ঢাকা ০৬:৩৭ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৩ জুন ২০২৫, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
অত্যাধুনিক ডিভাইস কসমেটিক মুসলমানী (খাৎনা) মাদক কারবারিতে বাধা দেওয়ায় ছেলের হাতে বাবা খুন বরুড়ায় জিয়া প্রবাসী ফোরামের উদ্যোগে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ৪৪তম সাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত উলানিয়া বন্দর আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্ট খেলা অনুষ্ঠিত ম্যাচ ২০২৫। নাগরপুরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের আগুন নাগরপুরে রাতের আঁধারে দুর্বৃত্তদের আগুন কালীগঞ্জের রতনপুর গুড়ুইমহলে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে সেবা পেল দুই শতাধিক প্রান্তিক মানুষ মুন্সিগঞ্জের মিরকাদিম হাজী আমজাদ আলী উচ্চ বিদ্যালয় এলামনাই অ্যাসোসিয়েশনের প্রথম পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান সফলভাবে সম্পন্ন। এক ইলিশ সাড়ে ৯ হাজার টাকায় বিক্র চাঁদপুরে মরিয়ম ফুলের উপকারিতা

দর্শনা দিয়ে ঢুকে চিলাহাটি হয়ে ভারতীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব

শাকিল আহম্মেদ চুয়াডাঙ্গা জেলা ব্যুরো চীফ 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১২:০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪ ৭৫ বার পড়া হয়েছে

কমিশন এ বিষয়ে মতামত দিয়েছে। সভায় বলা হয়, বর্তমানে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে আগের প্রস্তাবিত রুট বৃদ্ধি করে ভুটান সীমান্তের কাছে ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশন ডালগাঁও পর্যন্ত প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এই প্রস্তাব নিয়ে আবার আন্ত মন্ত্রণালয় সভা হওয়ার কথা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সব এজেন্সির সঙ্গে বসেছি। সবাইকে মতামত দিতে বলেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়া বাকিরা মতামত দিয়েছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে জানানো হবে।’ সভা সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভারতের ট্রেন চালানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মত দিয়েছে, ট্রানজিটের বিপরীতে যেন উপযুক্ত ‘রেট’ (রেলপথ ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া) নির্ধারণ করা হয়।সিদ্ধান্তের পর ধরন নির্ধারণ:বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ইন্টারচেঞ্জ কার্যকর। সেগুলো হলো, বেনাপোল-পেট্রোপোল, দর্শনা-গেদে, রোহনপুর-সিংবাধ, বিরাল-রাধিকারপুর ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ী। এসব পথে নিয়মিত পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। ইন্টারচেঞ্জে ট্রেনের ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) ও চালক (লোকোমাস্টার) পরিবর্তন করা হয়।যেমন- বাংলাদেশের ট্রেন ভারতে প্রবেশের আগে দর্শনায় ইন্টারচেঞ্জে বাংলাদেশের ইঞ্জিনের পরিবর্তে ভারতের ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়। সেখান থেকে ট্রেনটি ভারতের চালক চালানো শুরু করেন। একইভাবে ওই ট্রেনটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের ইঞ্জিন পরিবর্তন করে বাংলাদেশের ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়। চালকও পরিবর্তন করা হয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে রেলের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, সিদ্ধান্তের আগে চলাচলের ধরন ঠিক করা হবে না। বাংলাদেশ সরকার যদি ভারতকে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয়, তখন চালানোর ধরন নিয়ে আলোচনা হবে। এসব প্রশ্নের মীমাংসা করেই ট্রেন চলবে।বিপরীতে বাংলাদেশ চাইবে ভারতের রেলপথ:অনেকটা বিনিময় সুবিধার ভিত্তিতে ভারত এই রেলপথ নিতে চাইছে। সহজ পথে ভুটানের কাছে যেতে চায় ভারত। আবার বাংলাদেশকেও ভুটানের কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে ভারত। কিন্তু ভারতের ডালগাঁও পর্যন্ত রেললাইন ব্যবহারের সুযোগ দিতে চাচ্ছে ভারত সরকার। কিন্তু বাংলাদেশ চাচ্ছে সেখান থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে হাসিমারা পর্যন্ত যেতে। আবার হাসিমারা স্টেশনের কাছে ভুটানের স্থলবন্দর আছে, যার নাম ফুশিলং। যদি এই স্থলবন্দর পর্যন্ত যাওয়া যায় তাহলে ট্রান্সশিপমেন্ট করে ট্রেন থেকে পণ্য খালাস করে ট্রাকে ভুটানে নেওয়া যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

