ঢাকা ০৭:০১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
যুব অধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ রাসেল মুনের উপর সন্ত্রাসী হামলা। কক্সবাজার জেলা শাখা’র চকরিয়া উপজেলা যুব অধিকার পরিষদ এর ৫১ সদস্য বিশিষ্ট আংশিক কমিটির অনুমোদন। নাগরপুরে এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের বিদায় উপলক্ষে দোয়া ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণ আগ্নেঅ’স্ত্র ও দেশীয় অ’স্ত্র সহ ছাত্রদল নেতা কিরণ গ্রেফতার। দীর্ঘদিন পলাতক থাকা যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী পুলিশের জালে! নাগরপুরে জব্বার হ*ত্যা মা*মলায় তিন এজাহারভুক্ত আসামী গ্রে*ফতার সন্ত্রাসী হামলায় আহত নুরুল ইসলামের সুস্থতা কামনায় জৈন্তাপুরে দোয়া মাহফিল আদিবাসী জনগোষ্ঠী ও পরিবেশের উপর সামাজিক বনায়নের প্রভাব” শীর্ষক আলোচনা সভা নাগরপুরের জব্বার হ*ত্যা মা*মলার ৩ আসামিকে গ্রে*ফতার করেছে যৌথবাহিনী নাগরপুরে মৎস্য সংরক্ষণ অভিযান, ৫০০ মিটার চায়না জাল জব্দ ও ধ্বংস

বিজয়নগরে ডাক্তারের প্যাড জালিয়াতি, অর্থ জরিমানা ।

এম কে খোকন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা প্রতিনিধি)
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ৬৪ বার পড়া হয়েছে

বিজয়নগরে ডাক্তারের প্যাড জালিয়াতি, অর্থ জরিমানা ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক ডাক্তারের প্যাড জালিয়াতি করে অন্য ডাক্তাররা একই প্যাডে রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চান্দুরার আমতলী বাজারে অবস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে এ জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
ইউএনও বলেন, ডা. সুব্রত সাহার নামে তৈরি প্যাডে একেকদিন একেক ডা. নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন। ডা. সুব্রত সাহা সর্বশেষ ১৮ আগস্ট ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। কিন্তু অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, ডা. সুব্রত সাহার প্যাড ব্যবহার করে ২৫ আগস্ট এবং আজ ভিন্ন নামের দুজন ডাক্তার রোগী দেখছেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২৫ আগস্ট সুব্রত সাহার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন একজনকে পাওয়া গেলে তিনি জানান আজকে উপস্থিত ডাক্তার গত সপ্তাহে ছিলেন না। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন ইনি ডা. সুব্রত সাহা। ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি বিজয়নগর রোগী সেজে সুব্রত সাহাকে ফোন দিলে তিনি জানান তিনি সর্বশেষ ১৮ আগস্টের পর আর বিজয়নগর উপজেলায় রোগী দেখেননি। এতে প্রমাণিত হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ডা. সুব্রত সাহা নামে মানুষের কাছে অন্যায়ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং তাদের প্রতারিত করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. খুরশিদ আলম এ অপরাধ স্বীকার করেন।

এছাড়াও আজকে রোগী দেখতে উপস্থিত ডা. তপন দেবনাথকে অন্য ডাক্তারের প্যাডে রোগী দেখছেন কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এমনটি হবে না মর্মে লিখিতভাবে জানান। এসময় উপস্থিত ডা. তপন দেবনাথের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করে তা আদায় করা হয়েছে।
ইউএনও আরও বলেন, এরকম জানিয়াতিচক্রের অভিযান অব্যাহত থাকবে।অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুম, বিজয়নগর থানার পুলিশ ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বিজয়নগরে ডাক্তারের প্যাড জালিয়াতি, অর্থ জরিমানা ।

নিউজ প্রকাশের সময় : ১১:৫৬:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বিজয়নগরে ডাক্তারের প্যাড জালিয়াতি, অর্থ জরিমানা ।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিজয়নগর উপজেলায় পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক ডাক্তারের প্যাড জালিয়াতি করে অন্য ডাক্তাররা একই প্যাডে রোগী দেখছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এমন অভিযোগে অভিযান চালিয়ে প্রতিষ্ঠানটির মালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছে উপজেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার চান্দুরার আমতলী বাজারে অবস্থিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারটিকে এ জরিমানা করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এ এইচ ইরফান উদ্দিন আহমেদ।
ইউএনও বলেন, ডা. সুব্রত সাহার নামে তৈরি প্যাডে একেকদিন একেক ডা. নিজেদের পরিচয় গোপন রেখে ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখছেন। ডা. সুব্রত সাহা সর্বশেষ ১৮ আগস্ট ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারে রোগী দেখেন। কিন্তু অভিযান পরিচালনাকালে দেখা যায়, ডা. সুব্রত সাহার প্যাড ব্যবহার করে ২৫ আগস্ট এবং আজ ভিন্ন নামের দুজন ডাক্তার রোগী দেখছেন। ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ২৫ আগস্ট সুব্রত সাহার কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়েছেন এমন একজনকে পাওয়া গেলে তিনি জানান আজকে উপস্থিত ডাক্তার গত সপ্তাহে ছিলেন না। কিন্তু ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ তাকে জানিয়েছেন ইনি ডা. সুব্রত সাহা। ঘটনার সত্যতার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আমি বিজয়নগর রোগী সেজে সুব্রত সাহাকে ফোন দিলে তিনি জানান তিনি সর্বশেষ ১৮ আগস্টের পর আর বিজয়নগর উপজেলায় রোগী দেখেননি। এতে প্রমাণিত হয় ডায়াগনস্টিক সেন্টার কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন ব্যক্তিকে ডা. সুব্রত সাহা নামে মানুষের কাছে অন্যায়ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং তাদের প্রতারিত করেছেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মো. খুরশিদ আলম এ অপরাধ স্বীকার করেন।

এছাড়াও আজকে রোগী দেখতে উপস্থিত ডা. তপন দেবনাথকে অন্য ডাক্তারের প্যাডে রোগী দেখছেন কেন প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজের ভুল স্বীকার করেন এবং ভবিষ্যতে এমনটি হবে না মর্মে লিখিতভাবে জানান। এসময় উপস্থিত ডা. তপন দেবনাথের কাছ থেকে লিখিত অঙ্গীকারনামা নেওয়া হয়েছে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িত পদ্মা ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারকে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ অনুযায়ী এক লাখ টাকা অর্থদণ্ড আরোপ করে তা আদায় করা হয়েছে।
ইউএনও আরও বলেন, এরকম জানিয়াতিচক্রের অভিযান অব্যাহত থাকবে।অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মাসুম, বিজয়নগর থানার পুলিশ ও স্যানিটারি ইন্সপেক্টর উপস্থিত ছিলেন।