ঢাকা ০৬:৫৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
‎দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের  মোটরসাইকেল মাধ্যমে লং বহর ‎ ‎মোঃ আল আমীন ‎ভোলা জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎আজ ভোলার মনপুরায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোলা-৪ আসেনর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ‎শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে হাজারও নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার  গিয়ে শেষ হয়। এতে আগত কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলে জানান। ‎শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ‎পরে রামনেওয়া নতুন বাজার জামায়াতে ইসলামী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে  এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই বিশাল শোভাযাত্রা কোন প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় নয়, এটি হচ্ছে ইসলামের পক্ষের গণজাগরণ। দুনিয়াবী সকল মতবাদের কাছে নিরাশ হয়ে মানুষ এখন ইসলামের পক্ষেই ফিরে আসছে, এটি তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা আশা করছি- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায় এবং ইনসাফের। ‎পরে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির ও ভোলা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। ‎ তিনি বলেন, ভোলা-৪ আসনে ইসলামের পক্ষে তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সুফল সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে তুলতে হবে।এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‎আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে চরফ্যাশন -মনপুরাকে দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ‎রাস্তা দিয়ে বিশাল বহর যাওয়ার সময় উৎসুক এলাকাবাসী হাত নেড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের অভিনন্দন জানায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শিশু কিশোর ও যুবকরা এতে যোগ দেয়। দাড়িপাল্লার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় প্রতিটি এলাকা। এ সময় গ্রামের নারীরাও তাদের ঘর থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অবলোকন করেন। ‎ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অংশ নেয়া প্রত্যেকের গায়ে ছিল বিশেষ স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। সুশৃঙ্খলভাবে একটি সাড়িতে শত শত মোটরসাইকেল যেন এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের এই শৃঙ্খলার ভুয়সী প্রশংসা করেন। ‎তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে এবং নিজেদেরকে বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছে তাতে দেশজুড়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসাব। ‎ ‎ ‎ শেরপুর সদর-১ আসনে ড. সানসিলা জেবরিন প্রিয়াঙ্কাকে বাসফোর পরিষদের ফুলেল শুভেচ্ছা “মাত্র ১০ সেকেন্ডের ভূ/মি/কম্পেই মানুষের অসহায়ত্ব প্রমাণ—জমিনের মালিক একমাত্র আল্লাহ” ভূ/মি/কম্প: মানুষের জন্য এক সতর্কবার্তা ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী ঢাকা কেরানীগঞ্জ আশেপাশের এলাকা