউল্লাহ বলেন, একসময় এই এলাকা থেকে কয়েক হাজার গরু ঢাকার হাটে যেত। আর এখন মাত্র কয়েকশো গরু যায়। সৌখিন ক্রেতা ছাড়া এই গরুগুলো কেই চেনে না। ধবল গরুর মাংস সুস্বাদু হয় তাই এর চাহিদা আছে। কিন্তু বর্তমানে ক্রেতারা সুস্বাদু মাংসের গরু চায় না। তারা চায় মোটা তাজা গরু।

পশু কোরবানির ক্ষেত্রে পুরান ঢাকাবাসীর বিশেষ পছন্দ এই ধবল গাই। ১৯৩৩ সাল থেকে পুরান ঢাকার রহমতগঞ্জের গণি মিয়ার হাটে শুধু মিরকাদিমের এই গাই বিক্রি হয়। একসময় মিরকাদিমে ধবল গাইয়ের খামার ছিল দুই শতাধিক। নানা প্রতিকূলতায় কমে গেছে খামারের সংখ্যা। শত বছরের ঐতিহ্য ধরে রেখেছে এখানকার ১০টি খামার।