ঢাকা ১২:৫০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
বিশ্বের সকল মানুষ যেন মহানবী (সা.)-এর শিক্ষা, আদর্শ ও ত্যাগে উজ্জীবিত হয়ে উঠে। নাগরপুরে কবরস্থানের সৌন্দর্য বর্ধনে ধুবড়িয়া ব্রাদার্সের দৃষ্টিনন্দন উদ্যোগ  আলোচনা গণতান্ত্রিক শাসন শক্তিশালী করার উপায় নিয়ে শাহরাস্তির আতঙ্ক জাবেদ বাহিনী, মসজিদের জায়গা জবর দখল, দালালী আর মামলাবাজিতে হাতিয়েছেন ২ হাজার কোটি টাকা : রয়েছেন ধরা ছোঁয়ার বাহিরে। ময়মনসিংহ রেঞ্জের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত  গাজীপুর জেলা শাখা অন্তর্গত “শ্রীপুর উপজেলা” শাখার কমিটির অনুমোদন।  বেকারত্ব নিরসনে বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদের ৭ দফা প্রস্তাবনা নোয়াখালীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মতবিনিময়  তবে উদ্যোগ রাজনৈতিক’ আমরা রাজনৈতিক দল নই তাহলে কি নিজেদের জালে-ই ফেঁসে গেলো ছাত্র সংঘটন!

কক্সবাজারে লবণ উৎপাদন শুরু, দামে হতাশ চাষি

আশরাফুল আলম আরিফ( রিপোর্টার কক্সবাজার) 
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪ ৬২ বার পড়া হয়েছে

আশরাফুল আলম আরিফ( রিপোর্টার কক্সবাজার) 

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজার দর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।দেশে নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনা পানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণ চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণ চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণ চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন লবণ দালালেরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

কক্সবাজারে লবণ উৎপাদন শুরু, দামে হতাশ চাষি

নিউজ প্রকাশের সময় : ০৮:৩৮:৪০ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ এপ্রিল ২০২৪

আশরাফুল আলম আরিফ( রিপোর্টার কক্সবাজার) 

কক্সবাজারের উপকূলীয় সাতটি উপজেলা এবং চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়ায় চলতি মৌসুমে পুরোদমে লবণ উৎপাদন শুরু হয়েছে। গত ২০ ও ২১ মার্চ হালকা বৃষ্টিপাতের কারণে দুই-তিন দিন লবণ উৎপাদন ব্যাহত হয়। তবে গত রোববার থেকে চাষিরা পুনরায় লবণ উৎপাদনে মাঠে নেমেছেন।সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর লবণ উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে যেতে পারে। গত মৌসুমে দেশে ৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ লবণ উৎপাদন হয়েছিল। তবে চাষিরা লবণের বাজার দর নিয়ে হতাশার কথা জানিয়েছেন।দেশে নভেম্বর থেকে মে পর্যন্ত লবণ উৎপাদনের মৌসুম ধরা হয়। সাগরের লোনা পানি শুকিয়ে কক্সবাজারের কুতুবদিয়া, মহেশখালী, পেকুয়া, চকরিয়া, ঈদগাঁও, সদর ও টেকনাফ এবং পাশের চট্টগ্রামের বাঁশখালী ও পটিয়া উপকূলে লবণ চাষ হয়। গত তিন বছরের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, প্রতিবছরই লবণ চাষ বাড়ছে। গত বছরের হিসাবমতে, ৩৯ হাজার ৪৬৭ জন চাষি সরাসরি লবণ উৎপাদনে জড়িত। গত মৌসুমে পটিয়া উপজেলায় মাত্র ৫৫ একর জমিতে লবণের চাষ হয়েছিল। চলতি মৌসুমে মহেশখালী ছাড়া অন্যান্য এলাকায়ও লবণ চাষের জমির পরিমাণ বেড়েছে বলে জানায় বিসিক।পেকুয়া উপজেলার করিয়ারদিয়ার লবণচাষি সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল মোস্তফা বলেন, গত বছর লবণের মণপ্রতি দাম যেখানে ৫০০ টাকা ছিল, তা এ বছর ২৮০ থেকে ৩০০ টাকা। সব পণ্যের দাম বাড়লেও একমাত্র লবণের ক্ষেত্রে কমেছে।ঈদগাঁও উপজেলার ইসলামপুরে রয়েছে ৭০টি লবণ মিল। হীরা ভ্যাকুয়াম ইভাপোরেশন সল্ট ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোজাফফর হোসেন পল্টু বলেন, মিল পর্যায়ে মণপ্রতি দর রয়েছে ৪৫০ থেকে ৪৬০ টাকা।দুই বছর ধরে কুতুবদিয়া উপজেলার লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির সহায়তায় লবণ উৎপাদন করা হচ্ছে। গত সোমবার সরেজমিনে দেখা গেছে, নলকূপের সাহায্যে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে লেমশীখালী ও ধুরং ইউনিয়নে অন্তত এক হাজার একর জমিতে চাষ হচ্ছে।লবণচাষি ওসমান গনি ও আজিজুল হক জানান, নলকূপের পানিতে লবণ উৎপাদন সহজ ও খরচ কম। লবণও পরিষ্কার হয়।বিসিক কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন প্রকল্পের উপমহাব্যবস্থাপক মো. জাফর ইকবাল ভূঁইয়া বলেন, গত মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন ৬২ বছরের রেকর্ড ভেঙেছে। এ বছরও আবহাওয়া অনুকূল থাকলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন সম্ভব হবে। এ বছর এখনো কী পরিমাণ জমিতে লবণ চাষ হয়েছে, তা জরিপ হয়নি।বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) কক্সবাজার লবণ শিল্পের উন্নয়ন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে ২৩ লাখ ৮৫ হাজার টন চাহিদার বিপরীতে লবণ উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। চাষ হয়েছে ৬৬ হাজার ৪২৪ একর জমিতে। এর আগে ২০২১-২২ অর্থবছরে ৬৩ হাজার ২৯১ একর জমিতে লবণের চাষ হয়। ওই বছর দেশে লবণ উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ২৩ লাখ ৩৫ হাজার টন। সে বছর উৎপাদন হয়েছে ১৮ লাখ ৩২ হাজার টন।কয়েকটি মিলের মালিক জানান, মাঠপর্যায়ে দর নিয়ন্ত্রণ করেন লবণ দালালেরা।