সহ ভয়াবহ ভূমিকম্পে কেঁপে উঠল সারা দেশ ঢাকা–কেরানীগঞ্জসহ সর্বত্র আতঙ্ক “নর্তকি সংসদে যেতে পারলে রিকশাচালক কেন পারবে না”—ঢাকা-৮ এনসিপির মনোনয়ন পাওয়া রিকশাচালক সুজনের লড়াই শেরপুরে তারেক রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প ও ওষুধ বিতরণ বাকেরগঞ্জ, বরিশাল-৬ আসন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ধানের শীষের মনোনয়ন প্রার্থী : জনাব আবুল হোসেন খান দীর্ঘ ৪০ বছরের যে উন্নয়ন হয়নি মেহেন্দিগঞ্জ-হিজলা, বরিশাল- ৪ আসনে আমি মনে করি আমার হাত দিয়ে সেই উন্নয়ন গুলি হবে যদি আমি জাতীয় সংসদে যেতে পারি : রাজিব আহসান

রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্রর শেষ প্রকল্প এখন হুমকির মুখে

রিপোর্টার সাহিদ মন্ডল
  • নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদ, অবৈধ মটর থেকে নির্বিচারে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় কারণে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ সেচ প্রকল্প হুমকির মূখে পড়েছে। জানা গেছে, প্রচন্ড খরাপ্রবণ বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে ভূ-গর্ভের পানির স্তর তলানিতে ঠেকেছে। পানির স্তর এতটাই নিচে নেমেছে যে এখন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আট উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন (ইউপি) এলাকায় ১৭০ ফুট খনন করেও পানি উঠছে না গভীর নলকূপে। এসব এলাকার হাজারও হস্তচালিত নলকূপ এক দশক আগেই অচল হয়েছে। অব্যাহত পানি সংকট মোকাবিলা ও ভূ-গর্ভের পানির স্তর রক্ষায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।এদিকে ভু-গর্ভের পানির স্তর ধরে রাখতে, সেচ নির্ভর বোরো চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত ও কম সেচ লাগে এমন ফসলের চাষাবাদ করাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ তানোরে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে আবাসিক ও অবৈধ মটর থেকে নির্বিচারে সেচ বাণিজ্যে করে ভু-গর্ভ স্তরের পানি অপচয় করা হচ্ছে। এতে বিএমডিএর নেয়া ভূ-গর্ভস্থ পানি ধরে রাখার উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে,এর দায় নিবে কে? এসব কারণে কৃষিবান্ধব প্রতিষ্ঠানের ভবিষৎ নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকার হাজার হাজার কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্য করায় বিএমডি’র অধিকাংশ গভীর নলকুপ ভু-গর্ভস্ত পানির লেয়ার ফেল করায় অকেজো হয়ে পড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩০টি গভীর নলকুপ অকেজো হয়ে পড়েছে। একটি গভীর নলকুপ যে পানি উত্তোলন করে তার প্রায় ৯০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও ১০ ভাগ অপচয় হয়। অথচ একটি মটরে যে পানি উত্তোলন হয় তার মাত্র ৪০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও প্রায় ৬০ ভাগ অপচয় হয়। ফলে অবৈধ মটরে উত্তোলন করা পানির বিপুল পরিমাণ অপচয় হওয়ায় গভীর নলকুপগুলো ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার ফেল করছে। জানা গেছে, উপজেলায় বিএমডিএ’র ৫৩৬টি ও ব্যক্তিমালিকানা ১৬টি মোট ৫৫২টি গভীর নলকুপ রয়েছে।