ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‎দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের  মোটরসাইকেল মাধ্যমে লং বহর ‎ ‎মোঃ আল আমীন ‎ভোলা জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎আজ ভোলার মনপুরায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোলা-৪ আসেনর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ‎শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে হাজারও নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার  গিয়ে শেষ হয়। এতে আগত কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলে জানান। ‎শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ‎পরে রামনেওয়া নতুন বাজার জামায়াতে ইসলামী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে  এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই বিশাল শোভাযাত্রা কোন প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় নয়, এটি হচ্ছে ইসলামের পক্ষের গণজাগরণ। দুনিয়াবী সকল মতবাদের কাছে নিরাশ হয়ে মানুষ এখন ইসলামের পক্ষেই ফিরে আসছে, এটি তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা আশা করছি- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায় এবং ইনসাফের। ‎পরে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির ও ভোলা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। ‎ তিনি বলেন, ভোলা-৪ আসনে ইসলামের পক্ষে তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সুফল সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে তুলতে হবে।এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‎আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে চরফ্যাশন -মনপুরাকে দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ‎রাস্তা দিয়ে বিশাল বহর যাওয়ার সময় উৎসুক এলাকাবাসী হাত নেড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের অভিনন্দন জানায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শিশু কিশোর ও যুবকরা এতে যোগ দেয়। দাড়িপাল্লার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় প্রতিটি এলাকা। এ সময় গ্রামের নারীরাও তাদের ঘর থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অবলোকন করেন। ‎ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অংশ নেয়া প্রত্যেকের গায়ে ছিল বিশেষ স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। সুশৃঙ্খলভাবে একটি সাড়িতে শত শত মোটরসাইকেল যেন এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের এই শৃঙ্খলার ভুয়সী প্রশংসা করেন। ‎তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে এবং নিজেদেরকে বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছে তাতে দেশজুড়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসাব। ‎ ‎ ‎ শেরপুর সদর-১ আসনে ড. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কাকে বাসফোর পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা “মাত্র ১০ সেকেন্ডের ভূ/মি/কম্পেই মানুষের অসহায়ত্ব প্রমাণ—জমিনের মালিক একমাত্র আল্লাহ” ভূ/মি/কম্প: মানুষের জন্য এক সতর্কবার্তা ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী ঢাকা কেরানীগঞ্জ আশেপাশের এলাকা সহ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সারা দেশ ঢাকা–কেরানীগঞ্জসহ সর্বত্র আতঙ্ক “নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ বাকেরগঞ্জ, বরিশাল-৬ আসন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধানের শীষের মনোনয়ন প্রার্থী : জনাব আবুল হোসেন খান দীর্ঘ ৪০ বছরের যে উন্নয়ন হয়নি মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা, বরিশাল- ৪ আসনে আমি মনে করি আমার হাত দিয়ে সেই উন্নয়ন গুলি হবে যদি আমি জাতীয় সংসদে যেতে পারি : রাজিব আহসান

কক্সবাজারে লবণ উৎপাদন শুরু, দামে হতাশ চাষি

আশরাফুল আলম আরিফ( রিপোর্টার কক্সবাজার) 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪ ১৩০ বার পড়া হয়েছে

আশরাফুল আলম আরিফ( রিপোর্টার কক্সবাজার) 

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজার দর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।দেশে নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনা পানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণ চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণ চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণ চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন লবণ দালালেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‎দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের  মোটরসাইকেল মাধ্যমে লং বহর ‎ ‎মোঃ আল আমীন ‎ভোলা জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎আজ ভোলার মনপুরায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোলা-৪ আসেনর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ‎শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে হাজারও নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার  গিয়ে শেষ হয়। এতে আগত কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলে জানান। ‎শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ‎পরে রামনেওয়া নতুন বাজার জামায়াতে ইসলামী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে  এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই বিশাল শোভাযাত্রা কোন প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় নয়, এটি হচ্ছে ইসলামের পক্ষের গণজাগরণ। দুনিয়াবী সকল মতবাদের কাছে নিরাশ হয়ে মানুষ এখন ইসলামের পক্ষেই ফিরে আসছে, এটি তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা আশা করছি- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায় এবং ইনসাফের। ‎পরে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির ও ভোলা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। ‎ তিনি বলেন, ভোলা-৪ আসনে ইসলামের পক্ষে তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সুফল সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে তুলতে হবে।এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‎আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে চরফ্যাশন -মনপুরাকে দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ‎রাস্তা দিয়ে বিশাল বহর যাওয়ার সময় উৎসুক এলাকাবাসী হাত নেড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের অভিনন্দন জানায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শিশু কিশোর ও যুবকরা এতে যোগ দেয়। দাড়িপাল্লার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় প্রতিটি এলাকা। এ সময় গ্রামের নারীরাও তাদের ঘর থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অবলোকন করেন। ‎ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অংশ নেয়া প্রত্যেকের গায়ে ছিল বিশেষ স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। সুশৃঙ্খলভাবে একটি সাড়িতে শত শত মোটরসাইকেল যেন এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের এই শৃঙ্খলার ভুয়সী প্রশংসা করেন। ‎তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে এবং নিজেদেরকে বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছে তাতে দেশজুড়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসাব। ‎ ‎ ‎

কক্সবাজারে লবণ উৎপাদন শুরু, দামে হতাশ চাষি

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

আশরাফুল আলম আরিফ( রিপোর্টার কক্সবাজার) 

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজার দর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।দেশে নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনা পানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণ চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণ চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণ চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন লবণ দালালেরা।