দর্শনা দিয়ে ঢুকে চিলাহাটি হয়ে ভারতীয় ট্রেন চালানোর প্রস্তাব

নিউজ প্রকাশের সময় : ১২:০১:০১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মে ২০২৪

কমিশন এ বিষয়ে মতামত দিয়েছে। সভায় বলা হয়, বর্তমানে ভারতীয় হাইকমিশন থেকে আগের প্রস্তাবিত রুট বৃদ্ধি করে ভুটান সীমান্তের কাছে ভারতীয় রেলওয়ে স্টেশন ডালগাঁও পর্যন্ত প্রস্তাব পাওয়া গেছে। এই প্রস্তাব নিয়ে আবার আন্ত মন্ত্রণালয় সভা হওয়ার কথা। রেলপথ মন্ত্রণালয়ের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা সব এজেন্সির সঙ্গে বসেছি। সবাইকে মতামত দিতে বলেছি। বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ছাড়া বাকিরা মতামত দিয়েছে। সবার মতামতের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত তৈরি করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ভারতকে জানানো হবে।’ সভা সূত্র বলছে, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন ভারতের ট্রেন চালানোর বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এবং বাণিজ্য মন্ত্রণালয় মত দিয়েছে, ট্রানজিটের বিপরীতে যেন উপযুক্ত ‘রেট’ (রেলপথ ব্যবহার করতে দেওয়ার জন্য টাকা নেওয়া) নির্ধারণ করা হয়।সিদ্ধান্তের পর ধরন নির্ধারণ:বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আটটি ইন্টারচেঞ্জ রয়েছে। এর মধ্যে পাঁচটি ইন্টারচেঞ্জ কার্যকর। সেগুলো হলো, বেনাপোল-পেট্রোপোল, দর্শনা-গেদে, রোহনপুর-সিংবাধ, বিরাল-রাধিকারপুর ও চিলাহাটি-হলদিবাড়ী। এসব পথে নিয়মিত পণ্য ও যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করছে। ইন্টারচেঞ্জে ট্রেনের ইঞ্জিন (লোকোমোটিভ) ও চালক (লোকোমাস্টার) পরিবর্তন করা হয়।যেমন- বাংলাদেশের ট্রেন ভারতে প্রবেশের আগে দর্শনায় ইন্টারচেঞ্জে বাংলাদেশের ইঞ্জিনের পরিবর্তে ভারতের ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়। সেখান থেকে ট্রেনটি ভারতের চালক চালানো শুরু করেন। একইভাবে ওই ট্রেনটি ভারত থেকে বাংলাদেশে প্রবেশের সময় ভারতের ইঞ্জিন পরিবর্তন করে বাংলাদেশের ইঞ্জিন যুক্ত করা হয়। চালকও পরিবর্তন করা হয়। নাম প্রকাশ না করা শর্তে রেলের সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, সিদ্ধান্তের আগে চলাচলের ধরন ঠিক করা হবে না। বাংলাদেশ সরকার যদি ভারতকে ট্রেন চালানোর অনুমতি দেয়, তখন চালানোর ধরন নিয়ে আলোচনা হবে। এসব প্রশ্নের মীমাংসা করেই ট্রেন চলবে।বিপরীতে বাংলাদেশ চাইবে ভারতের রেলপথ:অনেকটা বিনিময় সুবিধার ভিত্তিতে ভারত এই রেলপথ নিতে চাইছে। সহজ পথে ভুটানের কাছে যেতে চায় ভারত। আবার বাংলাদেশকেও ভুটানের কাছে যাওয়ার সুযোগ করে দেবে ভারত। কিন্তু ভারতের ডালগাঁও পর্যন্ত রেললাইন ব্যবহারের সুযোগ দিতে চাচ্ছে ভারত সরকার। কিন্তু বাংলাদেশ চাচ্ছে সেখান থেকে ১৮ কিলোমিটার দূরে হাসিমারা পর্যন্ত যেতে। আবার হাসিমারা স্টেশনের কাছে ভুটানের স্থলবন্দর আছে, যার নাম ফুশিলং। যদি এই স্থলবন্দর পর্যন্ত যাওয়া যায় তাহলে ট্রান্সশিপমেন্ট করে ট্রেন থেকে পণ্য খালাস করে ট্রাকে ভুটানে নেওয়া যাবে।