এছাড়াও অগভীর নলকুপ বিদ্যুৎ চালিত ৪১১টি ও ডিজেল চালিত ৫০টি, এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত ৩টি, ডিজেল চালিত ৩৫০টি, মোট এক হাজার ৩৬৬টি সেচ পাম্প রয়েছে। উপজেলায় আবাদযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, সেচের আওতায় ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর। সেচ বহির্ভুত জমি রয়েছে এক হাজার ৬৬২ হেক্টর। একফসলী জমি ৩৪৪ হেক্টর, দুই ফসলী ৪ হাজার ৫৪০ হেক্টর, তিনফসলী ১৯ হাজার ১০৯ হেক্টর, নীট ফসলী জমি ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, নিবিড়তা ২৭৮ শতাংশ ভূমি ব্যবহার ৮২ শতাংশ। উচুঁ জমি ২০ হাজার ৩৮৬ হেক্টর, মাঝারি উচুঁ জমি এক হাজার ৫৭৮ হেক্টর, মাঝারি নিচুঁ জমি এক হাজার ৫৫৩ হেক্টর ও নিচু জমি ৪৭৬ হেক্টর রয়েছে। অন্যদিকে তানোরে পল্লী বিদ্যুতের মোট গ্রাহক রয়েছে ৫২ হাজার ৪০৮ জন। এর মধ্যে আবাসিক ৪৩ হাজার ৯৭৫ জন, বাণিজ্যিক ২ হাজার ৭২৩টি,শিল্প ৫২০টি, সেচ ৮৭৮টি ও দাতব্য ৯৫৮টি এবং বিদ্যুতের মোট চাহিদা প্রায় ২৫ মেঘাওয়াট। দেড় হর্স পাওয়ার মটর থেকে বাড়ি সংলগ্ন জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেয়া যাবে, তবে তা হতে হবে গভীর নলকুপ স্কীমের বাইরে। কিন্ত্ত গভীর নলকুপ স্কীমের মধ্যে ও বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে ৩ থেকে ৪ হর্সপাওয়ার মটর স্থাপন করা হয়েছে। আবার আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পল্লী বিদ্যুৎ এসব অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। সুত্র জানায়, এসব অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করতে না পারলে, আগামিতে এই অঞ্চলে সেচ তো দুরের কথা মানুষকে খাবার পানি কিনে পান করতে হবে

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‎দাঁড়িপাল্লায় ভোট চেয়ে জামায়াতের নেতাকর্মীদের  মোটরসাইকেল মাধ্যমে লং বহর ‎ ‎মোঃ আল আমীন ‎ভোলা জেলা প্রতিনিধি ‎ ‎আজ ভোলার মনপুরায় ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন কে সামনে রেখে ভোলা-৪ আসেনর জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মাওলানা মোস্তফা কামালের নির্বাচনী মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা করেছেন দলটির নেতাকর্মীরা। ‎শুক্রবার (২০ নভেম্বর) সকালে উপজেলা দক্ষিণ সাকুচিয়া জনতা বাজার থেকে শোভাযাত্রাটি বের করা হয়। এতে হাজারও নেতাকর্মী মোটরসাইকেল নিয়ে শোভাযাত্রায় অংশ নেয়। পরে শোভাযাত্রাটি নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন সড়ক ঘুরে ১নং মনপুরা ইউনিয়নের নতুন বাজার  গিয়ে শেষ হয়। এতে আগত কর্মী-সমর্থকরা তাদের প্রার্থীকে নির্বাচিত করবেন বলে জানান। ‎শোভাযাত্রায় প্রার্থীর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি ও মনপুরা উপজেলার সাবেক আমির মাওলানা রফিকুল ইসলাম, উপজেলা আমির মাওলানা আহসানুল হক জসিম, সেক্রেটারি মাওলানা আলাউদ্দিন ফরাজি, মনপুরা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা শামসুউদিন, শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মাওলানা ইউনুস, শুরা ও কর্মপরিষদের সদস্য হাফেজ মতিউর রহমানসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ। ‎পরে রামনেওয়া নতুন বাজার জামায়াতে ইসলামী ইউনিয়ন কার্যালয়ের সামনে  এক সংক্ষিপ্ত পথ সভায় উদ্বোধনী বক্তব্যে ভোলা জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা রফিকুল ইসলাম বলেন, আজকের এই বিশাল শোভাযাত্রা কোন প্রদর্শনেচ্ছার বিষয় নয়, এটি হচ্ছে ইসলামের পক্ষের গণজাগরণ। দুনিয়াবী সকল মতবাদের কাছে নিরাশ হয়ে মানুষ এখন ইসলামের পক্ষেই ফিরে আসছে, এটি তার বাস্তব প্রমাণ। আমরা আশা করছি- আগামীর বাংলাদেশ হবে ইসলামের বাংলাদেশ, আগামীর বাংলাদেশ হবে ন্যায় এবং ইনসাফের। ‎পরে সমাপনী বক্তব্য রাখেন, ভোলা জেলা জামায়াতে ইসলামী সাবেক আমির ও ভোলা -৪ আসনের মনোনীত প্রার্থী অধ্যক্ষ মোস্তফা কামাল। ‎ তিনি বলেন, ভোলা-৪ আসনে ইসলামের পক্ষে তথা দাঁড়িপাল্লার পক্ষে যে, গণজোয়ার তৈরি হয়েছে। তার সুফল সকল ইসলামী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধভাবে ঘরে তুলতে হবে।এই আসনের প্রকৃত সমস্যা চিহ্নিত করে সেগুলোর সমাধানে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে ইশতেহার প্রস্তুত করা হচ্ছে। ‎আগামী নির্বাচনে দাঁড়িপাল্লার বিজয়ের মাধ্যমে বিগত সময়ের অসম্পূর্ণ কাজগুলো সম্পন্ন করে চরফ্যাশন -মনপুরাকে দেশের একটি মডেল আসন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা হবে। ‎রাস্তা দিয়ে বিশাল বহর যাওয়ার সময় উৎসুক এলাকাবাসী হাত নেড়ে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মিদের অভিনন্দন জানায়। গ্রামগঞ্জে বিভিন্ন বাড়ি থেকে শিশু কিশোর ও যুবকরা এতে যোগ দেয়। দাড়িপাল্লার স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয় প্রতিটি এলাকা। এ সময় গ্রামের নারীরাও তাদের ঘর থেকে বর্ণাঢ্য মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অবলোকন করেন। ‎ মোটরসাইকেল শোভাযাত্রা অংশ নেয়া প্রত্যেকের গায়ে ছিল বিশেষ স্লোগানযুক্ত গেঞ্জি। সুশৃঙ্খলভাবে একটি সাড়িতে শত শত মোটরসাইকেল যেন এক ভিন্ন দৃশ্যের অবতারণা করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জামায়াতের এই শৃঙ্খলার ভুয়সী প্রশংসা করেন। ‎তারা বলেন, ৫ আগস্টের পর থেকে জামায়াত যেভাবে মানুষের পাশে দাড়িয়েছে এবং নিজেদেরকে বিতর্কিত কর্মকান্ড থেকে দুরে রেখেছে তাতে দেশজুড়ে জামায়াতে ইসলামীর পক্ষে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছে। এসব বিবেচনায় নিরপেক্ষ নির্বাচনে পাল্টে যেতে পারে ভোটের সব হিসাব। ‎ ‎ ‎

রাজশাহীর তানোরে বরেন্দ্রর শেষ প্রকল্প এখন হুমকির মুখে

নিউজ প্রকাশের সময় : ১০:১৪:০৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

রাজশাহীর তানোরে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর কর্মকর্তার নেপথ্যে মদদ, অবৈধ মটর থেকে নির্বিচারে ভূ-গর্ভস্থ পানি উত্তোলন করায় কারণে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের গভীর নলকূপ সেচ প্রকল্প হুমকির মূখে পড়েছে। জানা গেছে, প্রচন্ড খরাপ্রবণ বৃহত্তর বরেন্দ্র অঞ্চলের বিশাল এলাকা জুড়ে ভূ-গর্ভের পানির স্তর তলানিতে ঠেকেছে। পানির স্তর এতটাই নিচে নেমেছে যে এখন বরেন্দ্রভূমির রাজশাহী, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার আট উপজেলার ২৬টি ইউনিয়ন (ইউপি) এলাকায় ১৭০ ফুট খনন করেও পানি উঠছে না গভীর নলকূপে। এসব এলাকার হাজারও হস্তচালিত নলকূপ এক দশক আগেই অচল হয়েছে। অব্যাহত পানি সংকট মোকাবিলা ও ভূ-গর্ভের পানির স্তর রক্ষায় নতুন সিদ্ধান্ত নিয়েছে বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ)।এদিকে ভু-গর্ভের পানির স্তর ধরে রাখতে, সেচ নির্ভর বোরো চাষে কৃষকদের নিরুৎসাহিত ও কম সেচ লাগে এমন ফসলের চাষাবাদ করাতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। অথচ তানোরে পল্লী বিদ্যুতের একশ্রেণীর কর্মকর্তার যোগসাজশে আবাসিক ও অবৈধ মটর থেকে নির্বিচারে সেচ বাণিজ্যে করে ভু-গর্ভ স্তরের পানি অপচয় করা হচ্ছে। এতে বিএমডিএর নেয়া ভূ-গর্ভস্থ পানি ধরে রাখার উদ্যোগ ভেস্তে যাচ্ছে,এর দায় নিবে কে? এসব কারণে কৃষিবান্ধব প্রতিষ্ঠানের ভবিষৎ নিয়ে কৃষকেরা শঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এলাকার হাজার হাজার কৃষকের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ। রাজশাহী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির একশ্রেণীর দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তা-কর্মচারী আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এসব অবৈধ মটরে সেচ বাণিজ্য করায় বিএমডি’র অধিকাংশ গভীর নলকুপ ভু-গর্ভস্ত পানির লেয়ার ফেল করায় অকেজো হয়ে পড়ছে। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে প্রায় ৩০টি গভীর নলকুপ অকেজো হয়ে পড়েছে। একটি গভীর নলকুপ যে পানি উত্তোলন করে তার প্রায় ৯০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও ১০ ভাগ অপচয় হয়। অথচ একটি মটরে যে পানি উত্তোলন হয় তার মাত্র ৪০ ভাগ সেচ কাজে ব্যবহার ও প্রায় ৬০ ভাগ অপচয় হয়। ফলে অবৈধ মটরে উত্তোলন করা পানির বিপুল পরিমাণ অপচয় হওয়ায় গভীর নলকুপগুলো ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার ফেল করছে। জানা গেছে, উপজেলায় বিএমডিএ’র ৫৩৬টি ও ব্যক্তিমালিকানা ১৬টি মোট ৫৫২টি গভীর নলকুপ রয়েছে।এছাড়াও অগভীর নলকুপ বিদ্যুৎ চালিত ৪১১টি ও ডিজেল চালিত ৫০টি, এলএলপি বিদ্যুৎ চালিত ৩টি, ডিজেল চালিত ৩৫০টি, মোট এক হাজার ৩৬৬টি সেচ পাম্প রয়েছে। উপজেলায় আবাদযোগ্য কৃষি জমি রয়েছে ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, সেচের আওতায় ২২ হাজার ৩৩২ হেক্টর। সেচ বহির্ভুত জমি রয়েছে এক হাজার ৬৬২ হেক্টর। একফসলী জমি ৩৪৪ হেক্টর, দুই ফসলী ৪ হাজার ৫৪০ হেক্টর, তিনফসলী ১৯ হাজার ১০৯ হেক্টর, নীট ফসলী জমি ২৩ হাজার ৯৯৩ হেক্টর, নিবিড়তা ২৭৮ শতাংশ ভূমি ব্যবহার ৮২ শতাংশ। উচুঁ জমি ২০ হাজার ৩৮৬ হেক্টর, মাঝারি উচুঁ জমি এক হাজার ৫৭৮ হেক্টর, মাঝারি নিচুঁ জমি এক হাজার ৫৫৩ হেক্টর ও নিচু জমি ৪৭৬ হেক্টর রয়েছে। অন্যদিকে তানোরে পল্লী বিদ্যুতের মোট গ্রাহক রয়েছে ৫২ হাজার ৪০৮ জন। এর মধ্যে আবাসিক ৪৩ হাজার ৯৭৫ জন, বাণিজ্যিক ২ হাজার ৭২৩টি,শিল্প ৫২০টি, সেচ ৮৭৮টি ও দাতব্য ৯৫৮টি এবং বিদ্যুতের মোট চাহিদা প্রায় ২৫ মেঘাওয়াট। দেড় হর্স পাওয়ার মটর থেকে বাড়ি সংলগ্ন জমিতে স্বল্প পরিসরে সেচ দেয়া যাবে, তবে তা হতে হবে গভীর নলকুপ স্কীমের বাইরে। কিন্ত্ত গভীর নলকুপ স্কীমের মধ্যে ও বাসাবাড়িতে অবৈধভাবে ৩ থেকে ৪ হর্সপাওয়ার মটর স্থাপন করা হয়েছে। আবার আর্থিক সুবিধার বিনিময়ে পল্লী বিদ্যুৎ এসব অবৈধ মটরে বিদ্যুৎ সংযোগ দিয়েছে। সুত্র জানায়, এসব অবৈধ মটরের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে ভূগর্ভস্থ পানির অপচয় রোধ করতে না পারলে, আগামিতে এই অঞ্চলে সেচ তো দুরের কথা মানুষকে খাবার পানি কিনে পান করতে হবে